বেনাপোল কাস্টম হাউসের ভোল্ট ভেংগে ১৭ কেজি সোনা চুরি : ৫ জনকে আটক করেছে সিআইডি - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, দুপুর ২:৪৯, ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

বেনাপোল কাস্টম হাউসের ভোল্ট ভেংগে ১৭ কেজি সোনা চুরি : ৫ জনকে আটক করেছে সিআইডি

STAFF USBD
প্রকাশিত জানুয়ারি ২৮, ২০২০

বেনাপোল (যশোর) :
বেনাপোল কাস্টম হাউসের ভোল্ট ভেংগে ৮ কোটি টাকা মূল্যের ১৭ কেজি সোনা চুরি যাওয়ার ঘটনায় আজ মংগলবার সকালে সন্দেহজনক ভাবে কাস্টমস এ কর্মরত ৪ জন এনজিও কর্মীকে আটক করেছে সিআইডি পুলিশ। এর আগে আজিবর নামে এক এসজিও কে আটক করে জিঞাসাবাদ শেষে জেল হাজাতে প্রেরন করেছে।
আটককৃত এনজিওরা হচ্ছে টিপু সুলতান (২৮) লাল্টু মিয়া (৪০) আসাদ (৩৫) ও সুলতান মোড়ল (৫৫)এরা প্রত্যেকেই কাস্টমস এর বিভিণœ দফতরে এনজিও কর্মী হিসেবে কাজ করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। তাদের সিআইডি দফতরে দফায় দফায় জঞিাসাবাদ করা হ্েচছ লুট হওয়া সোনার বিষয়ে।

কাস্টমস সুত্র জানায়, গত ০৮ নভেম¦র পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী ,সরকারী ছুটি এবং ঘূর্ণিঝড় বুলবুল চলাকালে বেনাপোল কাস্টম হাউসের মূল্যবান শুল্ক গুদামের নিরাপদ ভোল্ট ভেংগে ১৭ কেজি সোনা চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বৃওরা কিšত দীর্ঘ দিনেও লুট হওয়া সোনা উদ্ধোরে সন্তষজনক অগ্রগতি না হওয়ায় গোটা কাস্টমস বিভাগে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এর আগে কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা (চ:দা) মো: এমদাদুল হক বাদী হয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় গত ১১ নভেম্বর একটি মামলা দায়ের করেন। সর্বশেষ কাস্টমস, পুলিশ , ডিবি, পিবিআই ও রেবের ইনভেন্ট্রি অনুযায়ী শুল্ক গুদাম থেকে ১৭ কেজি সোনার্ , ১৯ হাজার ২৩০ ভারতীয় রুপী এবং ৩৭ হাজার বাংলাদেশি টাকা লুট হয়।
চুরির ঘটনা জানার পরপরই কমিশনার ভোল্টের গোডাউনের দায়িত্বে থাকা সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা জনাব শাহিবুল সর্দারকে দায়িত্ব অবহেলার জন্য সাময়িক বরখা¯ত করা হয়।পুলিশ, পিবিআই, গোয়েন্দা, ডিবি, সিআইডি, এনএসআই সহ সকল সংস্থাকে তাৎক্ষণিক সম্পৃক্ত করা হয়। শেষ পর্যন্ত সিআইডিকে দায়িত্ব দেয়া হয় সোনা উদ্ধারে।
যুগ্ম কমিশনারের শহীদুল ইসলামের নের্তৃত্বে ০৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি বিভাগীয় তদšত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কাস্টম হাউস ও চেকপোস্টের সামগ্রিক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মূল্যবান গুদাম পাহারার জন্য পৃথক সিপাই ও আনসার পদস্থ করা হয়েছে। এ বিষয়ে অনুসন্ধানে জানা যায়, চুরি যাওয়া স্বর্ণের বেশির ভাগই ২০১৭ ও ২০১৮ সালে শুল্ক গুদামে জমা হয়। উক্ত সময়ে ৭ জন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) মূল্যবান গোডাউনের দায়িত্বে ছিলেন।
যশোর জেলা পুলিশের সিআইডি ওসি জাকির হোসেন জানান, কাস্টমসে লুট হওয়া সোনা উদ্ধারে এ পর্যন্ত ৫ জনকে আটক করে জিঞাসাবাদ করা হচেছ। তদšত কাজ অব্যাহত আছে।
কাস্টমস এর মধ্যে ৪ ¯তরের নিরাপত্বা বেষ্টণী ভেদ করে কি ভাবে নিরাপত্বা ভোল্ট ভেংগে সোনা চুরি হলো তা নিয়ে রীতিমত হৈ চৈ পড়ে গেছে বেনাপোলে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ন কমিশনার শহীদুল ইসলাম জানান, সোনা চুরির ঘটনায় সিআইডি মামলাটি তদন্ত করছে। তারা এ পর্যন্ত ৫ জনকে আটক করেছে। তবে তদন্তে দীর্ঘ সুত্রিতার কারনে কাস্টমস এর ভাবমূর্তি নস্ট হচেছ।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।