প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার, ২২ আগ ২০১৯ ০১:০৮
রাখাইনে প্রত্যাবাসনের সহায়ক পরিবেশ না থাকায় রোহিঙ্গারা এখনই তাদের আদি নিবাসে ফিরতে চাইছে না। এই সুযোগে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিরোধিতাকারীরাও মাঠে সক্রিয়। অবশ্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফেরত পাঠানোর সব প্রস্তুতি আছে। তবে রোহিঙ্গারা যেতে না চাইলে বাংলাদেশ কাউকে জোর করে ফেরত পাঠাবে না। এমন পরিস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
গত বছরের ১৫ নভেম্বর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রথম সময়সীমা ঠিক হয়েছিল। রোহিঙ্গারা রাজি না হওয়ায় সেবার একজনকেও রাখাইনে পাঠানো যায়নি। আজ কেউ রাখাইনে যেতে না চাইলে এ নিয়ে দুই দফা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের চেষ্টা ব্যর্থ হবে।
অবশ্য গতবারের তুলনায় এবারকার আবহে কিছুটা গুণগত পরিবর্তন রয়েছে। গতবার সাক্ষাৎকারের জন্য রোহিঙ্গাদের খুঁজে পেতে কষ্ট হচ্ছিল। রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি দেশি–বিদেশি প্রত্যাবাসনবিরোধী পক্ষগুলো বেশ সক্রিয় ছিল। এবার আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বাহিনী সচেষ্ট থাকায় মঙ্গলবার ২১টি এবং গতকাল ২১৪টি পরিবার জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) ও শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের (আরআরআরসি) কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের কাছে সাক্ষাৎকার দিতে গেছে। এর পাশাপাশি এবারই প্রথম ঢাকায় চীনা দূতাবাসের দুই কূটনীতিক ও মিয়ানমার দূতাবাসের এক কূটনীতিক সরেজমিনে পরিস্থিতি দেখতে কক্সবাজারে রয়েছেন। তবে এত কিছুর পরও আজ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে জোর অনিশ্চয়তা আছে। কারণ, ইউএনএইচসিআর ও আরআরআরসির দপ্তরের কর্মকর্তাদের কাছে সাক্ষাৎকার দেওয়া লোকজন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তাঁরা এখন রাখাইনে যেতে রাজি নন।
আজ থেকে প্রত্যাবাসন শুরু হবে কি না—জানতে চাইলে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম গত রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে আমরা পুরোপুরি তৈরি আছি। বৃহস্পতিবার সকালে চীন ও মিয়ানমার দূতাবাসের প্রতিনিধিদের নিয়ে আমরা রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে যাব। কেউ রাখাইনে যেতে চাইলে তাঁদের পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। এ জন্য তিনটি শিবিরের কাছে অন্তত পাঁচটি বাস ও একটি ট্রাক তৈরি থাকবে।’
বাংলাদেশের প্রস্তুতি আছে, অথচ রোহিঙ্গাদের কেউ তো ফিরতে আগ্রহী নয়—এ প্রশ্নের উত্তর আবুল কালাম সরাসরি দেননি। শুধু বলেছেন, যাঁদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে, তাঁদের তথ্য সন্নিবেশ করা হচ্ছে।
তবে প্রত্যাবাসনের সঙ্গে যুক্ত সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের ঠিক করা সময় অনুযায়ী আজ আদৌ প্রত্যাবাসন শুরু হবে কি না, সে সম্পর্কে কেউই নিশ্চিত নন।
এ নিয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা আশাবাদী। প্রস্তুতিও আছে। কাল (আজ) কী পরিস্থিতি দাঁড়ায় দেখা যাক।’
বাংলাদেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়টি যেদিকেই যাক, রোহিঙ্গাদের সাক্ষাৎকার নেওয়া অব্যাহত থাকবে। এই দফায় যে ১ হাজার ৩৩ পরিবারের তালিকা দেওয়া হয়েছে, তাদের সাক্ষাৎকার নেওয়া চলতে থাকবে। কেউ যাওয়ার আগ্রহ দেখালে তা মিয়ানমারকে জানিয়ে, প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। তাঁদের মতে, এবার আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি ভালো থাকায় প্রথম দিনের তুলনায় অনেক বেশিসংখ্যক পরিবার সাক্ষাৎকার দিতে এসেছে।
২৩৫ পরিবারের সাক্ষাৎকার
গতকাল সকাল ১০টার দিকে টেকনাফের জাদিমোরা শালবাগান শিবিরে অবস্থিত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের (আরআরআরসি) সহকারী খালেদ হোসেনের কার্যালয়ে অন্তত ২১৪টি পরিবারের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। এর আগে ১০টি আলাদা দল শিবিরের বিভিন্ন ব্লকে গিয়ে সাক্ষাৎকারের জন্য রোহিঙ্গাদের কেন্দ্রে যেতে প্রচারণা চালায়। ১০ জনের দলে রয়েছেন ইউএনএইচসিআর ও আরআরআরসির প্রতিনিধি, রোহিঙ্গা স্বেচ্ছাসেবী, রোহিঙ্গা মাঝিসহ অনেকে।
সম্প্রতি মিয়ানমার সরকার প্রত্যাবাসনের জন্য ১ হাজার ৩৩ পরিবারের ৩ হাজার ৫৪০ জনের নামের তালিকা পাঠায়। এর মধ্যে জাদিমোরার শালবাগান শিবিরে রয়েছে ৯৩৩ পরিবারের ৩ হাজার ৯১ জন। কিন্তু সাক্ষাৎকারের জন্য তালিকাভুক্ত অধিকাংশ রোহিঙ্গাকেই শিবিরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
Head Office :
2152 – B, Westchester Ave,
Bronx, New York 10462
United States Of America.
Tel : 347 656 4623 (News), 718 823 7535 (Office), 929 261 8340 (CEO), 718 823 7538 (Fax).
Email :
report.banglanewsus@gmail.com (News),
riyahdahad@banglanewsus.com (Editorial)
info@banglanewsus.com (Advertisement)
ceo@banglanewsus.com (Event And Others).
First Fully Online Daily For The Worldwide
South Asian Community Jointly Published From
United States Of America, Great Britain
And Canada On Be-Half Of
POSITIVE INTERNATIONAL INC
@ 2014-2020
Developed BY : positiveitusa.com
Design and developed by positiveitusa.com