প্রকাশিত:শনিবার, ১৩ ফেব্রু ২০২১ ০৫:০২
সাইমূম ইভান::
কোনাদিন আচমকা একদিন
ভালবাসা এসে যদি হুট করে বলে বসে
চল যেদিকে দু চোখ যায় চলে যাই…
যাবে …
লাইন গুলো হেলাল হাফিজের কবিতার। কবিতায় সেই আচমকা একদিন টি আজ রোববার। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। হ্যাপি ভ্যালেন্টাইন ডে…! প্রেম ভালোবাসা চিরন্তন আর শাশ্বত দিন।
সেই আদিম গুহাবাসী থেকে শুরু করে আজকের আধুনিক তরুণ-তরুণীর হৃদয়ে উচ্ছাস আবেগের ফুটে ওঠা ভালোবাসার লাল গোলাপে রাঙা প্রিয়জনকে কাছে পাবার কিংবা মনের কথা বলার একটি বিশেষ দিন।
এদিকে প্রকৃতির দক্ষিণা দুয়ারে বইছে ফাগুনের হাওয়া। কোকিলের কণ্ঠে আজ বসন্তের আগমনী গান। ফুলে ফুলে ভ্রমরও করছে খেলা। গাছে গাছে পলাশ আর শিমুলের মেলা। সব কিছুই জানান দিচ্ছে আজ পহেলা ফাল্গুন।
ফাল্গুনের হাত ধরেই ঋতুরাজ বসন্তের আগমন। ঋতুরাজকে স্বাগত জানাতে প্রকৃতির আজ এতো বর্ণিল সাজ। বসন্তের এই আগমনে প্রকৃতির সাথে তরুণ হৃদয়েও লেগেছে দোলা। সকল কুসংস্কারকে পেছনে ফেলে, বিভেদ ভুলে, নতুন কিছুর প্রত্যয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা নিয়ে বসন্তের উপস্থিতি। তাই কবির ভাষায়- ‘ফুল ফুটুক আর না-ই ফুটুক আজ বসন্ত’।
তাই সোজা কথা আজ বসন্ত ও ভালোবাসার দিন।
ভ্যালেন্টাইনস ডের ইতিহাস নিয়ে নানা কাহিনীর কথা শোনা গেলেও প্রচলিত কাহিনীটি ছিল রোমান ক্রিশ্চিয়ান পাদ্রি সেন্ট ভ্যালেন্টাইন্স এর কাহিনী অনুসারে। পেশাগত জীবনে তিনি ছিলেন চিকিৎসক।
সে সময় দেব-দেবীর পূজা নিয়েই মত্ত ছিল রোমানরা। তারা ক্রিশ্চিয়ান ধর্মে বিশ্বাসী ছিল না, এমন একটি সময় ২৭০ খ্রিস্টাব্দে রোমে ক্রিশ্চিয়ান ধর্ম প্রচারের অভিযোগে তৎকালীন রোম সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াসের আদেশে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেওয়া হয়। মৃত্যুদন্ড কার্যকর হওয়া পর্যন্ত ভ্যালেন্টাইন ছিলেন জেলে বন্দী। জেলখানায় তাকে যে কক্ষে রাখা হয়েছে ওই কক্ষের ছোট একটি জানালা ছিল। সেন্ট ভ্যালেন্টাইন দিনের বেলায় ওই জানালার পাশে বসে জেলখানার কর্মচারীদের ছোট ছেলেমেয়ে এবং অন্য কয়েদিদের দেখতেন। কৌত‚হলী শিশুরা তাকে নিয়ে মজা করত। ভালোবাসার কথা জানিয়ে ফুল, চিঠি ইত্যাদি ছুড়ে মারত। সেন্টের ডাক্তারি বিদ্যা রপ্ত ছিল বলে জেলখানার অভ্যন্তরে তাকে দিয়ে চিকিৎসাসেবার কাজ করানো হতো। জেলখানায় বন্দি অবস্থায় সেন্ট চিকিৎসা করে জেলারের অন্ধ মেয়ের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে আনেন, এ নিয়ে জেলারের মেয়েটির সঙ্গে তার যোগাযোগ বাড়ে।
এরই মধ্যে ঘনিয়ে আসে সেন্টের মৃত্যুদন্ডের কার্যকরের দিন। মৃত্যুর আগে সেন্ট মেয়েটিকে উদ্দেশ্য করে একটি চিঠি লেখেন। ওই চিঠিতে সেন্ট তার প্রতি শুভ কামনা জানিয়ে ভালোবাসার কথা প্রকাশ করেন। চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘ফ্রম ইউর ভ্যালেন্টাইন’।
প্রচলিত ধারণা মতে, সে ঘটনায় পোপ প্রথম জুলিয়াস ৪৯৬ খ্রিস্টাব্দে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের নামানুসারে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ভ্যালেন্টাইনস ডে হিসেবে ঘোষণা করেন।
