ভূরুঙ্গামারীতে নদী খননের নামে বালু বিক্রি দুটি ড্রেজার জব্দ - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, রাত ১২:৩০, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


 

ভূরুঙ্গামারীতে নদী খননের নামে বালু বিক্রি দুটি ড্রেজার জব্দ

ADMIN, USA
প্রকাশিত মার্চ ৪, ২০২০
ভূরুঙ্গামারীতে নদী খননের নামে বালু বিক্রি দুটি ড্রেজার জব্দ

ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) ঃ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে নদী খননের নামে নিষিদ্ধ ড্রেজার দিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করার অভিযোগে দুটি ড্রেজার মেশিন জব্দ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের বাগভান্ডারের মাঠেরপাড় এলাকার ফুলকুমার নদী থেকে ড্রেজার দুটি জব্দ করেন সহকারী কমিশনার (ভুমি) জাহাঙ্গীর আলম।
জানাগেছে, উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ফুলকুমার নদীটি পুনঃ খননের জন্য দরপত্র আহবান করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স নিয়তি নির্মাণ ট্রেডার্স নদীটি পুনঃখননের কাজ পায়। সরকারী নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে নিষিদ্ধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে নদীর দুই পাড় না বেঁধে তা অন্যত্র বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। এতে নদী তীরবর্তী প্রায় শতাধিক বাড়ী-ঘর হুমকির মুখে পড়েছে। এলাকাবসী বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করলে সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলম ফুলকুমার নদীতে অভিযান চালিয়ে দুটি ড্রেজার মেশিন জব্দ করে। জব্দকৃত একটি ড্রেজার সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একেএম মাহমুদুর রহমান রোজেনের জিম্মায় এবং অপরটি উপজেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে নিয়ে আসেন।
এলাকাবাসীরা সূত্রে জানাযায়, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে আব্দুস ছামাদ ও নুরুজ্জামান নামে দুই ব্যক্তি চুক্তি নিয়ে নিয়মানুযায়ী ড্রেজিং না করে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আজিজুল হক (৫০) জানায় বালু দিয়ে বাড়ীর আঙ্গিনা ভরাট করতে ড্রেজারের মালিককে তিনি ১৭ হাজার টাকা প্রদান করেছেন। অপরদিকে জয়নাল আবেদীন নামের আরেক ব্যক্তির বালু দিয়ে পুকুর ভরাট করার সময় প্রশাসন এই অভিযান পরিচালনা করে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স নিয়তি নির্মাণ ট্রেডার্সের ম্যানেজার আজাদ জানান, আমাদের চুক্তির বাহিরের এলাকা থেকে কে বা কারা বালু উত্তোলন করায় তাদের ড্রেজার জব্দ করা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (এসডি) ফারুক আহমেদ জানান, ড্রেজার আটকের বিষয়টি তিনি জানেন না। এব্যাপারে তিনি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলম জানান, আগামীতে নিষিদ্ধ ড্রেজার দিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ রাখতে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।