পাইকগাছা (খুলনা) :
জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন বলেছেন, শেখ হাসিনা সরকার যেভাবে দ্রুত গতিতে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সালের আগেই আমরা উন্নত বিশ্বের কাতারে পৌছে যাবো। তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সুখী সমৃদ্ধিশালী সোনার বাংলা গড়ার সুচনা করে ছিলেন। তাকে স্বপরিবারে হত্যা করার মাধ্যমে দেশকে পিছিয়ে দেওয়া হয়। এরপর সামরিক সরকার দ্বারা দেশ পরিচালিত হওয়ায় দীর্ঘ সময় দেশের কোন উন্নয়ন হয়নি। টানা ৩ মেয়াদে সরকারের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকায় দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত নেই দেশের প্রত্যন্ত কোন এলাকা। উন্নয়নের ছোঁয়া পৌছে গেছে প্রতিটি গ্রামে। সারাদেশে উন্নয়ন হয়েছে বলে আজ দেশের প্রতিটি গ্রাম উন্নয়নের আওতায় এসেছে। ফলে দেশের প্রতিটি মানুষ শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের সুফল পাচ্ছেন। সচিব ইউসুফ হারুন আরো বলেন, আমি এলাকারই সন্তান এখানকার মাটি, পানি ও মানুষের সাথে আমার আত্মার সম্পর্ক। উপকূলীয় এ অঞ্চলের বেড়িবাঁধ, রাস্তা-ঘাট, সুপেয় পানি সংকট সহ যেসব সমস্যা রয়েছে সবই আমার জানা আছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে মোকাবেলা করে এখানকার মানুষদের বেঁচে থাকতে হয়। দেলুটী সহ যে সব ইউনিয়নে পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার নাই পর্যায়ক্রমে সে সব স্থানে মানুষের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে প্রয়োজনীয় রাস্তা ঘাট করা হবে। একই সাথে তিনি প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধে উপকূলীয় অঞ্চলে সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে সবুজ বেস্টনী গড়ে তোলার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সরকার গ্রাম পর্যায়ে উন্নয়ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এ সব কর্মসূচি বাস্তবায়ন হলে অত্র এলাকার কোথাও আর কোন সমস্যা থাকবে না। তিনি শনিবার সকালে পাইকগাছা উপজেলার শৈশবের স্মৃতি বিজড়িত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন দ্বীপ বেস্টিত দেলুটী এলাকার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা-মন্দির সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন ও মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। এসময় এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সচিব ইউসুফ হারুনকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়। পরে তিনি উপজেলা সদরস্থ বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট লোনা পানি কেন্দ্রের কাঁকড়া ও চিত্রার পোনা উৎপাদন সহ বিভিন্ন গবেষণা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। দিনব্যাপী কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুলিয়া সুকায়না, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নিলুফা বেগম, ড. মোঃ আব্দুল লতিফ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ আরাফাতুল আলম, সচিবের সহধর্মীনী রওনক খানম, ইউপি চেয়ারম্যান রিপন কুমার মন্ডল, উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম রুবেল, জহুরুল হক, অধ্যক্ষ শেখ ফারুক আহমেদ, সহকারী অধ্যাপক সেখ রুহুল কুদ্দুস, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোল্লা এমএনএস মামুন সিদ্দিকী, মিজানুর রহমান, শেখ ইলিয়াস হোসেন, শেখ আবুল কালাম, শেখ সুলতান ইয়াহিয়া, শেখ সুলতান জাকারিয়া, এসআই নাজমুল হক, ইউপি সদস্য সুকুমার কবিরাজ, রণধীর মন্ডল, কিংশুক রায়, বিনয় কৃষ্ণ রায়, সার্ভেয়ার সাকিরুল ইসলাম, মসজিদ কমিটির সভাপতি জালাল উদ্দীন ও ধীমান মল্লিক।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।