প্রকাশিত:শুক্রবার, ১১ ডিসে ২০২০ ১০:১২
খন্দকার আশরাফ-উন-নবী, মানিকগঞ্জ :
১৩ই ডিসেম্বর। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তাক্ত পথ পেরিয়ে ১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক এ দিনে মানিকগঞ্জ জেলা সম্পুর্নভাবে দখলদার পাক-হানাদার বাহিনী মুক্ত হয়েছিল। জেলার আবাল-বৃদ্ধ-বণিতার সীমাহীন ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে ১৩ই ডিসেম্বরের সু-প্রভাতে প্রথম মুক্ত ও উদার চিত্তে জেলাবাসী ভোরের আলো দেখেছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের সাঁড়াশি আক্রমনের মুখে রাতের আধাওে মানিকগঞ্জ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল পাক হানাদার বাহিনী। এ দিনেই তারা অফুরন্ত হাসি-উল্লাস, আনন্দ-বেদনার সমারোহে প্রথম প্রতিবন্ধকতাহীন বাংলাদেশের বিজয় পতাকা উড্ডয়ন করেছিলেন। দক্ষিণা সমিরণে পতাকার পত্ পত্ ধ্বনির সাথে তাদের হৃদয়-স্পন্দন একাকার হয়ে দোল খেয়েছিল। সেদিন সরকারী দেবেন্দ্র কলেজ মাঠ ময়দানে তৎকালীন প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য মাজহারু হক চাঁন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছিল লক্ষ মানুষের এক বিশাল সমাবেশ। সে সমাবেশে অধ্যাপক এ,এস,এম মোশারফ হোসেন জাহাঙ্গীরের কন্ঠে প্রথম ধ্বনিত হয় জাতীয় সংগীত।
মানিকগঞ্জ জেলায় মহান মুক্তিযোদ্ধাদের অবিস্মরণীয় অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিল ’৭১ সালের ২৫শে মার্চের সেই কালো রাতে, যেদিন রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাক-হানাদার বাহিনী নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ শুরু করেছিল। বেতারের বিদেশী চ্যানেলে এ হত্যাকান্ডের সংবাদ শুনে ঐ দিনেই ক্যাপ্টেন আব্দুল হালিম চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত হয় একটি ‘বিপ¬¬বী পরিষদ’। বিপ¬¬বী পরিষদের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন জাতীয় পরিষদ সদস্য এ্যাডভোকেট মাযহারুল হক চাঁন মিয়া, ন্যাপ নেতা খন্দকার দেলোয়ার হোসেন ও সৈয়দ আনোয়ার আলী চৌধুরী, প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য মোসলেম উদ্দিন খান হাবু মিয়া ও মীর আবুল খায়ের (ঘটু ডাক্তার), তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা মফিজুল ইসলাম খান কামাল প্রমূখ । ২৫ শে মার্চ রাতেই পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ক্যাপ্টেন আব্দুল হালিম চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি দল কমান্ডো স্টাইলে মানিকগঞ্জ ট্রেজারীতে রক্ষিত অস্ত্র ও গোলা বারুদ ছিনিয়ে নেয়। বিনা বাধায় ছিনিয়ে আনা অস্ত্র ও গোলা বারুদ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভুদ্ধ ছাত্র-যুবকদের হাতে তুলে দেয়া হয়। এ সময় ক্যাপ্টেন হালিমের লাইসেন্সকৃত বেশ কিছু বন্দুক ও পিস্তল তিনি সানন্দে বিপ¬¬বী পরিষদের কাছে জমা দেন। পুলিশ ওয়ারলেছের মাধ্যমে এবং ম্যাসেঞ্জার পাঠিয়ে মানিকগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থানরত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত এবং ছুটি কাটাতে আসা সৈনিকদের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহনের আহ্বান জানানো হয়। রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙ্গে শ্লোগানে শ্লোগানে এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায় উৎকণ্ঠিত হাজারও জনতা।
