প্রকাশিত:শনিবার, ১২ সেপ্টে ২০২০ ০২:০৯
অপূর্ব শর্মা ::অনেকের মতো শাহ আবদুল করিমের সান্নিধ্যে যাওয়ার ‘সৌভাগ্য’ হয়েছিল আমারও। তাঁর লেখা বিরহের গানগুলোই তাঁর প্রতি আমাকে অনুরক্ত করেছিল। তবে ঘনিষ্ট হয়েছিলাম সাংবাদিকতার কারনে। দৈনিক যুগভেরী পরিবারের ঘনিষ্ঠজন ছিলেন বাউলসম্রাট শাহ আবদুল করিম। সিলেটে এলে জ্যোতি মঞ্জিলে আসতেন। অনেক সময় রাত্রিযাপনও করতেন তিনি জ্যোতি মঞ্জিলের অতিথিশালায়। যুগভেরীর সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি হ্যারল্ড রশীদের সাথে বাউলসম্রাটের ছিল হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক।
সেই সুবাদে করিম ভাইয়ের সাথে আমার পরিচয়, ঘনিষ্ঠতা। প্রথম পরিচয়েই তিনি আমাকে আপন করে নিয়েছিলেন। তাঁর ভালোবাসার টানেই তিনবার গিয়েছি উজানধলে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক কামাল লোহানী ভাইয়ের সাথে উজানধলে এবং লন্ডন মিউজিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য দিরাই থেকে করিম ভাইকে সিলেটে নিয়ে আসার স্মৃতি আমার মানসপটে চিরজাগরুক হয়ে থাকবে। ২০০৪ সালের কথা। হ্যারল্ড ভাই একদিন বললেন, ‘লন্ডন মিউজিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের একটি টিম সিলেটে এসেছে। তারা করিম ভাইয়ের ভক্ত। তাদের ইচ্ছে তাঁর সাথে সাক্ষাতের। কিন্তু তাদের হাতে একদম সময় নেই।’ হ্যারল্ড ভাই সিদ্ধান্ত নেন, সিলেট পর্যটন মোটেলে যে অনুষ্ঠানে তারা পারফর্ম করবে সেখানে করিম ভাইকে নিয়ে আসার। সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের দায়িত্ব আমার উপর বর্তায়। যেই কথা সেই কাজ; পরদিন সকালে প্রাইভেট কারযোগে দিরাইয়ে পৌঁছি। সেখান থেকে করিম ভাইকে নিয়ে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেই। দুপুরের রোদ তখন হেলান দিয়েছে আকাশের গায়ে। আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রেখেছিলাম, জনপ্রিয় গানগুলো তিনি যে প্রেক্ষাপটে লিখেছেন সেগুলো তাঁর কাছে জানতে চাইবো। তাঁর কাছ থেকে জেনে নেওয়া বিষয়গুলো নোট করে একটি লেখাও তৈরি করেছিলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয়, নিজের অজান্তেই সেই লেখাটি আমি হারিয়ে ফেলেছি। রুম ভর্তি কাগজ ও বইয়ের ভিড়ে সেই লেখাটি আমি মাঝে মধ্যেই খুঁজি। কিন্তু আজ অবধি হারিয়ে যাওয়া সেই লেখাটি উদ্ধার করতে পারিনি! সেদিনের আলাপচারিতায় জেনেছিলাম-নিত্যসঙ্গী দারিদ্র্যতা ও স্ত্রী সরলাকে ঘিরেই অসংখ্য গান রচনা করেছেন তিনি। প্রেমও এসেছে নানা গানে। সেইসব গান সেদিন গুনগুনিয়ে গেয়েও শুনিয়েছিলেন তিনি। নূরজালালও বাবার সঙ্গে অনেক গানে সুর মিলিয়েছিলেন। মনে আছে, শাহ আবদুল করিমকে সংসার কীভাবে চলছে জিজ্ঞেস করতেই তিনি বলেছিলেন, ‘নূন আনতে পান্থা ফুরায়। এক অক্তে খেলে অন্য অক্তের জন্য দুশ্চিন্তা করতে হয়।’ যিনি বাউল গানের ‘সম্রাট’, নাম-ডাক যার বিশ্বজুড়া, দারিদ্র্য তাঁর নিত্যসঙ্গী। কেমন যেনো বেমানান মনে হয় আমার কাছে। পাশে বসা বাউল তনয়কে জিজ্ঞেস করি এর কারণ। নূরজালাল জানান, ‘বাবাতো কখনো কোনো অনুষ্ঠানে কারো কাছ থেকে কোনো টাকা চেয়ে নেন না। কেউ দিলে সেটা সাদরে গ্রহণ করেন।’ তিনি সেদিন আরও জানিয়েছিলেন-‘বাবা গান করেন প্রাণের টানে, মানুষের জন্য। সেটি তাঁর গান থেকেই উপলব্ধি করা যায়।’ বলেই শুরু করেন তিনি, ‘গান গাই আমার মনরে বোঝাই মন থাকে পাগলপারা, আর কিছু চায় না মনে গান ছাড়া।’-এভাবে গান গাওয়া পুরনো স্মৃতি রোমন্থন আর আলাপচারিতা করতে করতে একসময় আমরা পৌঁছে যাই সিলেট পর্যটন মোটেলে। সেখানেও বেশ কিছু সময় কাটাই একান্তে। ঐদিন রাতেই দিরাইয়ে চলে যান তিনি। ১৩ জুন, ২০০৯। শিল্পকলা একাডেমীর তৎকালীন মহাপরিচালকের সাথে উজানধলে করিম ভাইয়ের সান্নিধ্যে কাটানো মুহূর্ত ছিল অন্যরকম। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী কামাল লোহানী ভাইকে নিয়ে সিলেট সার্কিট হাউস থেকে ওইদিন ভোরে রওয়ানা হই উজানধলের উদ্দেশ্যে। কিন্তু নগরীর আম্বরখানা এলাকা অতিক্রম করার সাথে সাথেই বৃষ্টি নামে। লোহানী ভাইকে চিন্তিত দেখায়; বলেনÑ‘যেতে পারবো তো।’ আমি তাঁকে আশ্বস্ত করি, যত বিপত্তিই আসুক না কেন বাউলসম্রাটের বাড়িতে আমরা যাবই। লোহানী ভাইয়ের দুশ্চিন্তার কারণ ঢাকায় অবস্থানরত সুনামগঞ্জের একাধিক ব্যক্তি। শাহ করিমের বাড়িতে যাতায়াতের ব্যাপারে তাদের কাছে লোহানী ভাই জানতে চেয়েছিলেন। তারা তাঁকে দিরাই উপজেলা সদর থেকে নৌকা ছাড়া যাওয়া যাবে না এবং সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক থেকে দিরাই অবধি রাস্তার বেহাল দশার সম্পর্কে বর্ণণা দেন। সে কারণে আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও উজানধলে যেতে পারবেন কি না এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন তিনি। মোবাইল ফোনে আমার সাথে যোগাযোগ হলে খোঁজ খবর নিয়ে উজানধলে যেতে তেমন কোনো সমস্যা হবে না বলে লোহানী ভাইকে আমি আশ্বস্ত করি। আমার উপর আস্থা রেখে তিনি করিম ভাইয়ের বাড়িতে যাওয়ার সংকল্প নিয়ে ঢাকা ত্যাগ করেন। শিল্পকলা একাডেমীর মাইক্রোবাসে করে আমাদের উজান ধল যাত্রা অনেকটা ছিলো ভ্রমনের মতোই। লোহানী ভাই নানা কথায় মাতিয়ে রেখেছিলেন। করিম ভাইয়ের শারীরিক পরিস্থিতি, সংসার কীভাবে চলে, এমনকি তাঁর সাথে আমার পরিচয়ের দিনক্ষণ সবকিছু জানতে চান তিনি আমার কাছে। বৃষ্টি থামে না, কখনও সজোরে আবার কখনও ঝিমিয়ে। আমি কল্পনাপ্রসূত কথা বলি, ‘দিরাই পৌছার আগেই রোদ উঠবে।’ গম্ভীর লোহানী ভাইয়ের মুখে তখন স্মিত হাসি ফুটে ওঠে। বুঝতে পারেন আমি তাকে চিন্তামুক্ত করার জন্যই এমনটি বলেছি। কাকতালীয়ভাবে দিরাই শহরে পৌঁছার আগেই রোদ ওঠে। লোহানী ভাই বলেন, ‘তোমার কথাই ঠিক হলো।’ শহর দিরাইকে পেছনে ফেলে আমাদের মাইক্রোবাসটি এগিয়ে চলে বাউলসম্রাটের বাড়ির দিকে। আগে থেকেই জানা ছিল ভাটির জনপদের উজানধলে যাওয়ার আগে মিনিট পনের আমাদেরকে নৌকা চড়ে এবং কিছুটা পায়ে হেঁটে যেতে হবে। ঢালাই করা রাস্তার ওপর পানি ওঠায় এছাড়া অন্য কোনো গত্যন্তর ছিল না। বাধ্য হয়ে ইঞ্জিন নৌকা ভাড়া করতে হয়। করিম ভাইয়ের বাড়িতে প্রবেশের রাস্তাটি চলার অনুপযোগী থাকায় বাড়ির পেছনের রাস্তা দিয়ে আমরা প্রবেশ করি। বাউল তনয় নূরজালাল আমাদের এগিয়ে নিয়ে যান তাদের আবাসস্থলে। ঘরে প্রবেশের পর দেখতে পাইকরিম ভাই বিছানায় শুয়ে আছেন, স্যালাইন চলছে। তাঁকে তত্ত্বাবধানকারী নুরুন্নেসা তখন দুধ খাওয়াচ্ছিলেন। হাওর জনপদে তখনও সকালের আবহ কাটেনি। ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করছিলেন বাউলসম্রাট। আমাদের উপস্থিতি তাতে ছন্দপতন ঘটায়।
শাহ আবদুল করিমকে বিছানায় দেখে আবেগাপ্লুত হন কামাল লোহানী। ভাটির সম্রাটের মাথায় তিনি হাত বুলিয়ে দেন। এরপর বিছানার পাশে একটি চেয়ারে বসেন। আমি বসি অন্যটিতে। আমাদের উপস্থিতি টের পান বাউলসম্রাট। একবার লোহানী ভাইয়ের মুখের দিকে আরেকবার আমার মুখের দিকে অপলক তাকিয়ে থাকেন তিনি। নূরজালাল পিতাকে লোহানী ভাইয়ের পরিচয় দেন। সাথে সাথে মাথার উপরে হাত তুলে সালাম দেন বাউল। সবাই তখন হতবিহ্বল। বেশ কিছুদিন ধরেই খুব অসুস্থ ছিলেন তিনি। সিলেটে নিজ রচনাসমগ্র প্রকাশনা অনুষ্ঠান থেকে ফিরে অনেকটা অচেতন অবস্থায় ছিলেন বাউল। তাঁর এমন বোধশক্তিতে হাসি ফুটে ওঠে করিম তনয়ের মুখে। কথাটি তাৎক্ষণিকভাবে আমাদের উদ্দেশে বলেন তিনি। আবেগতাড়িত লোহানী ভাইয়ের মুখেও খেলে যায় তৃপ্তির রেখা। করিম ভাইয়ের হাতে হাত রাখেন তিনি। বলেনÑ‘আমি লোহানী। আপনার সাথে শেষ দেখা হয়েছিল রমনা বটমুলে, ৯৩ সালে। সেবার আপনি বাউল গান গেয়ে সবাইকে মাতিয়েছিলেন। প্রতিবাদ করেছিলেন বাউলদের বিরুদ্ধে চলা অত্যাচার নির্যাতনের।’ -কথা যেন মনোযোগ সহকারে শোনেন করিম ভাই। কী যেন একটা অস্ফুট স্বরে বলতে চান। শুধু বোঝা যায়-‘বালানি?’ শব্দটি। ক্ষণিক পরে সর্বদা ঘরে থাকা বাউল আবদুর রহমানের দিকে তাকিয়ে করিম বলেন-কে আপনি? তিনি তার নাম বলেন। এরপর করিম ভাইয়েরে দৃষ্টি আমার দিকে নিবন্ধিত হয়। তাকিয়ে থাকেন চোখে চোখ রেখে। কী যেন খুঁজছিলেন তিনি আমার অবয়বে! খানিকক্ষণ পর দেখতে পাই তাঁর আঁখিযুগল সজল হয়ে উঠেছে। