আগামী ১৬ জানুয়ারি নবীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনকে ঘিরে সরব মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা।
চারদিকে যেন উৎসব আমেজ। বিশেষ করে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন নিয়ে চলছে তুমুল উন্মাদনা। পৌর এলাকার সর্বত্র একটাই আলোচনা কে হচ্ছেন নবীগঞ্জের পৌর মেয়র?
এবার নবীগঞ্জে মেয়র পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিএনপির মনোনীত প্রার্থী পৌরসভার বর্তমান মেয়র, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি জেলা বিএনপির সদস্য আলহাজ্ব ছাবির আহমদ চৌধুরী (ধানের শীষ প্রতীক), আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী তরুণ সমাজসেবক উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক গোলাম রসূল চৌধুরী রাহেল (নৌকা প্রতীক) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শ্রমিক নেতা মাহবুবুল আলম সুমন (জগ প্রতীক) নিয়ে মাঠে নেমেছেন।
মনোনয়নপত্র জমা, যাচাই বাছাই শেষে প্রতীক বরাদ্দের পর নির্বাচনী আলোচনা প্রচারনা ব্যাপক মাত্রায় বেড়েছে।
৯টি ওয়ার্ড নিয়ে ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত নবীগঞ্জ পৌরসভা। পৌরসভার মোট ভোটার সংখ্যা ১৮ হাজার ৬শত ৯৯ জন। এবার মেয়র পদে লড়ছেন ৩জন,সংরক্ষিত মহিলা আসনের কাউন্সিলর পদে ৯জন, সাধারন ওয়ার্ডের কাউন্সির পদে ৪১জন প্রার্থী।
পৌষের কনকনে শীতকে হার মানিয়ে গত কয়েকদিন ধরে পুরোদমে চলছে পৌর নির্বাচনের আমেজ। ভোটারদের কাছে বিভিন্ন উন্নয়নের কথা বলে মন জয় করার চেষ্টা করছেন সকল প্রার্থীরা। নির্বাচনী মাঠে কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দের পরপরই প্রচারনায় নেমে পড়েছেন এবং পৌর এলাকার উন্নয়নের বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের মন জয় করতে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ, উঠান বৈঠক চালিয়ে যাচ্ছেন। সেই সাথে ভোটারদের দিচ্ছেন নানারকম প্রতিশ্রুতি।
নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপিপ্রার্থী বর্তমান মেয়র ছাবির আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘আমি বিগত ৫ বছরে নগরের ব্যাপক উন্নয়ন করেছি এবং অসংখ্যা কাজ প্রস্তাবিত রয়েছে। আমার অসমাপ্ত উন্নয়ন ও পৌর শহরকে আধুনিক শহরে সাজানোর অঙ্গীকার ভোটারদের সমর্থন চাইছি। গত ৫ বছর জনগন আবলোকন করেছেন আমার উন্নয়নের কর্মকান্ড।
নবীগঞ্জের মানুষ উন্নয়নে বিশ্বাসী দাবি করে তিনি বলেন, ‘দেশের করোনাকালীন সময়ে আমি এলাকার লোকজনের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোজ খবর নিয়েছি, পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। নবীগঞ্জে পৌরসভার মানুষ এলাকার উন্নয়ন চায় আর সেই উন্নয়নের সাথে সৎ ও নিষ্টাবান যোগ্য পৌর মেয়র চান। তাই জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।’
আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক, তরুন সমাজ সেবক ক্রীড়া সংগঠক গোলাম রসুল রাহেল চৌধুরী বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আমি মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর মনোনীত মেয়র প্রার্থী। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি নৌকা মার্কা, জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের নৌকা মার্কা। আর এই নৌকা মার্কা নিয়ে আগামী ১৬ জানুয়ারি পৌর নির্বাচনে ভোট যুদ্ধে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করবো ইনশাআল্লাহ। জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।’
অপরদিকে,স্বতন্ত্র প্রাথী হিসেবে মাঠে শক্ত অবস্থান নিয়ে রয়েছেন উপজেলা মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম সুমন। সুশীল সমাজে স্পষ্টভাষী, নিষ্টাবান এবং নির্যাতিত লোকের অভিবাবক হিসাবে তার অনেক খ্যাতি রয়েছে। মাহবুবুল আলম সুমন বলেন, মানুষ পরিবর্তন চায়। ইনশাআল্লাহ আমি পরিবর্তন আনবো।
নবীগঞ্জ পৌরসভার নারী ও পুরুষ উভয় ভোটারদের ধারণা এবারের নির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াই হবে। কে হবেন আগামীর পৌর মেয়র! সব জল্পনা কল্পনার অবসান হবে আগামী ১৬ জানুয়ারী।