প্রকাশিত:রবিবার, ২৫ অক্টো ২০২০ ০৮:১০
মো.মানিক মিয়া, লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) :
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ছয়দিনের ব্যবধানে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ৩৪তম স্প্যান (সুপার স্ট্রাকচার) বসানো হয়েছে। রোববার সকাল ১০ টা ০৪ মিনিটে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া প্রান্তে ৭ ও ৮ নম্বর পিলারের ওপর (স্প্যান ২-এ) বসাতে সক্ষম হন সেতু প্রকৌশলীরা। এর মধ্যে দিয়ে দেশের দীর্ঘতম এই সেতুর ৫ হাজার ১০০ মিটার দৃশ্যমান হলো। পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সেতুর প্রকৌশলীরা শনিবার দিনভড় চেষ্টা চালিয়েও বৈরী আবহাওয়ার কারণে ৩৪তম স্প্যানটি বসাতে সক্ষম হয়নি। গত শনিবার সকালে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের মাওয়ায় অবস্থিত কন্সন্ট্র্রাকশন ইয়ার্ডের স্টিল ট্রাস জেটি থেকে স্প্যানটি নিয়ে সেতুর উদ্দেশে রওনা দেয় পৃথিবীর সবচয়ে বড় ভাসমান ক্রেন তিয়ান-ই। প্রায় দেড়ঘন্টা পর কাঙ্খিত পিয়ারের (৭ ও ৮ নম্বর পিলার) কাছে পৌঁছে ৩ হাজার ৬০০ টন সক্ষমতার ক্রেনটি। এরপর ক্রেন নোঙর করে পিয়ারে স্প্যান উঠানোর কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে শনিবার বসাতে পারেনি সুপার স্ট্রাকচারটি। চলতি মাসের ১৯ অক্টোবর সোমবার মাওয়া প্রান্তে ৩৩তম স্প্যানটি বসানো হয়েছে। ৩৩তম স্প্যান বসানোর ছয়দিনের মাথায় বসলো ৩৪তম স্প্যানটি।
অন্যদিকে, পদ্মা সেতুতে ৩৪তম স্প্যান বসানোর পর বাকি রয়েছে সাতটি স্প্যান বসানোর কাজ। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ৩০ অক্টোবর পিয়ার ৮ ও ৯ নম্বরের ওপর ৩৫তম স্প্যান (স্প্যান ২-বি), ৪ নভেম্বর পিয়ার ২ ও ৩ নম্বরে ৩৬তম স্প্যান (স্প্যান ১-বি), ১১ নভেম্বর পিয়ার ৯ ও ১০ নম্বরে ৩৭তম স্প্যান (স্প্যান ২-সি), ১৬ নভেম্বর পিয়ার ১ ও ২ নম্বরে ৩৮তম স্প্যান (স্প্যান ১-এ), ২৩ নভেম্বর পিয়ার ১০ ও ১১ নম্বরে ৩৯তম স্প্যান (স্প্যান ২-ডি), ২ ডিসেম্বর পিয়ার ১১ ও ১২ নম্বরে ৪০তম স্প্যান (স্প্যান ২-ই) ও ১০ ডিসেম্বর সর্বশেষ ৪১ নম্বর স্প্যান (স্প্যান ২-এফ) বসবে ১২ ও ১৩ নম্বর পিয়ারের ওপর।
এ ছাড়া বসানো স্প্যানগুলোতে ও স্ল্যাব বসানাের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। এ পর্যন্ত সেতুর উপরের তলায় রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হয়ে গেছে ১০৮০টি। আর রেলওয়ে স্ল্যাব বসেছে ১৫৯৭টি। ৩০ হাজার ১৯৩ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে গৃহীত এই প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৮১ দশমিক ৫০ ভাগ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৮৭ দশমিক ৫৫ ভাগ। নদী শাসন কাজের বাস্তব অগ্রগতি ৭৪ দশমিক ৫০ ভাগ। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ পর্যন্ত মোট ব্যয় হয়েছে ২৩ হাজার ৭৯৬ দশমিক ২৪ কোটি টাকা। এমনটি জানিয়েছেন সেতু প্রকৌশলীরা।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে বসানো হয় ৩১টি স্প্যান। এতে দৃশ্যমান হয়েছে সেতুর ৪ হাজার ৬৫০ মিটার অংশ। ৪২টি পিলারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে সবকটি পিয়ার এরই মধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর আগামী ২০২১ সালেই খুলে দেয়া হবে।#
Head Office :
2152 – B, Westchester Ave,
Bronx, New York 10462
United States Of America.
Tel : 347 656 4623 (News), 718 823 7535 (Office), 929 261 8340 (CEO), 718 823 7538 (Fax).
Email :
report.banglanewsus@gmail.com (News),
riyahdahad@banglanewsus.com (Editorial)
info@banglanewsus.com (Advertisement)
ceo@banglanewsus.com (Event And Others).
First Fully Online Daily For The Worldwide
South Asian Community Jointly Published From
United States Of America, Great Britain
And Canada On Be-Half Of
POSITIVE INTERNATIONAL INC
@ 2014-2020
Developed BY : positiveitusa.com
Design and developed by positiveitusa.com