ট্রেজারীর অস্ত্র ও গোলা বারুদ এবং ক্যাপ্টেন হালিমের যৎসামান্য অস্ত্র নিয়েই বিশাল সমরাস্ত্র সজ্জিত পাক-বাহিনীর বিরুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল মানিকগঞ্জের ছাত্র, যুবক, কৃষক, শ্রমিক। দেশবাসীর সাথে ২৫শে মার্চ হতে স্বাধীনতার এ সংগ্রামে লিপ্ত হলেও মানিকগঞ্জে এদের অবস্থান তেমন সুদৃঢ ছিলনা। মুক্তিযোদ্ধাদের দূর্বলতার সুযোগে বিনা প্রতিরোধে পাক-হানাদারের হিংস্র বাহিনী সহজেই আরিচা নৌ-বন্দর দখল করে নেয়। এ সংবাদ পেয়ে মুক্তিযোদ্ধারা ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাই থানাধীন নয়ারহাট ব্রীজের কাছে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির প্রয়াসে ঘাটি গাড়ে। কিন্তু বর্বর পাক হানাদাররা এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহের শেষ দিকে হেলিকপ্টার, জঙ্গি বিমান, কামানসহ সর্বাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র সজ্জিত হয়ে ক্রাশ অভিযান চালায়। কামানের গোলার মুখে মুহুর্তেই তছনছ হয়ে যায় মুক্তিসেনাদের প্রতিরোধ ব্যুহ। পরে তারা পিছু হটতে বাধ্য হলে অনায়াসে জেলার ৭টি থানার সব কষ্ফটিই দখল করে নেয় দখলদার বাহিনী। থানা সদরে অবস্থান নিয়ে হিংস্র নর পিশাচরা নির্যাতনের স্ট্রীম রোলার চালানোর মাধ্যমে পুরো এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।
এহেন বেসামাল পরিস্থিতিতে শত্রুবাহিনীর শক্তি পর্যবেক্ষণ করে মুক্তিযোদ্ধারা সম্মুখ সমরের পরিবর্তে গেরিলা যুদ্ধের কৌশল নিতে মানিকগঞ্জ শহর ছেড়ে প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলে অবস্থান নেন। বিপ¬বী পরিষদের সদস্যবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, ছাত্র-যুবক ও স্ব-গোত্রীয়দের নিয়ে হরিরামপুরের কৌড়ি গ্রামে আস্তানা গাড়ে। সেখানে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকভূক্ত করে তারা বিভিন্ন স্থানে দলে-উপদলে বিভক্ত হয়ে প্রশিক্ষণ নেয়। প্রশিক্ষণ শেষে এদের একটি দল ক্যাপ্টেন আব্দুল হালিমের নির্দেশে যুদ্ধকালে এসএসসি পরীক্ষা গ্রহনের সরকারী সিদ্ধান্ত বানচালে নিয়োজিত হয়। সে মোতাবেক আবদুস সাত্তারের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল ঘিওর কেন্দ্রে গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পরীক্ষার্থীদের বিতাড়িত করে দেয়।
৭১ এর রক্তঝড়া দীর্ঘ নয়টি মাসে বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে চালিয়ে গেছেন অসংখ্য মরণপণ গেরিলা হামলা, উড়িয়ে দিয়েছেন ব্রীজ-কালভার্ট। পাক-হানাদার বাহিনীর সাথে জেলার বৃহৎ ও উল্লেখযোগ্য যুদ্ধ সংঘটিত হয় সিঙ্গাইর থানার ‘গোলাইডাঙ্গা’ গ্রামে। সম্মুখ এ সমরে বিশাল দখলদার বাহিনীর বিপরীতে গুটি কয়েক মুক্তিযোদ্ধা অসীম সাহস ও সুদৃঢ় মনোবলের সাথে লড়াই করে। ইঞ্জিনিয়ার তোবারক হোসেন লুডু ও লোকমান হাকিমের নেতৃত্বে দুইটি দলের দ্বি-মুখী আক্রমনে দিশেহারা পাক-সেনারা নদীতে ঝাঁপিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করে। এ সময় পাক-সেনা বহনকারী ১০/১২টি নৌকার সব গুলোই পানিতে নিমজ্জিত হয়। এ অসম গেড়িলা যুদ্ধে ৮১ জন পাক-সৈন্য নিহত ও অর্ধ-শত আহত অবস্থায় আটক হয়। এ যুদ্ধে হানাদারদের মর্টারসহ বিপুল পরিমান অস্ত্রশস্ত্র হস্তগত হলেও আলিকর ও বদির নামে দু’মুক্তিযোদ্ধা মারাত্মক আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেন।
যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ওবায়দুল ইসলাম, ইয়াকুব জাহাঙ্গীর, মোস্তাফিজ, জলিল, জাহিদুল ও বিল¬ালের সমন্বয়ে একটি ‘সুইসাইডাল স্কোয়ার্ড’ ১৫০ পাউন্ড এক্সপে¬াসিভ ব্যবহারের মাধ্যমে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নয়াডিঙ্গি ব্রীজ উড়িয়ে দেয়। একইভাবে পি, কে এক্সক্লোসিভ ও মাইন ব্যবহার করে মহাদেবপুর ব্রীজের মারত্মক ক্ষতি সাধন করে। জেলার গিলন্ড গ্রামের প্রকৌশলী মোঃ ইব্রাহীম এককভাবে দুঃসাহসিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে অকুতোভয় অভিযান চালিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার হাউজ উড়িয়ে দেয়। এ কারণে যুদ্ধাত্তোর তাকে “বীর প্রতীক” উপাধিতে ভূষিত করে।
২২শে নভেম্বর পাক-হানাদাররা স্থানীয় দোসরদের সহযোগীতায় জেলার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে তেরশ্রী এস্ট্রেটের তৎকালীন হিন্দু জমিদার বাবু সিদ্দেশ্বরী রায় ও তেরশ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আতিয়ার রহমান সহ ৪৩ জন নিরীহ-নিরপরাধ মানুষকে গুলি করে ও বেয়নট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। নরঘাতকরা হত্যাযজ্ঞ চালিয়েই ক্ষান্ত হয়নি। তারা পুরো এস্ট্রেটের ঘরবাড়ীতে আগুন লাগিয়ে দেয় এবং মা-বোনদের ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলায় মেতে উঠে। পাষন্ডদের হায়নার ন্যায় হিংস্র থাবা থেকে সেদিন ৫ বছরের শিশু কন্যা থেকে শুরু করে সত্তুর্রোদ্ধ বয়ঃবৃদ্ধারাও রেহাই পায়নি। এ মহান মুক্তিযুদ্ধে মানিকগঞ্জে শহীদ হন ৫৮ জন মুক্তিযোদ্ধা আর আহত হন অনেকে। এ সময় হত্যা করা হয় স্বাধীনতাকামী প্রায় কয়েক হাজার মানুষকে। এই মুক্তিযুদ্ধে ৪ জন মুক্তিযোদ্ধা খেতাব পান। খেতাবপ্রাপ্তদের মধ্যে স্কোয়াড্রন লিডার (অবঃ) বদরুল আলম (বীর প্রতীক), মোঃ ইব্রাাহীম খান (বীর প্রতীক), শহীদ মাহফুজুর রহমান (বীর প্রতিক) এবং মোহাম্মদ আতাহার আলী খান (বীর প্রতীক)।
১১ই নভেম্বর মানিকগঞ্জ পি,টি,আই’ তে স্থাপিত পাক-সেনাদের ক্যাম্পে বিভিন্ন স্থান থেকে ধরে আনা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষীয় লোকজনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এ দিন বিকেলে মুক্তিযোদ্ধের মিত্র বাহিনী মিগ-২১ বোমারু বিমান দিয়ে অবিরাম বোমা বর্ষন করে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের জাগীর “ধলেশ্বরী ব্রীজ” উড়িয়ে দেয়। এতে পাক-সেনাদের ক্যাম্পে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। ১২ ডিসেম্বরও মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের কাছে পিটিআই’র প্রধান ঘাঁটি এবং সদর দপ্তরটিতে অবস্থান করতে থাকে পাকবাহিনীর কর্মকর্তা এবং সৈনিকেরা। জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পালিয়ে আসা খানসেনারাও এখানে সমবেত হতে থাকে। মুক্তিযোদ্ধারা ভোরের আলো ফুটে উঠার আগেই পাক সেনা সদর দপ্তরটিতে সাঁড়াশি আক্রমনের পরিকল্পনা করে। মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান এবং গতিবিধি আচঁ করতে পেরে মধ্যরাতে অত্যান্ত সন্তর্পণে ঘাটি থেকে পালিয়ে যায় সহ¯্রাধিক পাকসেনা। মুক্তিযোদ্ধারা পাক-সেনাদের কয়েক জনকে অক্ষত অবস্থায় আটক করতে সক্ষম হয়। এ সময় জনৈক বাদলের নেতৃত্বে চিহ্নিত এক রাজাকার বাহিনী তাদের উদ্ধারে এগিয়ে আসতে থাকে। কি›তু তারা গন্তব্যে পৌছানোর আগেই এস, এম মোশারফ হোসেন জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে গঠিত মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষীয় শক্তির হাতে ধরা পড়ে যায়। চিহ্নিত সর্বশেষ রাজাকার বাদলকে আটকের মধ্যদিয়ে মানিকগঞ্জের মুক্তিযুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটে।
