প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসে ২০২০ ১০:১২
# আজ বসেছে শেষ স্প্যান, দৃশ্যমান হলো ৬.১৫ কি.মি. পদ্মা সেতু
# চালু হবে আগামী ডিসেম্বরে
# জুনের মধ্যে সড়ক ও রেল স্লাব স্থাপন
# নিরাপত্তার চাদরে পদ্মা সেতু প্রকল্প
সেলিম আহমেদ
শুরু থেকেই যে সেতুকে বলা হচ্ছিল ‘স্বপ্নের সেতু’, সেটি এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তব। একসময়ের স্বপ্নের সেই পদ্মা সেতু এখন দৃষ্টিসীমায় দিগন্তজুড়ে দাঁড়িয়ে। পদ্মার তীর থেকে দেখা যাচ্ছে পিলারের দীর্ঘ সারি। তার ওপর একে একে বসানো হয়েছে ইস্পাতের কাঠামো (স্প্যান)। আজ বৃহস্পতিবার ৪১তম অর্থাৎ শেষ স্প্যানটি বসানো হলেই বাস্তবে রূপ নেবে সারা দেশের মানুষের বহুকাক্সিক্ষত স্বপ্নের পদ্মা সেতু। ঘন কুয়াশা কাটিয়ে আবহাওয়া অনুক‚লে থাকলে আজই হবে স্বপ্ন আর বাস্তবতার সম্মিলন।
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার প্রত্যাশিত উন্নয়নের সামনে বাধার প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল বিশ্বের খরস্রোতা নদীর তালিকায় থাকা পদ্মা। এ কারণে স্বাধীনতার পূর্বকাল থেকেই দক্ষিণাঞ্চলের আপামর মানুষ স্বপ্ন দেখতেন একটি সংযোগ সেতুর। দেশ স্বাধীন হলো, সরকার এলো, সরকার গেলÑকেউ পূরণ করতে পারল না দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের এই স্বপ্ন। অবশেষে ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসেই পদ্মা সেতুর স্বপ্ন দেখালেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্বব্যাংকের অযাচিত টালবাহানাসহ নানা প্রতিক‚লতা কাটিয়ে স্বপ্নকে রূপ দিলেন বাস্তবে।
এবার সেই স্বপ্ন ছুঁয়ে দেখার পালা। আজ বসতে যাচ্ছে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর সর্বশেষ স্প্যান। সংযোগ হবে পদ্মার এপার-ওপার। ঘন কুয়াশা বাগড়া না দিলে শেষ স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে পদ্মার দুই পারের সংযোগের ক্ষণটি স্থান পাবে ইতিহাসে। বিজয়ের মাসে ‘পদ্মা বিজয়’ ইতিহাস হয়ে থাকবে। এ উপলক্ষে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের আজ খুশির জোয়ার। তাদের সঙ্গে উলাস আর উচ্ছ¡াসে মেতে উঠেছে সারা দেশের মানুষ। দূরত্ব কমে এক অঞ্চলের সঙ্গে অন্য অঞ্চলের সংযোগ স্থাপিত হওয়ায় দুই অঞ্চলের অর্থনীতিতেই ঘটবে উলম্ফন। সেই সঙ্গে জাতীয় অর্থনীতিও লাভবান হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সংযোগ সেতুতে শেষ স্প্যান বসানোকে কেন্দ্র করে উৎসবের সাজে সেজেছে পদ্মা পাড়।
এদিকে শেষ স্প্যান বসানোর ঐতিহাসিক মুহূর্তটি উদযাপনের বেশ কিছু পরিকল্পনা নিয়েছিল সেতু বিভাগ। কিন্তু করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে সব কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার অনেকটাই অনাড়ম্বরভাবেই স্প্যান তোলার কাজ সম্পন্ন হবে।
কাল শুক্রবার সেতু ভবনে প্রকল্পের অগ্রগতিসংক্রান্ত পর্যালোচনা সভা করবেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সেখানেই তিনি আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবেন। এর আগে স্প্যান তোলার মুহূর্তটি সেতু ভবন থেকে ভিডিও কলের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করার কথা ছিল সেতুমন্ত্রীর। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় শেষ মুহূর্তে সেটি বাতিল করা হয়েছে বলে সেতু বিভাগ সূত্র জানায়।
