প্রকাশিত:বুধবার, ০৯ ডিসে ২০২০ ০৭:১২
গতকালের আগে ১৮ বছর বয়সী পারভেজ হোসেনকে চেনাতে হলে নামের আগে লিখতে হতো অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের ওপেনার। গতকাল মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর বিপক্ষে ৪২ বলে সেঞ্চুরি করে নতুন পরিচয় পেয়েছেন ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলা চট্টগ্রামের বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। বাংলাদেশিদের মধ্যে দ্রুততম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরিয়ান এখন পারভেজ। প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দ্রুততম সেঞ্চুরি আর নিজের ব্যাটিংয়ের গল্প বলেছেন এই তরুণ ব্যাটসম্যান—
গতকালের ম্যাচে আউট হয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরে যাওয়ার সময় তামিম ইকবাল আপনাকে ডেকে কিছু একটা বলেছিলেন। এরপর তো দ্বিগুণ উদ্যমে ব্যাটিং করে সেঞ্চুরি করলেন। তামিম আসলে কী বলেছিলেন?
পারভেজ হোসেন: বিশেষ কিছু না। যে ছন্দে খেলছিলাম, সেটি যেন ধরে রাখি…। যেভাবে মারছিলাম, সেভাবেই যেতে বলেছিলেন।
টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করার চেষ্টা দেখা গেছে আপনার মধ্যে। কাল মনে হলো যা চাইছেন, তা–ই হচ্ছিল…
দল থেকে যে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে, সেটাই এর কারণ। ব্যক্তিগতভাবে কাল আমার এমনই মনে হয়েছে।
ম্যাচটাও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। হারলেই টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়ত আপনাদের দল। এমন চাপের ম্যাচে এ রকম আগ্রাসী ইনিংস খেলা নিশ্চয়ই সহজ ছিল না…
পারভেজ: চাপ তো অবশ্যই ছিল। তবে আমাদের বলে দেওয়া হয়েছিল, ‘টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত যা হওয়ার হয়েছে, এখন আর হারানোর কিছু নেই।’ যে যার স্বাভাবিক খেলা খেলার কথা বলছিল। হলে হবে, না হলে সমস্যা নেই—এটাই ছিল বার্তা।
২২০ রান তাড়া করার আগে পরিকল্পনা কী ছিল? কীভাবে সাজিয়েছেন ইনিংসটি?
পারভেজ: আমি আসলে স্কোরের দিকে তাকাইনি। শুধু ওভার দেখেছি। কাল কোনো রানই দেখিনি। যদি দেখতাম তাহলে মনে হতো, ২২০ রান! কীভাবে এত রান তাড়া করব? এভাবে ভাবলে আসলে হতো না। ২০ ওভার খেলার পরিকল্পনা ছিল। আমাদের তো কোনো ব্যাটসম্যানই সেভাবে রান করছিল না। আমরা চাইছিলাম উইকেটে থাকতে।
তামিমের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙলেন। আপনারই শহরের তারকা ক্রিকেটার। আপনার অধিনায়কও…
পারভেজ: ভালো লাগছে। এমন অর্জন কার না ভালো লাগবে! আমারও ভালো লাগছে। কিন্তু যেটা হয়েছে, সেটা শেষ। এটাতে থাকলে হবে না। কাল আবার ম্যাচ আছে। সেদিকে মনোযোগ দিতে হবে।
আপনি যে দ্রুততম সেঞ্চুরি করতে যাচ্ছিলেন, এটা কি মাথায় ছিল তখন?
পারভেজ: বললাম তো, আমি কিছুই দেখিনি। একদম কিছুই না। যখন দেখেছি জিততে চার রান লাগে, সেঞ্চুরির জন্যও চার রান। তখন আমি ধ্রুব ভাইকে বলছিলাম, ‘আমার সেঞ্চুরি লাগবে।’ এর আগে আমার কোনো পরিকল্পনা ছিল না। ধ্রুব ভাই অনেক সাহস দিয়েছেন।
টি-টোয়েন্টি মাত্রই খেলতে শুরু করেছেন। কিন্তু আপনাকে দেখে মনে হচ্ছে, ছোট সংস্করণের ক্রিকেটটা অনেক দিন ধরে খেলছেন। টি-টোয়েন্টিটা কি পছন্দের সংস্করণ আপনার?