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করি, চিনতে পেরেছেন? নির্বাক থাকেন তিনি। চোখ ঘুরিয়ে আবার কিছু সময় লোহানী ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে থাকেন। ফের অস্ফুট স্বরে তাকে কিছু একটা বলার চেষ্টা করেন। হৃদয়ের অনুভুতি দিয়ে, চোখের ভাষায় আমাদের কথা হয় করিম ভাইয়ের সাথে। দ্রুত কেটে যায় ঘন্টারও অধিক সময়। করিম ভাইয়ের কাছে বিদায় নিতে যান লোহানী ভাই। অনেকটা অচেতন অবস্থায় থাকা শাহ করিম সেদিন অতিথিদের শেষ শুভেচ্ছা জানাতে ভুল করেন নি। লোহানী ভাইয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দেন। আবেগাপ্লুত লোহানী ভাইয়ের গলাটা তখন ধরে আসে। এরপর আমি বিদায় নেই। হাত তুলেন, মাথাটা এগিয়ে দিতে বুলিয়ে দেন। ছল ছল করে উঠে আমার আঁখিযুগল। হৃদয়ে ক্যামন যেন হাহাকারের প্রতিধ্বনি শুনতে পাই। ঘর থেকে বেরিয়ে আসি আমরা। বাউল তনয় বাড়ির উঠোনের একপাশে থাকা তাঁর মায়ের কবর দেখান। জানান, বাবার শেষ ইচ্ছে তাকে যেনো মায়ের পাশে কবর দেওয়া হয়। সুস্থ থাকতেই নিজ জীবনের শেষ ইচ্ছের কথা বলে রেখেছেন তিনি। স্রোতস্বিনী কালনী নদী তীরের বাড়িতে তখনও পিনপতন নীরবতা। বিদায় নিয়ে আমরা রওয়ানা হই আমাদের পরবর্তী গন্তব্যের উদ্দেশে। ৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯। শাহ আবদুল করিম গুরুতর অসুস্থ হয়ে নূরজাহান ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছেন জানতে পেরে হাসপাতালে ছুটে যাই। হাসপাতালের ১৯ নম্বর কেবিনে তখন বাউল তনয় নূর জালালসহ বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। এই পরিস্থিতিতে সবার মুখের দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাাচ্ছিলেন হাসপাতালের বেডে থাকা বাউল। নূরজালাল পিতার হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ার কথা বর্ণনা করেন। তিনি জানান, নূরজাহান হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর একটু একটু করে সুস্থ হয়ে উঠছেন করিম। এমনকি সবাইকে চিনতে পর্যন্ত পারছেন। আমাদের সবার মুখে হাসি ফুটে উঠে। আমি বাউলের শিয়রের কাছে গিয়ে বসি। তাঁর মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলি, ‘যতদিন না সুস্থ হচ্ছেন ততদিন হাসপাতালেই থাকুন। মাথা নেড়ে সায় দেন। এরপর বিদায় নিয়ে অ গন্তব্যে চলে আসি। এটাই ছিল করিম ভাইয়ের সাথে তাঁর জ্ঞান থাকা অবস্থায় আমার শেষ সাক্ষাৎ। নুরজাহান হাসপাতাল থেকে আর বাড়ি যেতে পারেন নি শাহ আবদুল করিম। ২০০৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সকালে তাঁর জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে চলে যাওয়ার খবরটা শুনে ছুটে যাই সেখানে। হাসপাতালে তখন