মুক্তিযুদ্ধের ট্রাজেডির ৫০ বছর পেরিয়ে গেছে। স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষের কাছে সুদীর্ঘ সময়েও অজানাই রয়ে গেছে তেরশ্রীর গন হত্যাসহ মানিকগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধে ঘটে যাওয়া রক্তাক্ত ইতিহাসের নির্মম কাহিনী। সে সময়কার মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বে গাঁথা ইতিহাস কিভাবে রচিত হয়েছিল তা আজকের প্রজন্মের কাছে উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে শহীদদের স্মৃতি রক্ষায় তেমন কোন উদ্যোগ না নেয়ায়। জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কর্তা-ব্যাক্তিদের দলাদলি, স্বার্থের সংঘাত আর কোন্দলে পদদলিত ও উপেক্ষিত হয়ে পড়ছে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের মত অবহেলিত হয়ে কালের আবর্তে ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে চির অম্ল¬¬ান মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোতে ঘটে যাওয়া হৃদয় বিদারক ঘটনাপুঞ্জ। নব-প্রজন্মের কাছে অজ্ঞাতই থেকে যাচ্ছে শহীদদের বুকের পাঁজর দিয়ে এদেশ গড়ার করুণ কাহিনী।
১৯৯৩ সালে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের উদ্যোগে গঠিত হয়েছে একটি ‘স্মৃতি পরিষদ’। প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র তেরশ্রীতে একটি স্মৃতি সৌধ, মিলনায়তন ও লাইব্রেরী নির্মাণ কওে দিয়েছে। মানিকগঞ্জ বাসষ্ট্যান্ডে যুদ্ধে শহীদদের নামে একটি নাম ফলক নির্মান করা হয়। পরে তা স্থানান্তর করে শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়ামের পাশে স্থাপন করা হয়েছে। এতে ৩৫ জন শহীদের নাম স্থান পেলেও বিপুল সংখ্যক শহীদদের নাম উপেক্ষিত রয়েছে সেখানে। এ নিয়েও চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে।
‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হোক আজকের প্রজন্ম’ এ এই শ্লোাগানকে সামনে রেখে প্রতিবছর মানিকগঞ্জে শুরু হয় ১৫ দিনব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা। বৈশি^ক মহামারী করোনার কারণে এ বছর জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র মানিকগঞ্জ সরকারী বালক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে এ বিজয় মেলার হচ্ছে না। তবে দিনটিকে যথাযথ মর্যাদায় উদযাপনে জেলা প্রশাসন ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল বিভিন্ন কর্মসূচী হতে নিয়েছে। কর্মসূচীর মধ্যে স্বাস্থ্য বিধি মেনে প্রথম প্রহরে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, বিজয় র্যালী, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিশদ কর্মসূচী।
Head Office :
2152 – B, Westchester Ave,
Bronx, New York 10462
United States Of America.
Tel : 347 656 4623 (News), 718 823 7535 (Office), 929 261 8340 (CEO), 718 823 7538 (Fax).
Email :
report.banglanewsus@gmail.com (News),
riyahdahad@banglanewsus.com (Editorial)
info@banglanewsus.com (Advertisement)
ceo@banglanewsus.com (Event And Others).
First Fully Online Daily For The Worldwide
South Asian Community Jointly Published From
United States Of America, Great Britain
And Canada On Be-Half Of
POSITIVE INTERNATIONAL INC
@ 2014-2020
Developed BY : positiveitusa.com
Design and developed by positiveitusa.com