পারভেজ: সত্যি বলতে কি, আমার টি-টোয়েন্টি খেলাটা খুব ভালো লাগে। আমি মনে করি, এই খেলাই আমি ভালো খেলি। ওয়ানডে, টেস্টের তুলনায় এটাতে স্বাধীনভাবে ব্যাট করা যায়। কাল যেমন কোনো টেনশন ছিল না। আগের ম্যাচগুলোতে একটু নড়বড়ে ছিলাম। কালকের ম্যাচে অনেক নির্ভার ছিলাম। যা হওয়ার তো হয়েছে, কিছু করার নেই—মানসিকতা এমন ছিল। এটা টি-টোয়েন্টিতেই সম্ভব হয় মনে হয়।
বেশ কিছু ভালো বলে ব্যাকফুট থেকে পাঞ্চ করে ছয় মেরেছেন। ছক্কাগুলো বেশ দূরেও গেছে। দেখে তো মনে হয় শক্তি কাজে লাগিয়েই শটগুলো খেলা সম্ভব হয়েছে। এত অল্প বয়সে এটা কীভাবে করছেন?
পারভেজ: জানি না। খেলার সময় খেলে দিচ্ছি। চিন্তা করছি না। গত দুই মাস তো এইচপির ক্যাম্প ছিল। নতুন কোচ এসেছিলেন। তাঁর সঙ্গে কাজ করেছি। উনি বেশ ভালো কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। আমরা ক্যাম্পে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছি। সেটার আত্মবিশ্বাস ছিল। আমার সামনে কোন বোলার আছে, এসব চিন্তা করিনি। যেই বোলার বল করুক না কেন, নাগালে থাকলে মারব।
চট্টগ্রাম থেকে তো সব সময় ক্ল্যাসিক্যাল ব্যাটসম্যানই উঠে এসেছে। আপনিও কি নিজেকে সে রকম ব্যাটসম্যান মনে করেন?
পারভেজ: আমার ব্যাটিংয়ে কোনো ক্লাস নেই। ক্ল্যাসি যদি বলেন, তামিম ভাই তো অবশ্যই। ইরফান শুক্কুর ভাই, ইয়াসির আলী রাব্বি ভাই, শাহাদাত হোসেন আছে। আমার মধ্যে কোনো ক্লাস নেই। আমি পাওয়ার হিটিং পছন্দ করি।
আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের শুরুটা কি ছোটবেলা থেকেই?
পারভেজ: হ্যাঁ, ছোটবেলা থেকেই আমি এভাবে খেলে আসছি। হিটিংটাই আমাকে বেশি টানে।
আপনার পছন্দের ব্যাটসম্যান কে?
পারভেজ: বাংলাদেশে তো অবশ্যই তামিম ইকবাল। দেশের বাইরে বিরাট কোহলি।
Head Office :
2152 – B, Westchester Ave,
Bronx, New York 10462
United States Of America.
Tel : 347 656 4623 (News), 718 823 7535 (Office), 929 261 8340 (CEO), 718 823 7538 (Fax).
Email :
report.banglanewsus@gmail.com (News),
riyahdahad@banglanewsus.com (Editorial)
info@banglanewsus.com (Advertisement)
ceo@banglanewsus.com (Event And Others).
First Fully Online Daily For The Worldwide
South Asian Community Jointly Published From
United States Of America, Great Britain
And Canada On Be-Half Of
POSITIVE INTERNATIONAL INC
@ 2014-2020
Developed BY : positiveitusa.com
Design and developed by positiveitusa.com