পদ্মা সেতু নির্মাণের সঙ্গে জড়িত প্রকৌশলীরা মনে করছেন, হঠাৎ করে ঘন কুয়াশা নামায় সর্বশেষ স্প্যান খুঁটিতে বসানোর কাজটা কিছুটা কঠিন হতে পারে। এ জন্য স্প্যানটি আগেই খুঁটির কাছে নিয়ে রাখা হয়েছেÑযাতে তা আজ সহজেই তোলা যায়। পদ্মা সেতুর সর্বশেষ অর্থাৎ ৪১ নম্বর স্প্যানটি বসবে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে। মাওয়ার কুমারভোগের নির্মাণমাঠে যেখানে স্প্যান প্রস্তুত করা হয়Ñসেখান থেকে এটি বসানোর খুঁটি খুব বেশি দূরে নয়। এ জন্য কুয়াশা থাকলেও বড় কোনো সমস্যা হবে না বলে মনে করছেন প্রকল্পের কর্মকর্তারা।
শেষ স্প্যান বসানো প্রসঙ্গে পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প ব্যবস্থাপক (মূল সেতু) দেওয়ান আবদুল কাদের মানবকণ্ঠকে বলেন, প্রতিটি স্প্যান বসানোর জন্য দুই দিন সময় নেয়া হয়। সেভাবেই সিডিউল করা থাকে। সেতুর শেষ স্প্যান বসানোর জন্য ১০ ডিসেম্বর সিডিউল করা রয়েছে। সেই মোতাবেকই কাজ চলছে।
তিনি বলেন, বুধবার ভাসমান বড় ক্রেনে স্প্যানটি উঠিয়ে পিলারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রাতে সেখানে স্প্যানটি রাখা হবে। সবকিছু ঠিকটাক থাকলে আজ (বৃহস্পতিবার) সুবিধাজনক সময়ে শেষ ‘২-এফ’ স্প্যানটি ১২ ও ১৩ নম্বর খুঁটিতে (পিলার) স্থাপন করা হবে। এর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হবে সেতুর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার অবকাঠামোÑযা মুন্সীগঞ্জ জেলার মাওয়া থেকে সম্পূর্ণ যুক্ত হবে শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলা তথা দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে।
জানতে চাইলে সেতু বিভাগের সচিব মো. বেলায়েত হোসেন মানবকণ্ঠকে বলেন, সেতুর শেষ স্প্যান বসানোর সব প্রস্তুতি নেয়া আছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আজ (বৃহস্পতিবার) স্প্যানটি বসানো হবে। তবে এটি পুরোপুরি কারিগরি বিষয় এবং তা দেখভাল করছে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ও প্রকৌশলীরা।
এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মুঠোফোনে মানবকণ্ঠকে বলেন, পদ্মা সেতু বাস্তবায়নে শেখ হাসিনাই মূল শক্তি। শেখ হাসিনার হাত দিয়েই পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হয়েছে এবং শেষ হবে। এই সেতু প্রধানমন্ত্রীর সাহসের ফসল। এটা তার একক কৃতিত্ব। তার একক সিদ্ধান্তের কারণে নিজস্ব অর্থায়নে এতবড় প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে। পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে অনিশ্চিত নদীর নাম হলো পদ্মা। এই পদ্মা নদীতে এত বড় সেতু নির্মাণ সত্যিই একটি দৃষ্টান্ত বটে। প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই ভাগ্যবতী।
তিনি আরো জানান, বিশ্বের অন্যতম এই সেতুটি চালু করার লক্ষ্যে এক দল চাইনিজ ও বাংলাদেশি প্রকৌশলী, পদ্মা সেতুর টেকনিক্যাল পরামর্শক বিশেষজ্ঞ প্যানেল অব এক্সপার্ট , দক্ষ দেশি-বিদেশি প্রায় সাড়ে তিন হাজার শ্রমিক, পদ্মা সেতু প্রতিষ্ঠার নানা সরঞ্জামাদি নিয়ে সিডিউলমাফিক কাজ করছে।
পদ্মা সেতুর ইতিকথা: ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর পদ্মায় সেতু নির্মাণের প্রতিশ্র“তি দিয়েছেলিনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রতিশ্র“তি অনুযায়ী সেতু নির্মাণের জন্য প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু হয় ১৯৯৮ সালে। ২০০১ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত জাপানি অর্থ সহায়ক সংস্থা (জাইকা) সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ করে। ওই সময়েই ২০০১ সালের ৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। যার মধ্য দিয়ে সেতু নির্মাণের বীজ বপন করা হয়। মাঝখানের ৮ বছর বিএনপি জোট সরকার ও তত্ত¡াবধায়ক সরকারের আমলে পদ্মা সেতুর কাজে খুব একটা অগ্রগতি হয়নি। আবার আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের আমলে ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত নকশা চ‚ড়ান্তকরণের কাজ হয়। ২০১৪ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতু নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। ২০১৫ সালে জানুয়ারিতে নিজস্ব অর্থায়নে পুরোদমে কাজ শুরু হয় ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটারের স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাজ। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বা ইস্পাতের কাঠামো বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় স্বপ্নের পদ্মা সেতু পর তিন বছর দুই মাস দশ দিনে একে একে ৪০টি স্প্যান বসানো হয়। দৃশ্যমান হয় ৬ কিলোমিটার সেতু। একমাত্র এই সেতুর প্রতিটি স্পেন বসানো খবর দেশের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার করা হয়।
সেতু নির্মাণে যত বাধাবিপত্তি: বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু প্রকল্পটির যাত্রা শুরু হয় ২০০৭ সালে। সাবেক তত্ত¡াবধায়ক সরকার ওই বছরের ২৮ আগস্ট ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করেছিল। পরে আওয়ামী লীগ সরকার এসে রেলপথ সংযুক্ত করে ২০১১ সালের ১১ জানুয়ারি প্রথম দফায় সেতুর ব্যয় সংশোধন করে। কাজ শেষ হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ ধরা হয়েছিল ২০১৩ সাল। প্রকল্পের অর্থ ঋণ হিসেবে জোগান দেয়ার প্রতিশ্র“তি দিয়েছিল পাঁচটি সংস্থা। সংস্থাগুলো হলো, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), বিশ্বব্যাংক, জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা), ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক ও আবুধাবি ডেভেলপমেন্ট গ্র“প। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংক ১২০ কোটি ডলার দেয়ার প্রতিশ্র“তি দিয়েছিল। আর জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) দেয়ার কথা ছিল ৪১.৫ কোটি ডলার। কিন্তু বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে ২০১২ সালের ২৯ জুন অর্থায়নের প্রতিশ্র“তি প্রত্যাহার করে নেয়। কাল্পনিক দুর্নীতির অভিযোগে ওই সময়ের সেতু সচিব মোশাররফ হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়, মন্ত্রিত্ব হারাতে হয় যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে। কানাডায় গ্রেফতার করা হয় এসএনসি-লাভালিনের কর্মকর্তা বাংলাদেশি বংশোদ্ভ‚ত এক কানাডিয়ান নাগরিককে। পরবর্তী সময়ে এ নিয়ে কানাডার আদালত সেখানে দায়ের করা মামলায় দুর্নীতির অভিযোগ অসত্য বলে রায় দেন।
বিশ্বব্যাংক প্রতিশ্র“তি প্রত্যাহারের পর নিজস্ব অর্থায়নে প্রাথমিকভাবে শুরু হয় পদ্মা সেতুর কাজ।
পদ্মা নিয়ে ষড়যন্ত্র ও গুজব: পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুর’ হতে না হতেই দেখা দেয় দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র। এক্ষেত্রে সব থেকে বেশি দোষারোপ করা হয়েছে দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংককে। এ ছাড়া দেশীয় একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানও এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল বলে সরকারি দল থেকে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ এসেছে। বিশেষ করে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহম্মদ ইউনূসকে এ জন্য দায়ী করা হয়। আওয়ামী লীগ মনে করে, ষড়যন্ত্রে পিছিয়ে ছিল না বাংলাদেশে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও অন্যান্য সরকার বিরোধী দলগুলোও। ২০১৮ সালে ছাত্রদলের এক অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ সরকার পদ্মা সেতু করতে পারবে না। হাস্যকরভাবে দেশের জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন,‘পদ্মা সেতু জোড়াতালি দিয়ে হচ্ছে। এই সেতু পার হবেন না, ভেঙে পড়বে।