এছাড়া ইতিহাসে আরো একজন ভ্যালেন্টাইনের নাম আলোচনায় আসে। যুদ্ধে তরুণ সেনা সংগ্রহের জন্য রোমান সম্রাট ক্লডিয়াস যুবকদের বিয়ে করতে নিষেধ করেন। ওই সময় এক তরুণ নিয়ম ভেঙে প্রেম এবং বিয়ে করেন। এর শাস্তিস্বরূপ তাকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়। ভ্যালেন্টাইনস ডে প্রতিষ্ঠায় এ কাহিনীও আলোচনায় আসে।
ভ্যালেন্টাইনস নিয়ে রোমেরই আরেকটি গল্প কাহিনীর কথা শোনা যায়। বহু বছর আগে রোমে বিয়ে এবং সন্তান উৎপাদনের ক্ষেত্রে ২টি উৎসব প্রথা চালু ছিল। এর অন্যতম উৎসব ছিল লুপারকালিয়া। উৎসবটি হত ১৫ ফেব্রæয়ারি। এ উৎসবের কারণে দেবতা লুপারকাস রোম শহর নেকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতেন। উৎসবে তরুণরা প্রায় নগ্ন হয়ে উল্লাস করত এবং নবনিবাহিতাকে চাবুক দিয়ে পেটাত। তরুণরা মনে করত এতে সন্তান উৎপাদন সহজ হবে। এর আগের দিন ১৪ ফেব্রæয়ারি তরুণ-তরুণীরা লটারি করে তাদের নাচের পার্টনার নির্বাচন করত। ৪০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ২ দিনের উৎসবকে কমিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি এক দিনের উৎসব নির্ধারণ করা হয়। ১৪ ফেব্রæয়ারি রোমানরা বক্সের ভেতর নাম রেখে লটারি করে তাদের প্রিয়তম বা প্রিয়তমাকে বেছে নিত। তাই এ দিনটি তাদের কাছে পার্টনার বেছে নেওয়ার দিন।
আবার অনেকের ধারণা, ১৪ ফেব্রæয়ারি পাখিরা তাদের পার্টনার বেছে নেয়। ফলে এ দিনটি ভালোবাসা দিবসের জন্য উপযুক্ত। ১৭০০ সালের দিকে ইংরেজ নারীরা কাগজে তাদের পরিচিত পুরুষের নাম লিখে কাদামাটি মিশিয়ে পানিতে ছুড়ে মারত। যার নাম প্রথমে ভেসে উঠত সে-ই হত প্রকৃত প্রেমিক। মূলত এসব ঘটনাকে সামনে রেখেই বিশ্বে ভ্যালেন্টাইনস ডে বা ভালোবাসা দিবস পালিত হয়ে আসছে।
এদিকে গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ সহ মহানগর সিলেটে ব্যাপকতা পাওয়া এ দিনটি এবার পালিত হচ্ছে বেশ সংশয় নিয়ে। তবে এবারে ভালোবাসা দিবসটি অন্যান্যবারের চেয়ে আলাদা। গত প্রায় ১বছর বৈশ্বীক মহামারী কোভিড ১৯ এর করাল গ্রাস কমে এলেও একেবারে মুক্তি মেলেনি এর থেকে।
অপরদিকে এবারও ভালোবাসার দিনটি হয়ে উঠেছে বসন্তের রঙে রঙিন। ভ্যালেন্টাইনস ডে ও বসন্ত উৎসব মিলেমিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে। এ যেন বিশ্বময় ভালোবাসা ফাগুনের রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে।
কার্যত বাংলাদেশের সঙ্গে জড়িত ঐতিহাসিক দিবসগুলোকে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের সাথে সমন্বয় করার জন্য বাংলা ক্যালেন্ডার পরিবর্তন করা হয়েছে। যার ফলে এখন থেকে পয়লা বৈশাখ, পয়লা ফালগুনসহ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলো নির্দিষ্ট দিনে পালন হবে।
বাংলাদেশে নতুন বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী এখন থেকে বাংলা বছরের প্রথম ছয় মাস ৩১ দিনে হবে। এর আগে বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়, শ্রাবণ, ভাদ্র- বছরের প্রথম এই পাঁচ মাস ৩১ দিন গণনা করা হত। এখন ফালগুন মাস ছাড়া অন্য পাঁচ মাস ৩০ দিনে পালন করা হবে।ফালগুন মাস হবে ২৯ দিনের, কেবল লিপইয়ারের বছর ফালগুন ৩০ দিনের মাস হবে।
