স্মৃতি বিন্দু চাকমা, জুরাছড়ি (রাঙামাটি):
প্রত্যন্ত জুরাছড়ি উপজেলার প্রায় ত্রিশ হাজারের অধিক জনসাধরণের বসবাস। শিক্ষার ক্ষেত্রে এখানকার জনগণ অধিকাংশ পিছিয়ে,যারা একটু স্বচ্ছল পরিবার তারা মাধ্যমিক শেষ করে রাঙামাটি শহরে গিয়ে বিভিন্ন কলেজে উচ্চ শিক্ষার জন্য অধ্যয়ন করে থাকেন। আর যাদের আর্থিক সামাথ্য নেই তাদের মাধ্যমিক শেষ করে ইতি টানতে হয়। জুরাছড়ি উপজেলার শিক্ষার হার বাড়ানোর লক্ষে বর্তমান জুরাছড়ি উপজলা চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা অনুভব করেন এখানকার শিক্ষার মানউন্নয়নের লক্ষে একটি কলেজ স্থাপনের অতিব প্রয়োজন। তাই ২০১৭ সালে বনযোগীছড়া ইউনিয়নে সকলের সম্মলিত প্রচেষ্ঠায় স্থাপন করেন শলক কলেজ। দীর্ঘদিন ধরে বনযোগীছড়া উচ্চবিদ্যালয়ের ভবনে করা হয় কলেজের কার্যক্রম। সম্প্রতি শলক কলেজের পাঠদানের অনুমতির পূর্বে কলেজের অবকাঠামো (কলেজ ঘর) নির্মানের জন্য শিক্ষা মন্ত্রনালয় কর্তৃক যাহার স্বারক নং-৩৭.০০.০০০০.০৭০.৪৯.০০১.১৮.৫/১ এর মূলে গত ০২/০১/২০২০ সালে শলক কলেজে চিঠি প্রেরণ করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা পাওয়ার পর পিছিয়ে পড়া এখানকার ছেলেমেয়েরা যাহাতে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন সেই লক্ষে আজ কলেজের নিজস্ব জমিতে একাডেকি ভবন নির্মাণের লক্ষে এক সমন্বয় সভা আয়োজন করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন কলেজের সাংগঠনিক কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রনতুয্য সাত জুরাছড়ি ভাঃ জোন কমান্ডার মেজর নাজমুল হাসান,ভাইস চেয়ারম্যান মিসেস আল্পনা চাকমা,ইউপি চেয়ারম্যান সন্তোষ বিকাশ চাকমা সহ স্থানীয় বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি,সুশীল সমাজের ব্যক্তি বর্গ ও কলেজের প্রিন্সিপাল এবং শিক্ষক বৃন্দ।
সভায় ভাঃ জোন কমান্ডার মেজর নাজমুল হাসান বলেন,এখানকার ছেলেমেয়ে শিক্ষার ক্ষেত্রে অনেকটা পিছিয়ে,দুঃসাহসিক অগ্রযাত্রায় কলেজটি এগিয়ে নিতে পারলে অনেক সুফল বয়ে আনবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তি সম্প্রীতি উন্নয়নের লক্ষে শিক্ষার ক্ষেত্রে যা-যা প্রয়োজন জুরাছড়ি জোনের পক্ষ থেকে সবকিছু সহায়তা প্রদান করা হবে এমন আশ্বাস প্রদান করেন।
এছাড়া ও সকলের সর্বসম্মতি সিদান্ত গৃহীত ক্রমে আগামী ১৮ জানুয়ারী থেকে কলেজের নিজস্ব জায়গায় অবকাঠামো ভবন নির্মাণের লক্ষে কাজ শুরু করা হবে। কলেজের অবকাঠামো ভবন নির্মাণ শেষ হলে শিক্ষামন্ত্রনালয় এ নির্দেশ ক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চট্রগ্রাম কর্তৃক কলেজ অবকাঠামো পরিদর্শন পূর্বক পাঠদানের অনুমতি সাপেক্ষে চুড়ান্ত কার্যক্রম শুরু হবে।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।