প্রকাশিত:শনিবার, ০২ জানু ২০২১ ০৪:০১
মোঃ শাহিদুল ইসলাম,দেবিদ্বার (কুমিল্লা) :
১৯৭১’ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে রক্তে ঝরা দিনগুলোতে ৬ সেপ্টেম্বর দেবিদ্বার উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের বারুর গ্রামে পাক সেনাদের সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের এক শসস্ত্র সম্মূখ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ওই যুদ্ধে জীবীত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সাথে ‘যুদ্ধদিনের স্মৃতিকথন’ নিয়ে এক মত বিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে, বারুর বাজার সংলগ্ন মাঠে ওই ‘যুদ্ধদিনের স্মৃতিকথন’ অনুষ্ঠানে মো.রমিজউদ্দিন মেম্বারের সভাপতিত্বে এবং মো. কামাল হোসেন মাষ্টার’র সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিব হাসান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানের আয়োজক সাংবাদিক, লেখক, রাজনীতিক ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক এ,বি,এম আতিকুর রহমান বাশার, ছাত্রলীগ কুমিল্লা উত্তর জেলা সভাপতি আবু কাউছার অনিক, জাফরগঞ্জ ইউপি চেয়ারমম্যান মো. সোহরাব হোসেন, আ’লীগ নেতা মো. আনোয়ার হোসেন। অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন, শহীদ পরিবারের সদস্য জনতা ব্যাংক (অবঃ) কর্মকর্তা মো.রমিজ উদ্দিন, প্রবাসী মো. আনোয়ার হোসেন, জাফরগঞ্জ ইউনিয়ন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. বাচ্চু মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল হাসেম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মতিন সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল আজিজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নিখীল চন্দ্র সূত্রধর, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আহাম্মদ খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. অহিদ খান প্রমূখ।
‘যুদ্ধদিনের স্মৃতিকথন’-এ স্মৃতিচারণ করতে যেয়ে মুক্তিযোদ্ধারা আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। সহযোদ্ধাদের হারানোর বর্ননা দিতে যেয়ে অনেকে কান্নায় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। তারা বারুর যুদ্ধেও বর্ণনা দিতে যেয়ে বলেন, ১৯৭১’ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে রক্তে ঝরা দিনগুলোতে ৬ সেপ্টেম্বর দেবিদ্বার উপজেলার বারুর গ্রামে পাক সেনাদের সাথে মুক্তিযুদ্ধাদের এক শসস্ত্র সম্মূখ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ওই সম্মূখ যুদ্ধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা (গ্রুপ কমান্ডার) জয়নাল আবদিন, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আলী মিয়া, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ হোসেন, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল ইসলাম খান, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সফিকুল ইসলাম সহ ৫ মুক্তিযোদ্ধা ও গ্রামের নিরিহ বাঙ্গালী শহীদ গণিমিয়া, শহীদ ওমেশ চন্দ্র শীল, শহীদ লাল মিয়া সহ একই দিনে ৮জন শহীদ হন। অপর ঘটনায় ১৯৭১ সালের ৮ নভেম্বর কালিকাপুর আফসু রাজাকার বাহিনীর প্রধান আফসুর উদ্দিন রাজাকার হত্যা অভিযানে বারুর গ্রামের আরো দুই শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ বাচ্চু মিয়া ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম মোল্লা শহীদ হন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিব হাসান বলেন, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর, বধ্যভুমি ও কবরগুলো সংরক্ষণ এবং স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজগুলো ৫০বছর পড়ে নয়, আগে হলে ভালো হত, নতুন প্রজন্মের মানুষগুলো আগেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে পারত। স্বাধীনতা বিরোধীরা এখনো স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারছেনা। তাদের প্রতি একরাশ ঘৃণা। তাই আগামী প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের গল্পগাঁথা জানাতে শিক্ষকদের ভূমিকা রাখতে হবে। স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ‘অনিক এন্টার প্রাইজ’র পরিচালক ও ছাত্রলীগ কুমিল্লা উত্তর
জেলা সভাপতি আবু কাউছার অনিক বলেন, দু’টি যুদ্ধে শহীদ ১০জন মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতি রক্ষায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ৩ লক্ষ টাকা ব্যায়ে একটি ৩ স্তম্ভের স্মৃতিফলকও নির্মান করা হচ্ছে। যা আগামী ২০২১ সালের জানুয়ারী মাসেই উদ্ভোধন করা হবে। স্মৃতি ফলকে আগামী প্রজন্মকে জানান দিতে বারুর গ্রামের ১০ শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নাম ও বারুর যুদ্ধের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা তুলে ধরা হবে।
Head Office :
2152 – B, Westchester Ave,
Bronx, New York 10462
United States Of America.
Tel : 347 656 4623 (News), 718 823 7535 (Office), 929 261 8340 (CEO), 718 823 7538 (Fax).
Email :
report.banglanewsus@gmail.com (News),
riyahdahad@banglanewsus.com (Editorial)
info@banglanewsus.com (Advertisement)
ceo@banglanewsus.com (Event And Others).
First Fully Online Daily For The Worldwide
South Asian Community Jointly Published From
United States Of America, Great Britain
And Canada On Be-Half Of
POSITIVE INTERNATIONAL INC
@ 2014-2020
Developed BY : positiveitusa.com
Design and developed by positiveitusa.com