প্রকাশিত:শুক্রবার, ২১ আগ ২০২০ ০৮:০৮
ঝটিকা সফরে ঢাকায় নামলেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব।করোনা ও বন্যা আক্রান্ত বাংলাদেশে দ্রুত ছটপট করে তিনি এলেন।পূর্ব ঘোষণার বালাই নেই।নেই আদব কায়দার তোয়াক্কা।আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর এড়িয়ে এয়ার ফোর্স বেইজে নেমে কাউকে দেখা না দিয়ে হাইকমিশনের গাড়ীতে উঠলেন।আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর দিয়ে আসা,পাসপোর্টে বাংলাদেশের সীল নেয়া এসব কিছুই মানেন নি।মানতে হয়নি।এটাকি? নিজ সীমান্তের চতুর্দিকে চীন ও চীনামিত্রদের ঘেরাও এবং সম্ভাব্য আকস্মিক অভিযানের ভয়ে তাদের এই অস্বাভাবিক তৎপরতা? নাকি দুর্বল প্রতিবেশীর উপর চড়াও থাকার পুরাতন রোগের আভাস?
কাহিনীটা হলো, ভারতীয় সচিবের এই ভারসাম্যহীন আচরণ বাংলাদেশ পছন্দ করেনি।ভারত সরকার বাংলাদেশ সরকারকে তাদের “অবৈধ সন্তান” বা “জোরপুর্বক সৃষ্ট সরকার” দাবি করলেও এই আচরণ পছন্দের নয়।প্রশ্ন হচ্ছে করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতার মধ্যে আরো ভয়ানক কি ধরনের ভাইরাস নিয়ে এসেছে এই ভারতীয় সচিব?
প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর ৬উপদেষ্টা সহ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী সচিবদের সাথে তার সাথে মিটিং করার খবর এসেছে দেশের সীমানা ছাড়িয়ে।বেচারা বর্ধন দুদিন পর নিজের নেংটি রক্ষা করতে না পেরে ন্যাংটা দৌঁড়বেন, এখন দুর্বলের উপর মাতবরি!–এভাবেই কথা উঠেছে গোয়েন্দা ও কূটনৈতিক মহলে।
এতে আরো বলাবলি হচ্ছে, কক্সবাজারে সেনাকর্মকর্তা হত্যার আসামীদের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছেন তিনি।ভারতীয় মিসাইল বাংলাদেশের যেসব স্থানে বসানো আছে,তা ম্যাপ ম্যাপ করে মিডিয়ায় ছেপে দেবার হুমকির আলামত দেখা যাচ্ছে।
আলোচনায় এটাও এসেছে, সেনা হত্যার পেছনে নাকি এটাই মূল ঘটনা এবং এই নির্দেশ এসেছে কোত্থেকে তা হর্ষ বর্ধনই বেশী জানেন।তারা আরো বলছেন,এই মিসাইল পাহারায় থাকা ভারতীয় সেনাদের উপর চীন রাশিয়া সহ অপর কোন কোন দেশের নজর রয়েছে সার্বক্ষনিক।
তবে কথা হচ্ছে, সীমান্তের প্রধান প্রধান দিক থেকে কয়েকটি রাজ্য হারালেও বাংলাদেশ কামড়ে ধরে থাকতে বদ্ধপরিকর ভারতীয় বাহিনী।বাংলাদেশী সরকার তো ভারতের অধীনে থাকার অঙ্গিকার ইতিমধ্যে অনেকবারই করেছে।তারপরও অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি হলে উলটোও ঘটে যেতে পারে।
অধীনে থাকা আর যুদ্ধে ভারতকে জিতিয়ে দিতে পারা কি এক কথা? তাতো নয়। দক্ষিণ এশিয়ায় শক্তি বিন্যাসের পরিস্থিতি ইতিপূর্বেকার সম্পূর্ণ বিপরীত।সব ছাড় দিয়ে বাংলাদেশ মুঠোয় রাখার জন্যে আন্তর্জাতিক সমঝোতার আশা রাখতে দোষ নেই।৭০ দশকের বিশ্ব ব্যবস্থার পরিবর্তে ২০২০ বিশ্বব্যবস্থায় অনেক পরিবর্তন নিশ্চিত হয়েছে।
এমনকি সাম্রাজ্য ভাগাভাগির সমঝোতায় ভারত বর্ষ নিয়ন্ত্রণের এখতিয়ার নয়া পরাশক্তি চীনের।আমেরিকা রাশিয়া উপরে রাজনৈতিক আবহাওয়া দেখাচ্ছে বিরোধ-বিতর্কের।প্রকৃত সম্পর্ক হচ্ছে বিপরীত।সমঝোতায় দুনিয়ার সম্পদ আহরন নিশ্চিত করা।
তবে দেখা যাক।ভারতীয় ভিজেপি সরকার বাংলাদেশ গিলে রাখার জন্যে বিশ্বশক্তিদের সমর্থন আরো পাবে আশা করে, সে আশায় মনে হয় গুঁড়েবালি।
বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে যথোপযুক্ত সন্মান দেয়াটাই ভারতের জন্যে নিরাপদ। এমন কি কৌশলগত বুদ্ধির কাজ।তাদের পররাষ্ট্র সচিবকে দিয়ে ভারসাম্যহীন ও অনাকাংখিত বাড়াবাড়ি বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন দলসহ সর্বত্র রাগ বাড়িয়েছে।বড্ড বেশী হয়ে গেছে।বহুদিনের এই হস্তক্ষেপ থামানো জরুরী।নেপাল ভূটান যা পারছে, বাংলাদেশ তা আরো বেশী পারবে, বুঝলে ভালো।
ছবিঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন।
Head Office :
2152 – B, Westchester Ave,
Bronx, New York 10462
United States Of America.
Tel : 347 656 4623 (News), 718 823 7535 (Office), 929 261 8340 (CEO), 718 823 7538 (Fax).
Email :
report.banglanewsus@gmail.com (News),
riyahdahad@banglanewsus.com (Editorial)
info@banglanewsus.com (Advertisement)
ceo@banglanewsus.com (Event And Others).
First Fully Online Daily For The Worldwide
South Asian Community Jointly Published From
United States Of America, Great Britain
And Canada On Be-Half Of
POSITIVE INTERNATIONAL INC
@ 2014-2020
Developed BY : positiveitusa.com
Design and developed by positiveitusa.com