করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত জার্মানিতে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ১২২৩ জন। সোমবার প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে রোববার মিশরে ছুটিতে থাকা এক জার্মান নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম।
স্যাক্সনি অ্যানহাল্ট প্রদেশে স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় ৪ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়। ফলে দেশটির ১৬ টি প্রদেশ এর ১৬ টি প্রদেশেই এ ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে সংক্রামক রোগ নির্ণায়ক ও নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক সরকারী প্রতিষ্ঠান রবার্ট কচ ইন্সটিটিউট।
সব চেয়ে বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে নর্থ রাইন-ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যে।এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ রাজ্যে ৫২৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এ রাজ্যের একটি এলাকা হাইন্সবেরগে ব্যাপকভাবে সংক্রামিত হয়েছে এই ভাইরাসটি। সোমবার মৃত্যুবরণ করা দুজন এই এলাকার।
আক্রান্তের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে বেভারিয়া বা বায়ান মিউনিখ প্রদেশ (আক্রান্তের ২৫৬ সংখ্যা জন) এবং তৃতীয় অবস্থানে বাডেমবুটেমবার্গ প্রদেশ (আক্রান্তের সংখ্যা ২৩২ জন)।
ভাইরাসের সংক্রামণ ঠেকাতে এরই মধ্যে বার্লিন আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা, লাইফজিক বুক ফেয়ার, হেনভার আন্তর্জাতিক ইন্ডাস্ট্রি ফেয়ারসহ বেশ কয়েকটি বড় বড় আন্তর্জাতিক ইভেন্ট বাতিল করা হয়েছে।
জার্মানির সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দর থেকে প্রতিদিন অসংখ্য ফ্লাইট বাতিল করা হচ্ছে করোনাভাইরাসের কারণে।
এদিকে জার্মানিব্যাপী প্রাণঘাতী এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় কিছুটা আতঙ্ক বিরাজ করছে সবখানে। জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেনস স্পাহন এক হাজার লোক সমাগম হয় এমন সকল ইভেন্ট বাতিল বা আপাতত স্থগিত করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
এছাড়াও তিনি একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ভাইরাসটি আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে চাপের মধ্যে ফেলবে। সাধারণ মানুষের সুরক্ষায় সরকার বদ্ধপরিকর বলেও জানিয়েছেন তিনি।
করোনাভাইরাসের কারণে জার্মানি প্রবাসী বাংলাদেশিরাও আতঙ্কে রয়েছেন।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।