প্রকাশিত:রবিবার, ২৯ নভে ২০২০ ১১:১১
কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) :
সম্ভবনাময় পিকনিকস্পট হতে পারে কিশোরগঞ্জের চাড়ালকাটা নদীর উপর নির্মিত এ্যকুয়েডাক্টটি। পাশাপাশি পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বন বিভাগের লাগানো দেশী-বিদেশী নানা প্রজাতির সৌন্দর্যের ডালি মেলানো সারি সারি গাছ। এ্যকুয়েডাক্টের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে বগুড়া সেচ খালের পানি। নিজ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ওই নদীর সাদা স্বচ্ছ জলরাশি। ভ্রমণ পিপাসুরা খুঁজে ফিরেন সবসময় এমনিই একটি স্থান। নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলাসহ কয়েকটি উপজেলার ভ্রমণ পিপাসু মানুষ পিকনিক স্পট হিসেবে ওই স্থানটিকে বেঁচে নিয়েছে। এখানে প্রতিদিন শত শত মানুষ আসছে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য। সম্প্রতি নদীর জেগে ওঠা ২৩ একর চর কালীবাড়ি নামে পরিচিতি লাভ করেছে। প্রতি বছর এখানে একটি মেলাও বসছে।
কিশোরগঞ্জ শহর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে ওই স্থানে নদীর উপর নির্মান করা হচ্ছে ১৯০ মিটার একটি গার্ডার ব্রীজ। চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। এ্যকুয়েডাক্টটি রক্ষার জন্য উত্তর ও দক্ষিন পাশ্বে রয়েছে দুটি বাঁধ। বাঁধের উপর লাগানো হয়েছে দেশী-বিদেশী নানা প্রজাতির ফুল ও কাঠের গাছ। যেন সবুজের সমারোহ। গাছের সারি, পাখিদের কলকাকলী, নদীর এঁকেবেঁকে বয়ে চলা ঢেউ, এ্যকুয়েডাক্টের সন্নিকটে একটি বহুতল বিশিষ্ট উচ্চ বিদ্যালয় দেখে মুগ্ধ হবে যে কেউ। এ্যকুয়েডাক্টের দু পাশ্বে দাড়ালে শোনা যায় সম্প্রতি খনন করা নদীর ঢেউয়ের গর্জন আর বির্স্তীন্ন এলাকাজুড়ে সোনালী ফসলের মাঠ। সেখানে আপন মনে কাজ করছে কৃষাণ-কৃষাণীরা। কখনও কখনও তারা গেয়ে উঠছে ভাওয়াইয়া গানের কলি। নদীর পশ্চিম ও পূর্ব দিকে তাকালে দেখা যাবে জেলেদের মাছ আহরণের দৃশ্য আর সন্ধ্যা নেমে আসলেই শোনা যায় শেয়ালের হুক্কাহুয়া ডাক। ওই স্থান থেকে ২০০ গজ দক্ষিণ পশ্চিমে তাকালে দেখা যাবে সারিবদ্ধ ভাবে দাড়িয়ে আছে একটি আশ্রয়ণ প্রকল্প। এই প্রকল্পটি আশি গ্রাম নামেও পরিচিত। আরও দক্ষিণ পূর্বে রয়েছে সিনহা গ্রুপের একটি বিশাল চা বাগান। এসব মনকারা দৃশ্য দেখতে এখানে ছুটে আসে ভ্রমণপ্রেমীরা। ফলে মানুষের পদচারণায় সবসময় মুখর হয়ে থাকে ওই স্থানটি।
সৈয়দপুর উপজেলার খিয়ার জুম্মাপাড়া থেকে ফুচকা বিক্রি করতে আসা আলমগীর হোসেনের সাথে এসময় কথা এই প্রতিবেদকের। তিনি জানান, ফুচকা, চটপটি ও বার্গাারসহ কয়েক প্রকার তৈরী খাবার তিনি প্রতিদিন নিয়ে আসেন। এসব খাদ্য সামগ্রী তিনি বিক্রি করেন ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা। এতে তার দৈনন্দিন লাভ আসে ৭ থেকে ৮শত টাকা।
ঘুরতে আসা ২ বন্ধু মনির হোসেন ও সুর্য সেন বলেন, কিশোরগঞ্জে এতো সুন্দর একটি জায়গা রয়েছে তা আগে আমরা জানতাম না। মনমুগ্ধকর পরিবেশ, গাছে গাছে পাখির কলোরব, নির্মল বাতাস আর এ্যকুয়েডাক্টের উপর দিয়ে বয়ে চলা পানি দেখতে খুবই ভালো লাগে। স্থানটি সত্যিই অসাধারণ। এখানে পরিবার ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে পিকনিকেও আসা মন্দ হবে না। তাদের দাবী এখানে একটি সৌচাগার স্থাপন করা হলে ভ্রমণপ্রেমীদের সুবিধা বাড়বে।
বাহাগিলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান শাহ বলেন, ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য সরকারী উন্নয়ণ প্রকল্প থেকে অতিতারাতারি একটি সৌচাগার স্থাপন করা হবে। তবে পানি উন্নয়ণ বোর্ড কর্তৃপক্ষকে এব্যাপারে আরো সচেতন হতে হবে।
সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মোফাখখারুল ইসলাম বলেন, ইতিমধ্যে ওই স্থানে ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য বসার চেয়ার স্থাপন করা হয়েছে। আগমীতে ওই জায়গায় একটি পার্ক গড়ে তোলা হবে।
Head Office :
2152 – B, Westchester Ave,
Bronx, New York 10462
United States Of America.
Tel : 347 656 4623 (News), 718 823 7535 (Office), 929 261 8340 (CEO), 718 823 7538 (Fax).
Email :
report.banglanewsus@gmail.com (News),
riyahdahad@banglanewsus.com (Editorial)
info@banglanewsus.com (Advertisement)
ceo@banglanewsus.com (Event And Others).
First Fully Online Daily For The Worldwide
South Asian Community Jointly Published From
United States Of America, Great Britain
And Canada On Be-Half Of
POSITIVE INTERNATIONAL INC
@ 2014-2020
Developed BY : positiveitusa.com
Design and developed by positiveitusa.com