ফলে পয়লা বসন্তের মতো দিনটি যেখানে প্রতিবছর তেরোই ফেব্রুয়ারিতে পালন করা হতো ২০২০ সাল থেকে বাংলা ফালগুন মাসের প্রথম সেই দিনটি চলে এসেছে ১৪ই ফেব্রুয়ারি।
এদিকে প্রেম ভালবাসার বিষয়টি অনেকটাই ভাব বা চেতনার ব্যাপার। প্রথমে শুরু হয় দেখা, সেখান থেকে সৃষ্টি আবেগ, অতঃপর প্রেম। চোখের দেখার পাশাপাশি মস্তিস্কের চিন্তা-ভাবনা, বন্ধুর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি, মানবতাবোধ, এসব কিছু মিলেই মানব হৃদয়ে সৃষ্টি হয় প্রেম বা ভালবাসা। প্রেম সত্যিই রহস্যময়।
ভালবাসা সম্পর্কিত সর্বাধুনিক সংজ্ঞাটি হচ্ছে হৃদয়ের স্বচ্ছ সরোবরে ভাবের তরণীকে প্রস্ফুটিত করাকেই বলে ভালবাসা। পৃথিবীর সমস্ত ভালোবাসা পাল তুলে নিসর্গের দিকে যেন ছুটে গেল ১৪ ফেব্রুয়ারি দিনটিতে। যা মানুষের হৃদস্পন্দনে এনে দেয় প্রশান্তির রঙিন ছায়া।
সময়ের সন্ধিতে প্রিয় মানুষের সাথে এ প্রিয় ক্ষণকে উপভোগ্য করে তুলতে নানা সামাজিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি ফুল, কবিতার বই, কার্ড, চকলেট, পুতুল, প্রসাধনি সহ নানা রকমের উপহার বিনিময়ের মধ্য দিয়ে পালিত হয় এ দিনটি। সকাল থেকেই নগরের রাজপথে থাকে মিথুনদের ঢল। লাল গোলাপের রঙে পোষাকেও থাকে লালের রাজত্ব। বিভিন্ন পার্ক আর কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের কেম্পাসেও হয় তাদের তুমুল আনাগোনা। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির জন্য তা বেশ পরিমিত।
দিনটিকে উপলক্ষ করে রেস্টুরেন্টে আয়োজন করা হয় স্পেশাল রেসিপির। সবচেয়ে বেশি আনাগোনা দেখা যায় ফুল আর উপহারের দোকানগুলিতে। দিনটিকে ঘিরে এ দিন ফুলের দাম থাকে বেশ চড়া। দোকানে প্রতিটি গোলাপ বিক্রি হয় ২০ থেকে ৫০ টাকায়।
তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বসন্ত ও ভালোবাসার আয়োজন কেন্দ্র করে গত বছর ভালো ব্যবসা হয়েছিল। সেই তুলনায় চলতি বছর অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের বেচা–বিক্রি কিছুটা কম। তবে এবার যে বেচা–বিক্রি হচ্ছে করোনার এই সময়ে সেটিকে বেশ ইতিবাচকই মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, পয়লা ফাল্গুন আর বিশ্ব ভালোবাসা দিবস কেন্দ্র করে ব্যবসা অল্প হলেও স্বস্তি দিচ্ছে। মহামারির কারণে বেশ কয়েক মাস বলতে গেলে তেমন কোনো ব্যবসা হয়নি।
আবার দেশে অনলাইনে পণ্য কেনাবেচা বা ই-কমার্স ব্যবসা এমনিতেই দিন দিন বাড়ছিল। করোনার আতঙ্ক সেই গতি অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। নিরাপদ ও স্বচ্ছন্দে থাকার জন্য মানুষ ঘরে বসে অনলাইনে পণ্য কেনাকাটায় ঝুঁকছেন। মানুষের অনলাইননির্ভর কেনাকাটায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে পয়লা ফাল্গুন বা বসন্ত উৎসব ও ভ্যালেন্টাইনস ডে বা বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। করোনায় ফিকে হয়ে যাওয়া জীবনে উৎসবের রং যেন আবার ঝলমল করছে। উৎসবের এ সুবাতাস বইছে অনলাইন কেনাকাটায়। তাতে বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান এবং ফেসবুকভিত্তিক উদ্যোক্তারাও উৎসবে ব্যবহার্য পণ্যের পসরা সাজিয়ে রেখেছেন।
