বিএনপির আচরণ ‘নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা’র মতো: তথ্যমন্ত্রী - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, দুপুর ১২:২০, ১০ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


 

বিএনপির আচরণ ‘নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা’র মতো: তথ্যমন্ত্রী

ADMIN, USA
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২০

বিএনপি যখনই নির্বাচনে হেরে যায় তখন তাদের আচরণ ‘নাচতে না জানলে উঠান বাঁকা’র মতো অভিযোগ উপস্থাপন করে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘বুধবার বিএনপি সংবাদ সম্মেলন করে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে করা অভিযোগও সেরকম ছিল। তারা সবসময় প্রযুক্তিকে ভয় পায়।’

বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেরাজ উদ্দিন মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন।

 

তথ্যমন্ত্রী বিএনপিকে এ ধরণের আজগুবি অভিযোগ উপস্থাপন না করে বাস্তবতাকে মেনে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আপনাদের নেতাকর্মীরা কেন আপনাদের কাছ থেকে সরে গেছেন এবং বিএনপির নেতাকর্মীরা কেন ভোটের দিন মাঠে ছিলনা সেই বিশ্লেষণ করুন। তাহলে আপনাদের দল উপকৃত হবে।’

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ঢাকা সিটি নির্বাচনে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হওয়ার পর দেখলাম দুই মেয়র প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে বিএনপির মহাসচিব বুধবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সেখানে তারা কিছু আজগুবি অভিযোগ উপস্থাপন করেছেন। তারা বলেছেন-ইভিএম মেশিনে নাকি রাত পর্যন্ত ভোট দেওয়া হয়। ইভিএম মেশিনে যদি এমন সুযোগ থাকতো তাহলে ভোট গ্রহণের হার ২৫ শতাংশ থাকতো না, ৬০ শতাংশের উপরে যেত। ইভিএম মেশিন নিজেই সব দলের জন্য পোলিং এজেন্টের কাজ করেন। কারো যদি আঙ্গুলের চাপ না মিলে কোনভাবেই ভোট দেয়ার সুযোগ নেই। এমনকি সিইসিকেও আঙ্গুলের চাপ না মেলায় ভোট দিতে অনেক বিড়ম্বনা পোহাতে হয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা দ্বিগুণ ভোট পেয়ে যখন জয়ী হয়েছে তখনতো বিএনপিকে নানা ধরণের অভিযোগ উপস্থাপন করতে হবে। সেটাই তারা করেছে।’

 

ঢাকা দক্ষিণের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করতে চারটা পর্যন্ত সময় কেন লাগলো? বিএনপির এমন অভিযোগের ব্যাপারে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা তো বিএনপির মতো গোঁজামিল দিয়ে নির্বাচন শেষ হবার দু’ঘণ্টার মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করিনি। সঠিক ফলাফল ঘোষণার জন্যেই নির্বাচন কমিশন সময় নিয়েছে। বিএনপির এসব অভিযোগ জনগণের কাছে নিজেদের হাস্যাস্পদ হিসেবে উপস্থাপন করছে। দেশের ইতিহাসে ঢাকা দুই সিটির নির্বাচন অন্যতম একটি ভালো নির্বাচন হয়েছে।’

বিএনপি সবসময় প্রযুক্তিকে ভয় পায় জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে যখন প্রথম টেলিভিশন আসে তখন অনেকে বলেছে টেলিভিশন দেখলে ঈমান চলে যাবে। আবার যখন দেশে প্রথম মোবাইল ফোন ব্যবহার শুরু হয় তখনও গ্রামেগঞ্জে অনেকে প্রচারণা করেছে এটি ব্যবহার করা যাবেনা। এখন কিন্তু পবিত্র হজ্বের অনুষ্ঠান এবং বিশ্ব ইজতেমার মোনাজাতও টেলিভিশনে লাইভ দেখানো হয়। বিএনপির অবস্থাও হয়েছে সেরকম। ইভিএম মেশিনেও ভোট দেওয়া যাবেনা বলে বিএনপি প্রচারণা চালাচ্ছে।’

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া যখন প্রধানমন্ত্রী ছিল তখন বাংলাদেশে বিনামূল্যে সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তাব করা হলে তখন তিনি বলেছিলেন- এই সাবমেরিন ক্যাবলের সাথে বাংলাদেশ যুক্ত হলে দেশের সব গোপন তথ্য চলে যাবে। আর সেই সাবমেরিন ক্যাবলের সাথে আমরা পরে সংযুক্ত হয়েছি রাষ্ট্রীয় কোষাগারের হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে। সুতরাং বিএনপি সবসময় প্রযুক্তিকে ভয় পায় আর যখনই হেরে যায় তখন ‘নাচতে না জানলে উঠান বাঁকা’র মতো অভিযোগ উপস্থাপন করে। বুধবারে তাদের সংবাদ সম্মেলনও সেই ভয়ের বহিঃপ্রকাশ।’

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।