প্রকাশিত:শনিবার, ১৮ জুলা ২০২০ ০৯:০৭
জসিম বেপারী সহকারী শিক্ষক , মাদারীপুর
আজ জাতিসংঘ কর্তৃক প্রণীত প্রাথমিক শিক্ষার উপর MDG- এর লক্ষ্য মাত্রা অর্জিত হয়েছে। সেই জন্য সরকার বিশ্ব সংস্থা গুলোর থেকে প্রশংসাও পাচ্ছে। আশাকরি SDG -এর লক্ষ্য মাত্রাও অর্জিত হবে। সরকার নির্ধারিত প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্যও অনেকাংশে অর্জিত হয়েছে। কিন্তু এসব সাফল্য কীভাবে, কোন প্রক্রিয়ায় এবং কাদের জন্য অর্জিত হয়েছে তা কি কেউ কখনো ভেবে দেখেছে? প্রাথমিক শিক্ষার জন্য সরকারের উদ্যোগ কারা বাস্তবায়ন করেছে? এসব নিয়ে কখনো গবেষণা হয়েছে? প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জন করা দায়িত্ব নিয়েছে একঝাক মেধাবী তরুণ-তরুণী। প্রাথমিক শিক্ষার যত সাফল্য ও যত প্রশংসা সবই এসেছে এসব তরুণ -তরুণীর জন্য। কখনো কি দেখা হয়েছে এসব তরুণ-তরুণীর শিক্ষাগত যোগ্যতা? আজ প্রাথমিক শিক্ষায় স্নাতক (সম্মান), স্নাতকোত্তর,বিএড,এমএড পাস করা তরুণ-তরুণীর অভাব নেই। সেই দিন বেশি দূরে নয় যেদিন প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ অর্জিত হবে। আর এসব সম্ভব হবে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত, পেশাগত জীবনে সফল এসব তরুণ-তরুণীর জন্যই। কিন্তু যাদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষার সাফল্য অর্জিত হয়েছে কর্তৃপক্ষ কি কখনো তাদের কথা চিন্তা করেছে? তাদেরকে প্রাথমিক শিক্ষায় ধরে রাখার ব্যবস্থা করেছে? কেন আজ এসব মেধাবী তরুণ -তরুণী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার আগ্রহ হারাচ্ছে? কেন তারা প্রাথমিকের চাকরি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার সর্ব্বোচ্চ চেষ্টা করছে এবং ছেড়েও যাচ্ছে? কেন এবং কিসের আশায় এসব মেধাবী তরুণ -তরুণী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করবে? এখানে না আছে যৌক্তিক বেতন কাঠামো, না আছে বিভাগীয় সুবিধা নিয়ে কর্মকর্তা হওয়ার সুযোগ। যতটুকু ছিলো তাও আবার কর্তৃপক্ষ কেড়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে চাইছে। আগের নিয়োগবিধিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বিভাগীয় সুবিধা নিয়ে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার হওয়ার সুযোগ ছিলো। আর এই আশাতেই মেধাবী তরুণ-তরুণীরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেছে। তারা চিন্তা করেছে আর যাই হোক বিভাগীয় সুবিধা নিয়ে অন্তত কর্মকর্তা হওয়া যাবে। যার জন্য মেধাবী শিক্ষকরা সবসময়ই জ্ঞানার্জনে ব্যস্ত থাকতো। এতে তারা কর্মকর্তা হতে না পারলেও তাদের মেধাকে পেশাগত জীবনে ব্যবহার করতো। এখন যদি বিভাগীয় সুবিধা কেড়ে নেওয়া হয় তাহলে এসব মেধাবী তরুণ-তরুণী মেধার চর্চা করতে নিরুৎসাহিত হবে। আর এযুগের মেধাবীরা প্রাথমিক শিক্ষায় আসতে চাইবে না। কর্তৃপক্ষ একটা কথা মনে রাখবেন আপনারা যদি প্রাথমিক শিক্ষায় মেধাবীদের নিয়োগ দিতে না পারেন যতই চেষ্টা করুন প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কোনোদিনই অর্জিত হবে না। যতই আধুনিক প্রশিক্ষণ দেন, যতই কারিকুলাম আধুনিক করেন শিক্ষক যদি মেধাবী না হয় তাহলে এসব কোনো কাজেই আসবে না।একাডেমিক শিক্ষায় দুর্বল, পাঠদানে অযোগ্য, আধুনিক কারিকুলামে জটিল বিষয় বুঝতে অক্ষম শিক্ষককে যতই প্রশিক্ষণ দেয়া হোক তাতে সাফল্য শূন্যই থেকে যাবে। একজন শিক্ষক যদি প্রাথমিকের যেকোন গণিত সমস্যার সমাধান করতেই না পারেন, ইংরেজি বই পড়তেই না পারেন তাহলে তাকে দিয়ে কীভাবে প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্য অর্জন করবেন? আধুনিক প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্য অর্জন করতে চাইলে কর্তৃপক্ষকে মেধাবী ও যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। আর মেধাবীদের নিয়োগ দিতে চাইলে সহকারী শিক্ষকদের বিদ্যমান সুবিধা বহাল রেখে আরও সুযোগ দিতে হবে। যেমন অধিদপ্তরের নিয়োগযোগ্য সকল পদে সহকারী শিক্ষকদের ৪৫ বছর পর্যন্ত আবেদনের সুযোগ দিতে হবে। এই সুযোগ নিয়ে তারা কর্মকর্তা হতে না পারলেও পেশাগত জীবন উন্নত করার যে চেষ্টা ও পরিশ্রম তারা করবে তা শিক্ষকতা জীবনে ব্যবহার করবে। এতে প্রাথমিক শিক্ষার চেহারা পাল্টে যাবে। কর্তৃপক্ষ সহকারী শিক্ষকদের জন্য যে চারটি পদোন্নতির কথা বলছে তা যে কত আমলাতান্ত্রিক জটিলতার বেড়াজালে আবদ্ধ তা কী খেয়াল করেছেন। প্রাথমিকে একটা পদোন্নতি পেতে পেতেই দুই বার অবসর গ্রহণ করে। আর তো চারটা পদে পদোন্নতি! আজ দশ বছর হতে চলল প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি নাই। তাহলে কীভাবে চারটা পদে পদোন্নতি নিবেন? প্রাথমিক শিক্ষায় মেধাবীদের আকৃষ্ট করতে চাইলে এবং ধরে রাখতে চাইলে অধিদপ্তরের নিয়োগযোগ্য (কর্মকর্তা পর্যায়ের) সকল পদের ৫০%পদ সংরক্ষিত রেখে বিভাগীয় পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ আজ সময়ের দাবি। কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি গভীরভাবে ভেবে দেখার আহবান জানাই। জসিম বেপারী সহকারী শিক্ষক আলহাজ্ব সৈয়দ আতাহার আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কালকিনি, মাদারীপুর।
Head Office :
2152 – B, Westchester Ave,
Bronx, New York 10462
United States Of America.
Tel : 347 656 4623 (News), 718 823 7535 (Office), 929 261 8340 (CEO), 718 823 7538 (Fax).
Email :
report.banglanewsus@gmail.com (News),
riyahdahad@banglanewsus.com (Editorial)
info@banglanewsus.com (Advertisement)
ceo@banglanewsus.com (Event And Others).
First Fully Online Daily For The Worldwide
South Asian Community Jointly Published From
United States Of America, Great Britain
And Canada On Be-Half Of
POSITIVE INTERNATIONAL INC
@ 2014-2020
Developed BY : positiveitusa.com
Design and developed by positiveitusa.com