যখন কোনোভাবেই পদ্মার সেতুর কাজ থামানো যাচ্ছিল না, তখন পরিকল্পিতভাবেই এ সেতু নির্মাণে মানুষের কাটা মাথা লাগবে বলে সারা দেশে গুজব ছড়িয়ে দেয় একটি চক্র। এই গুজবকে কেন্দ্র করে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ‘ছেলে ধরা’ সন্দেহে মানুষকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাও ঘটে।
সেতু নির্মাণে সময়-ব্যয় বেড়েছে বারবার : পদ্মা সেতু প্রকল্পের ব্যয় ও বাস্তবায়নের সময় দফায় দফায় বেড়েছে বলে জানা গেছে। ২০০৭ সালে একনেকে ১০ হাজার ১৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি অনুমোদন করা হয়। পরে নকশা পরিবর্তন হয়ে দৈর্ঘ্য বেড়ে যাওয়ায় ব্যয়ও বৃদ্ধি পায়। ২০১১ সালে প্রথম প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধনের পর ব্যয় দাঁড়ায় ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা। এরপর আবারো বাড়িয়ে প্রকল্পের বর্তমান ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজের সময়ও বারবার বাড়ানো হয়েছে। তিন দফায় ৩১ মাস পিছিয়ে ২০২১ সালের ৩০ জুন নির্ধারিত রয়েছে।
যানচলাচল আগামী ডিসেম্বরে: সেতু বিভাগের সচিব বেলায়েত হোসেন জানান, সেতুর ৯০ শতাংশের বেশি কাজ শেষ হয়েছে। স্প্যানের ওপর সড়কপথ নির্মাণের জন্য ২ হাজার ৯১৭টি রোডস্লাবের মধ্যে বসানো হয়েছে ১ হাজার ২৬৫টি। অর্থাৎ পদ্মা সেতুর অর্ধেক সড়কপথ নির্মাণ শেষ হয়েছে। আর স্প্যানের ভেতরে রেলপথের জন্য ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্লাব বসাতে হবে। তার মধ্যে এ পর্যন্ত বসেছে ১ হাজার ৮৭০টি।
আগামী বছরে পদ্মা সেতুর সড়ক ও রেলপথের স্লাব বসানোর কাজ এগিয়ে নেয়া হবে। জুনের মধ্যে সড়ক ও রেল স্লাব দুই পাড় ছুঁয়ে যাবে। এরপর জুনের শেষ থেকে শুরু হবে সেতুর ফিনিশিং কাজ। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর উদ্বোধনের লক্ষ্য ধরা হয়।
নিরাপত্তার চাদরে সেতু প্রকল্প: নিরাপত্তার বিষয়ে মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. আব্দুল মোমেন বলেন, দেশের সর্ববৃহৎ এই পদ্মা সেতুর নির্মাণকে ঘিরে এ এলাকা সর্বক্ষণিক নিরাপত্তার চাদরে ঘেরা রয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি এখানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চৌকস দল রয়েছে। রয়েছে আনসারসহ সঙ্গে নির্মাণ কর্তৃপক্ষের নিজেস্ব কেয়ারটেকারও।
Head Office :
2152 – B, Westchester Ave,
Bronx, New York 10462
United States Of America.
Tel : 347 656 4623 (News), 718 823 7535 (Office), 929 261 8340 (CEO), 718 823 7538 (Fax).
Email :
report.banglanewsus@gmail.com (News),
riyahdahad@banglanewsus.com (Editorial)
info@banglanewsus.com (Advertisement)
ceo@banglanewsus.com (Event And Others).
First Fully Online Daily For The Worldwide
South Asian Community Jointly Published From
United States Of America, Great Britain
And Canada On Be-Half Of
POSITIVE INTERNATIONAL INC
@ 2014-2020
Developed BY : positiveitusa.com
Design and developed by positiveitusa.com