প্রকাশিত:বুধবার, ২৩ সেপ্টে ২০২০ ১১:০৯
সিরাজুল ইসলাম আপন,ভাঙ্গুড়া (পাবনা) :
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় গোখাদ্য হিসেবে পরিচিত খড় বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৫ টাকা দরে। চড়া দামে কৃষকরা খড় ক্রয় করতে হিমসিম খেতে তাদরে কপালে চিন্তার ছাপ নিয়ে গবাদি পশুকে বিকল্প খাদ্য হিসেবে কচুরি পানা খাওয়াচ্ছেন । ভারি বর্ষণ ও বন্যার কারণে এ এলাকার গোচারণ ভুমি বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হওয়ার ফলে গবাদি পশু নিয়ে কৃষকরা বিপাকে পড়েছেন।
গবাদি পশু পালন করে বিক্রি করে লাভের আশা করা কৃষক পরিবারের জন্য একটি স্বাভাবিক চিন্তা। এ উপজেলার বাসিন্দাদের এমন লাভের আশায় বাণিজ্যিকভাবে ও পরিবারিকভাবে শত শত গবাদি পশু পালন করে আসছে। বিশেষ করে এ অঞ্চলের গোচারণ ভুমি ও গোখাদ্যের সহজলভ্যতার কারণে গরু, মহিষ ও ছাগল পালন করে অনেক পরিবার আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। কিন্তু এবছারের আগাম বন্যা ও দীর্ঘ সময় বন্যার পানি কৃষি ও গোখাদ্যের ঘাসের জমিতে অবস্থান করায় গোখাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।অপরদিকে কৃষক গত বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য মাসে আগাম বন্যা ও অতি বৃষ্টির কারণে তাদের জমি থেকে শুধু ধান সংগ্রহের দিকেই মনোযোগ দিতে বাধ্য হতে হয়েছিল। সে কারণেও গোখাদ্য হিসেবে পরিচিত খড় এ এলাকায় বর্তমানে অভাব দেখা দিয়েছে। তাই রাজশাহী, নওগাঁ , নাটোর, দিনাজপুর এলাকা থেকে খড় কিনে নৌকা ও ট্রাক বোঝাই করে এ উপজেলায় নিয়ে এসে বিক্রয় করছেন এক শ্রেণির খড় ব্যবসায়ীরা।উপজেলার হাজী জামাল উদ্দীন কলেজ গেট সংলগ্ন বড়াল নদীতে একাধিক খড় বোঝাই নৌকা ও সেই নৌকা থেকে খড় বিক্রি করতে দেখা গেছে। সেখানে প্রতি মণ খড় বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৫শত থেকে ৬শত টাকা। আবার ১শত আটিঁ ধানের খড় ও বিক্রি হচ্ছে ৫শত থেকে ৬শত টাকা। অপরদিকে খৈল প্রতি কেজি ৪০ টাকা, গমের ভুষি ৩০ টাকা দরে খুচরা দোকানে বিক্রি হচ্ছে যা কৃষকের পক্ষে ক্রয় করে গবাদি পশুকে খাওয়ানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। ফলে গবাদির পশুর খাদ্য সংগ্রহ করতে কৃষকের কপালে চিন্তার ছাপ লক্ষ্য করা গেছে।
এদিকে চড়া দামে গবাদি পশুর খাদ্য ক্রয় করতে হিমসিম খাচ্ছে খামারী ও কৃষকরা। তাই তারা খড়ের পাশাপাশি কচুরি পানা ও কলাগাছ খাইয়ে কোন রকমে তাদের গবাদি পশুকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করে চলেছেন। গত সপ্তাহে উপজেলার পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের পারভাঙ্গুড়া, টলটলিয়াপাড়া,ভেড়ামাড়া, পাটুলিপাড়া,ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের ঝিকলকতি, নৌবাড়িয়া,চরভাঙ্গুড়া, দিলপাশার ইউনিয়নের বেতুয়ান, পাটুল ,অষ্টমনিষা ইউনিয়নের বিশাকোল, ঝবঝবিয়া গ্রাম ঘুরে খামারি ও কৃষকদের সাথে কথা বলে গোখাদ্যের এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
উপজেলা পারভাঙ্গুড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল ওয়াহেদ বলেন,খড়ের দাম বেশি হওয়ার গরুর বিকল্প খাবার হিসেবে কচুরি পানা কেটে নিয়ে খাওয়াচ্ছি।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ ও ভেটেরিনারী সার্জন ডাঃ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, শুকনা খড়ের সাথে অল্প পরিমান কচুরি পানা মিশিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে। কিন্তু বেশি পরিমান কচুরি পানা খাওয়ালো গবাদি পশুর সমস্যা দেখা দিবে।
Head Office :
2152 – B, Westchester Ave,
Bronx, New York 10462
United States Of America.
Tel : 347 656 4623 (News), 718 823 7535 (Office), 929 261 8340 (CEO), 718 823 7538 (Fax).
Email :
report.banglanewsus@gmail.com (News),
riyahdahad@banglanewsus.com (Editorial)
info@banglanewsus.com (Advertisement)
ceo@banglanewsus.com (Event And Others).
First Fully Online Daily For The Worldwide
South Asian Community Jointly Published From
United States Of America, Great Britain
And Canada On Be-Half Of
POSITIVE INTERNATIONAL INC
@ 2014-2020
Developed BY : positiveitusa.com
Design and developed by positiveitusa.com