স্বজনদের ভিড়। ডাক্তার লাইফ সাপোর্ট দেওয়া ছাড়া গত্যন্তর নেই বলে জানান। সে অনুযায়ী তাঁকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। হাসপাতালের বেডে ঘুমিয়ে পড়া আবদুল করিম চিকিৎসকদের শত চেষ্টা সত্ত্বেও জেগে ওঠেননি। পরদিন ১২ সেপ্টেম্বর সকাল আটটায় নুরজাহান হাসপাতালেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। দুঃসংবাদটা শুনে প্রথমে বিশ্বাস হয়নি। ছুটে যাই হাসপাতালে, দেখি নিথর দেহ পড়ে আছে আবদুল করিমের। স্বজনদের কান্নায় ভারি হয়ে ওঠে পরিবেশ। করিম ভাইয়ের সান্নিধ্যে আমি যেটা গভীরভাবে অনুধাবন করেছি তা হচ্ছে, তিনি ধর্মান্ধ ছিলেন না। তাঁর গানে সে প্রমাণ পাওয়া যায়। জীবদ্দশায় বিভিন্ন সাক্ষাৎকারেও তা খোলাসা করেছেন তিনি। কিন্তু মৃত আবদুল করিমকে আমরা তাঁর লালিত চেতনা দ্বারা শেষ বিদায় জানাতে পারিনি। এটা আমাদের অক্ষমতা। তবে আবদুল করিমের শেষ বিদায়কালে সেই ব্যর্থতাকে ডিঙিয়ে তাঁর অনুসারীরা নিজেদের অজান্তেই একটি বিপ্লব করেছেন। আমাকে ফোনে জানানো লেখক মাহফুজুর রহমানের অভিব্যক্তি-‘বিপ্লব অই গেছেগি।’ আমি প্রশ্ন করি কিসের বিপ্লব! তিনি খোলাসা করেন, বাংলার বাউলরা অতীতে যা পারেনি উজানধলে তাই হয়েছে। সিলেট শহর থেকে বাউল রীতিতেই দিরাইয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে করিম ভাইয়ের লাশ। তাই বা কম কিসে! আর তার সাক্ষী হয়ে রইলো বহমান কালনী নদী। হাওর আর কালনী নদীর বুকে নাও ভাসিয়ে শাহ আবদুল করিম আর কোনোদিন গান গাইবেন না, প্রিয় এই নদীর তীরে দাঁড়িয়ে বিদায় জানাবেন না অনুরাগীদের। প্রিয়তমা স্ত্রী সরলার পাশে চিরনিদ্রায় ঘুমিয়ে আছেন তিনি, শত আকুতিতেও সে ঘুম ভাঙবে না তাঁর। তবে নিজ সুর সঞ্জীবনীতে অগণিত কাল বেঁচে থাকবেন আবদুল করিম। মাঝি-মাল্লা এই কালনীতেই নাও ভাসিয়ে গাইবে তাঁর লেখা গান। আজকের মতোই আগামীর কোনো লেখক হয়তো লিখবে তিনি মরেন নি, তাঁর মৃত্যু নেই, তিনি অমৃতের সন্তান।
Head Office :
2152 – B, Westchester Ave,
Bronx, New York 10462
United States Of America.
Tel : 347 656 4623 (News), 718 823 7535 (Office), 929 261 8340 (CEO), 718 823 7538 (Fax).
Email :
report.banglanewsus@gmail.com (News),
riyahdahad@banglanewsus.com (Editorial)
info@banglanewsus.com (Advertisement)
ceo@banglanewsus.com (Event And Others).
First Fully Online Daily For The Worldwide
South Asian Community Jointly Published From
United States Of America, Great Britain
And Canada On Be-Half Of
POSITIVE INTERNATIONAL INC
@ 2014-2020
Developed BY : positiveitusa.com
Design and developed by positiveitusa.com