ফুল চাষে লাভবান হচ্ছে উল্লাপাড়ার ইদ্রিস আলী - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, বিকাল ৩:১৫, ১৪ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ


 

ফুল চাষে লাভবান হচ্ছে উল্লাপাড়ার ইদ্রিস আলী

ADMIN, USA
প্রকাশিত জানুয়ারি ১২, ২০২০
ফুল চাষে লাভবান হচ্ছে উল্লাপাড়ার ইদ্রিস আলী

 

উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ):
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতার ছন্দে অনেকটাই মিলে যায় ফুল প্রেমী ইদ্রিস আলীর। কত ফুল তুমি পথে ফেলে দাও, মালা গাথো অকারণে, আমি চেয়েছিনু একটি কুসুম সেই কথা পরে মনে। যত ফুল তত ভুল জাগে মাটির পৃথিবী তাই এত ভাল লাগে।
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বড়হর ইউনিয়নের চরগুয়াগাতী একটি গ্রাম। সেই গ্রামের মাঠের পর মাঠ কাঁচা পাকা রাস্তার ঢালে চাষ করা হচ্ছে বিভিন্ন জাতের ফুল। শুধু রাস্তার ঢালে নয়, বিঘা বিঘা জমিতেও হচ্ছে ফুল চাষ। পাশাপাশি ৩০ বছর যাবত ফুল চাষে জড়িয়ে আছে ওই গ্রামের ফুল চাষী ইদ্রিস আলী। ফলের মতই যেন সুন্দর তার মন।
ফুল চাষী ইদ্রিস আলী জানান, প্রায় ৩০/৩২ বছর ধরে ফুল চাষ করছেন। এ বছর আড়াই বিঘা জমিতে ফুল চাষ করেছেন তিনি। এতে খরচ হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। এই পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ টাকার ফুল বিক্রি করেছেন। এখনও জমিতে যে পরিমাণ ফুল রয়েছে তাতে কমপক্ষে আরো ১ লাখ টাকা বিক্রি করা যাবে।
ইদ্রিস আলী আরো বলেন, কাঠ মালতি, গ্যালো রিয়াস, ডালিয়া, জিপসি, আলমেন্দা, গাঁধা, সূর্যমুখী, কসমস, বেলী, স্টেক, রজনীগন্ধা ও গোলাপসহ প্রায় ১৫ রকমের বিভিন্ন জাতের ফুল আমরা চাষ করে থাকি। শুধু জমিতেই নয়, এলাকার কাচা-পাকা রাস্তার ঢালেও এই ফুলের চাষ করা হচ্ছে।
রবি শস্য চাষ করে যে পরিমাণ ফসল পাওয়া যায় তার চেয়ে দশগুণ বেশি লাভ হচ্ছে ফুল চাষ করে। স্বল্প সময়ে ফুল উৎপাদন করা যায় এবং খরচ অনেক কম হয়। অধিক লাভ হওয়ায় অনেকেই তাই পেশা পরিবর্তন করে ফুল চাষে ঝুঁকেছেন। এখানকার উৎপাদিত ফুল রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়। বগুড়ার মহাস্থানগড় থেকে ফুলের বীজ আমদানী করে ওই এলাকায় প্রায় ৩০-৩৫ বিঘা জমিতে ফুল চাষ করেছে স্থানীয় ২৫/৩০ জন কৃষক।
ফুল বাগানের সৌন্দর্য দর্শন করতে আসে অনেক দর্শনার্থীরা। প্রতিদিন বিকেল হলেই শতশত লোকের সমাগম ঘটে ফুলের মাঠে। প্রতি বছরই মাতৃভাষা দিবস, বিশ্ব ভালবাসা দিবস, ঈদ, পুজা, বাংলা ও ইংরেজি নববর্ষ পালনসহ বিশেষ বিশেষ দিনগুলোতে ফুলের চাহিদা দ্বিগুণ হারে বেড়ে যায়। এ সময় দাম ও থাকে বেশ।
এ ব্যাপারে উল্লাপাড়া উপজেলা উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষন কৃষি কর্মকর্তা আজমল হক জানান, উপজেলার বড়হর চরগুয়াগাতী গ্রামে অনেক বছর ধরেই ফুল চাষ শুরু হয়েছে। এ বছর ফুল চাষ আরো বৃদ্ধি পেয়েছে, কৃষকরা অনেক লাভবান হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, কৃষক পরিবারের পাশাপাশি স্থানীয় অনেক মহিলাদের কর্মসংস্থান হয়েছে। কৃষি অফিসের একটি টিম নিয়মিত মাঠে কাজ করছে। এবং কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শও দেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।