বিশ্বের প্রেমিক- প্রেমিকারা এ দিনের মর্মার্থ লালন করে গভীর আগ্রহে এবং আন্তরিকতায়। অনেকের উপলব্ধি, ভালবাসা দিবসে দুজন দুজনকে একান্তে কাছে পাওয়ার ইচ্ছেশক্তিকে প্রবল করে। পর¯পরের প্রতি ভালবাসার আকর্ষণে উদ্বুদ্ধ করার মনোবাসনা নিয়ে বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে আসছে ভালবাসা দিবস তথা ভ্যালেন্টাইন ডে।
তরুণ-তরুণীরা মনের মানুষের কাছে এ দিনটিতে প্রেম নিবেদন করে। প্রথম দিকে মনের কথা পাঠানো হতো তামার পাত বা কাঠের ফলকে খোদাই করে। ১৯৩৬ সাল থেকে কাগজের চিঠি বা প্রেমের কার্ড পাঠানোর রেওয়াজ শুরু হয়। রোমের ইএম ক্রুমক্রিয়াতিকে দেয়া হয় প্রথম ভালবাসার কার্ড। তবে সময়ের বিবর্তনে এ ধারার ভিন্নতা এখন লক্ষ্যণীয় ভাবে পরিববর্তিত হচ্ছে। প্রযুক্তির কল্যাণে ভ্যালেন্টাইন ডে ও এখন পেয়েছে নতুন মাত্রা। ডিজিটাল সময়ের সঙ্গে পরিবর্তন হয়েছে ভালবাসার শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানোয়। মুঠোফোন, এসএমএস ও ইন্টারনেটের ফলে ভালোবাসা মুহূর্তেই কাছাকাছি নিয়ে আসে প্রিয় মানুষটিকে। দিনটিকে কেন্দ্র করে পত্রিকাগুলো ভালবাসা দিবস সম্পর্কিত হরেক রকম লেখা, মতবাদ, স্মৃতিচারণ সহ বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং টিভি চ্যাওগেুলো নাটক, টক-শো এবং প্রচার করে।
যুগের পরিবর্তনে ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশের ক্ষেত্রেও দেখা দিয়েছে পরিবর্তন। ভ্যালেইনটাইন ডে এনে দিয়েছে সেই পরিবর্তন-পরিবর্ধন। ভালবাসা সার্বজনীন। ভালবাসা চিরন্তন। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে, সব প্রাণের মাঝে রয়েছে ভালবাসার ব্যাপ্তি।
আর তাইতো আকালের এই কালে এ দিনটিতে সমগ্র শুদ্ধ মানুষ মনে করেন এ সংঘাত সহিংসতা বন্ধে একমাত্র পারস্পরিক ভালবাসাই হতে পারে শুদ্ধতম হাতিয়ার। সকলেই মনে প্রাণে কামনা করেন বুলেট নয় গোলাপই হোক সকলের মন্ত্র ও আরাধ্য।
প্রেমের আরশিতে তাকিয়ে প্রতিটি মানুষের মনে ও মগজে গুণগুণ করে বলে উঠুক- ভালবাসাহীন শহর গায়ে ভালবাসা ছাড়া ঘর কার? দাও দাও ওকে ভালবাসা দাও ভালবাসা বড় দরকার।
Head Office :
2152 – B, Westchester Ave,
Bronx, New York 10462
United States Of America.
Tel : 347 656 4623 (News), 718 823 7535 (Office), 929 261 8340 (CEO), 718 823 7538 (Fax).
Email :
report.banglanewsus@gmail.com (News),
riyahdahad@banglanewsus.com (Editorial)
info@banglanewsus.com (Advertisement)
ceo@banglanewsus.com (Event And Others).
First Fully Online Daily For The Worldwide
South Asian Community Jointly Published From
United States Of America, Great Britain
And Canada On Be-Half Of
POSITIVE INTERNATIONAL INC
@ 2014-2020
Developed BY : positiveitusa.com
Design and developed by positiveitusa.com