প্রকাশিত:রবিবার, ০৬ ডিসে ২০২০ ০৯:১২
অনলাইন রিপোর্টার ॥ খসড়া নীতিমালা তৈরির অন্তত চার বছর পর বড় ‘তিনটি পরিবর্তন’ নিয়ে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে আইএসপি (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার) গাইডলাইন। এটা থাকলে দেশের ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ন্ত্রণ, মনিটরিং ও পরিচালনা আরও সহজ হবে, স্বচ্ছতা আসবে আইএসপিগুলোর ইন্টারনেট সেবায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এরই মধ্যে গাইডলাইনের অনুমোদন দিয়েছে। বুধবার (২ ডিসেম্বর) নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির বৈঠকেও গাইডলাইন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যেকোনও সময় আলোর মুখ দেখতে পারে আইএসপি গাইডলাইন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ‘আইএসপি রেগুলেটরি ও লাইসেন্সিং গাইডলাইন’ তৈরি হয়েছে সরকার, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও স্টেকহোল্ডারগুলোর (ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান) সমন্বয়ে। সরকারের উদ্যোগে খসড়া তৈরি করে তাতে সব পক্ষের মতামত নেওয়া হয়। পরে সংযোজন ও বিয়োজন করে চূড়ান্ত করা হয় গাইডলাইন।
২০১৬ সালের শুরুতে জানা যায়, আইএসপি গাইডলাইনের খসড়া তৈরির কথা। এরও আগে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে প্রস্তাবনা চাওয়া হয়। পরে সেসব থেকে অনেক কিছুই সংযোজন ও বিয়োজন করা হয়েছে। জানা যায়, বরাবরই গাইডলাইনে (খসড়ায়) ইন্টারনেট সেবার মান বৃদ্ধি এবং তা আরও গ্রাহকবান্ধব করার নির্দেশনা ছিল।
খসড়া আইএসপি গাইডলাইনে গ্রাহকের জন্য আইএসপিগুলো কী কী সেবা দেবে এবং সেবার মান কী হবে, তার উল্লেখ থাকার কথা রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইএসপিএবি’র সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, ‘ইন্ডাস্ট্রির জন্য ভালো হয় এমন নীতিমালায় প্রত্যাশিত। ইন্ডাস্ট্রি ও গ্রাহকবান্ধব নীতিমালা সব পক্ষেরই স্বার্থ রক্ষা করে।’ তিনি জানান, লাইসেন্স ফি কিছুটা বাড়ছে বলে জানতে পেরেছি। আশা করি, তা এ শিল্পে বড় কোনও প্রভাব ফেলবে না।’
জানা যায়, লাইসেন্স ফি বৃদ্ধি, লাইসেন্সিং ক্যাটাগরি পরিবর্তন এবং আইআইজি থেকে আইএসপিগেুলোর ব্যান্ডউইথ কিনতে হবে— এমন বড় পরিবর্তন আসছে চূড়ান্ত নীতিমালায়। সংশ্লিষ্টরা জানান, আগে নেশনওয়াইড লাইসেন্সের বার্ষিক ফি ছিল এক লাখ টাকা। চূড়ান্ত নীতিমালায় তা বেড়ে আড়াই লাখ টাকা হতে পারে।
আইএসপিএবির সহ-সভাপতি আহমেদ জুনায়েদ জানান, লাইসেন্সিং ক্যাটাগরিতে পরিবর্তন এসেছে। নতুন নামের চারটি ক্যাটাগরি হলো— নেশনওয়াইড, বিভাগীয় পর্যায়, জেলা পর্যায় ও উপজেলা বা থানা পর্যায়ে। এখন জেলা বা উপজেলা পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবা দিতে হলে ওই ক্যাটাগরিতে লাইসেন্স নিতে হবে।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা সংশ্লিষ্ট আইএসপিগুলোকে নির্দিষ্ট এলাকার (ক্যাটাগরি ভিত্তিতে) লাইসেন্স নেওয়া, নবায়ন করা এবং আপগ্রেড করার জন্য যৌক্তিক সময় দেবে বলে তিনি মনে করেন।
আহমেদ জুনায়েদ বলেন, ‘নীতিমালায় আরও যে পরিবর্তন আসছে বলে জানতে পেরেছি তা হলো—আইএসপিগুলো অন্য কোনও আইএসপির কাছে ব্যান্ডউইথ বিক্রি করতে পারবে না।
আইআইজি (ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে) অপারেটরগুলোর কাছ থেকে আইএসপিকে ব্যান্ডউইথ কিনতে হবে। এতে করে এই খাতে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।’
পাড়ার আইএসপিগুলোর বিরুদ্ধে এ ধরনের বহু অভিযোগ শোনা যায় যে, তারা স্থানীয় আইএসপিগুলোর কাছ থেকে ব্যান্ডউইথ নেয়।
এতে করে দীর্ঘদিন স্থানীয় পর্যায়ের ইন্টারনেট সেবায় একটা বিশঙ্খলা বিরাজ করছিল। নীতিমালার ফলে এ ধরনের সমস্যা দূর হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, নীতিমালায় আইএসপিগুলোর রাজস্ব আয়ের এক শতাংশ ভাগাভাগি (রেভিনিউ শেয়ারিং) এবং এক শতাংশ সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলে (এসওএফ) দেওয়ার জন্য প্রস্তাবনা ছিল।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই দুটি বিষয় নীতিমালায় থাকছে না বলে জানা গেছে। আর এই খবরে আইএসপি শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের কণ্ঠে স্বস্তির সুর খুঁজে পাওয়া গেলো, সেই সঙ্গে তাদেরকে নির্ভারও মনে হয়েছে।
Head Office :
2152 – B, Westchester Ave,
Bronx, New York 10462
United States Of America.
Tel : 347 656 4623 (News), 718 823 7535 (Office), 929 261 8340 (CEO), 718 823 7538 (Fax).
Email :
report.banglanewsus@gmail.com (News),
riyahdahad@banglanewsus.com (Editorial)
info@banglanewsus.com (Advertisement)
ceo@banglanewsus.com (Event And Others).
First Fully Online Daily For The Worldwide
South Asian Community Jointly Published From
United States Of America, Great Britain
And Canada On Be-Half Of
POSITIVE INTERNATIONAL INC
@ 2014-2020
Developed BY : positiveitusa.com
Design and developed by positiveitusa.com