প্রকাশিত:রবিবার, ০৪ অক্টো ২০২০ ০৪:১০
সরিষাবাড়ী (জামালপুর) :
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা এবং পৌরসভায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ চলাচলের অনুপযোগি রাস্তা-ব্রিজ গুলো এলাকার জনগনের অর্থায়নে সংস্কাররের কাজ চলছে। উপজেলা সদরের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসনের তেমন কোন তৎপরতা না থাকায় বাধ্য হয়ে এলাকা ভিত্তিক গ্রামের লোকজন ধান, পাট, গাছ, বাঁশ ও নগদ টাকা চাঁদা তুলে সংস্কারের কাজ করছে বলে স্বেচ্ছাসেবকরা জানান।
এলাকাবাসির সূত্রে জানা যায়, সাতপোয়া ইউনিয়নের বাঘমারা থেকে আদ্রা পর্যন্ত ৫/৬টি ব্রিজের দু’পাশে বন্যার পানির ¯্রােতের মাটি সরে গিয়ে চলাচলে বিঘœ ঘটছে। এলাকাবাসী নিজেদের অর্থায়নে বালু বস্তা, বাঁশ, কাঠ দিয়ে চলচলের উপযোগী করেছে। নির্মান করেছে ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের চর শিশুয়া খালের উপর কাঠের ব্রিজ এবং প্রায় তিন কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা সংস্কারের কাজ, ৩নং ওয়ার্ডের চর সরিষাবাড়ী ঝিনাই নদীর উপর কাঠের ব্রিজ, ৫নং ওর্য়াড চর রৌহা বাজারের পশ্চিম ও পূর্ব পাশে ঝিনাই নদীর উপর বাঁশের সাকো। বন্যায় শিশুয়া-বাঘমারা ব্রিজের পশ্চিম পাশে ভেঙ্গে যাওয়া সরিষাবাড়ী-মাদারগঞ্জের কয়ড়া বাজারের মেইন রাস্তা প্রায় দুই মাস যাবত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। চর শিশুয়া গ্রামের আঃ জলিল বলেন, গ্রামের প্রতিটি বাড়ী থেকে টাকা তুলে তুলে দুই লক্ষ টাকা ব্যয় করে আমরা এই কাঠের ব্রিজ তৈরী করেছি। চর সরিষাবাড়ী আলম বলেন,আমরা বাড়ী বাড়ী থেকে চাউল ধান পাট ও গাছ চেয়ে ঝিনাই নদীর উপর কাঠের ব্রিজটি করেছি। রৌহা গ্রামের আঃ জব্বার বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকেই আমরা প্রায় ১০টি গ্রামের মানুষ নিজের অর্থায়নে বাঁশের ব্রিজ তৈরী করে যাতায়াত করি। আদ্রা-চর জামিরা মেইন রাস্তা বন্যা ভেঙ্গে যাওয়া গর্ত গুলো যাতায়াতের জন্য কলার ভেলাই একমাত্র ভরসা। চর জামিরা গ্রামের সোহেল রানা বলেন, ১৯৯৬ইং সালে আদ্রা-চর জামিরা রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়, ১৯৯৮ইং সালে বন্যা দুই জায়গা ভেঙ্গে গেলেও আজ পর্যন্ত কোন প্রকার কাজ হয়নি। এতে প্রায় দুইটি ইউনিয়নের মানুষের চলাচলে জন্য একমাত্র ভরসা কলার বেলা। এলাকার মফিজ উদ্দিন, তছের আলী, ময়েজ উদ্দিনসহ অনেকেই বলেন, মাননীয় তথ্য প্রতিমন্ত্রী আলহাজ¦ ডাঃ মুরাদ হাসান এমপি মহোদয় বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা ঘাট-ব্রিজ গুলো দ্রুত মেরামতের প্রতিশ্রতি দেন। তিনি শিশুয়া-বাঘমারা ব্রিজের পশ্চিম পাশে ভাঙ্গন পরিদর্শন করে গত আগষ্ট মাসের মধ্যে মেরামতের কাজ সম্পন্ন করার কথা থাকলেও এখন গ্রামবাসির অর্থায়নে কাঠের ব্রিজ নির্মান করা হয়েছে। বন্যায় ভাটারা ইউনিয়নের গাবতলী বাজার হতে হরিপুর হয়ে চান্দের বাজার পর্যন্ত রাস্তায় বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে গেছে। গাবতলী বাজার হতে ছোট হরিপুর পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশা। কামরাবাদ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের স্বাধিনাবাড়ি পূর্বপাড়া বালুর চর নামের গ্রামে উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। বন্যায় ইউনিয়নের ডিগ্রী পাছবাড়ি মোড় এলাকার ভাঙ্গন, পপুলার জুটমিল হতে পূর্ব ধারাবর্ষা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তার ভাঙ্গন গুলো স্থানীয়রা নিজেদের অর্থায়নে সংস্কার করে বলে জানাগেছে। পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের শিমলাবাজার জামে মসজিদ হতে গণময়দান পর্যন্ত সড়কের বেহাল দশায় যানবাহন এবং মানুষ চলাচলে অযোগ্য ছিল। স্থানীয় সমাজসেবক নিজ অর্থায়নে রাস্তার সংস্কারের কাজ করেছেন বলে স্থানীয়রা জানান।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, সরকার প্রতি বছর বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে ও গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য কর্মসৃজন, কাবিটা, কাবিখা, টি আর, জি আর, এলজি এসপির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। এসব টাকা কোন প্রকার কাজ না করেই সরকারী কর্মকর্তা ও জন প্রতিনিধিদের পকেটে চলে যাচ্ছে। এতে গ্রাম গুলো যেন দিন দিন শহর থেকে যোগাযোগের বিচ্ছিন্ন হয়ে প্রধানমন্ত্রীর ‘গ্রাম হবে শহর’ শ্লোগানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে বলে তারা জানান।
Head Office :
2152 – B, Westchester Ave,
Bronx, New York 10462
United States Of America.
Tel : 347 656 4623 (News), 718 823 7535 (Office), 929 261 8340 (CEO), 718 823 7538 (Fax).
Email :
report.banglanewsus@gmail.com (News),
riyahdahad@banglanewsus.com (Editorial)
info@banglanewsus.com (Advertisement)
ceo@banglanewsus.com (Event And Others).
First Fully Online Daily For The Worldwide
South Asian Community Jointly Published From
United States Of America, Great Britain
And Canada On Be-Half Of
POSITIVE INTERNATIONAL INC
@ 2014-2020
Developed BY : positiveitusa.com
Design and developed by positiveitusa.com