উলিপুরে লোকসান গুনতে হচ্ছে সবজি চাষিদের - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, রাত ১১:৫৬, ১৫ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


 

উলিপুরে লোকসান গুনতে হচ্ছে সবজি চাষিদের

ADMIN, USA
প্রকাশিত এপ্রিল ১৯, ২০২০
উলিপুরে লোকসান গুনতে হচ্ছে সবজি চাষিদের

উলিপুর (কুড়িগ্রাম) :
কুড়িগ্রামের উলিপুরে করোনা ভাইরাসের কারনে বাজারে মন্দাভাব থাকায় টমেটো নিয়ে বিপাকে প্রান্তিক চাষিরা। ক্ষেতের টমেটো ক্ষেতেই পঁচে যাচ্ছে। ফলে লোকসানের মুখে পড়ে সর্বশান্ত হচ্ছে চাষিরা। করোনা ভাইরাস সংক্রামন রোধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে বাজার গুলোতে কড়াকড়ি নজর দারী করায় পঁচনশীল টমেটো কোন ব্যবসায়ী কিনে মজুদ করতে চান না। ফলে প্রান্তিক পর্যায়ের এসব কৃষক টমেটো চাষ করে বিপাকে পড়েছেন। এছাড়া উপজেলার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকার বেগুন, ঢেঁড়শ,ঝিঙ্গা, মরিচসহ অনেক সবজি চাষি দাম না পাওয়ায় লোকসানের মুখে পড়েছে।
সরেজমিন, রবিবার সকালে উপজেলার পান্ডুল ইউনিয়নের আপুয়ার খাতা মন্ডলপাড়া গ্রামের গিয়ে দেখা যায়, ক্ষেতের টমেটো ক্ষেতেই পঁচে যাচ্ছে। ক্ষেত জুড়ে কয়েকটি ছাগল ঘুরে বেড়াচ্ছে। এসময় কথা হয়, ওই গ্রামের টমেটো চাষি ছয়ফুল ইসলামরে সাথে। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার উলিপুর বাজারের আড়তে ৮৫ কেজি ওজনের ৮ বস্তা টমেটো নিয়ে গিয়েছিলাম। ১ বস্তা ১২০ টাকায় বিক্রি করে বাকি ৭ বস্তা ফেলে দিয়ে এসেছি। ৯০ শতক জমিতে এবার টমেটো চাষ করেছিলোম। ফলনও ভাল হয়েছিল। সব মলিয়ে প্রায় ৪০/৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বিক্রি করেছি ১৫/১৬ হাজার টাকার মতো। বাকি টমেটো জমিতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, তুলেও বা কী করবো। বর্তমানে বাজারে নিয়ে গেলে পাইকাররা নিতে চায় না। ওই গ্রামের রায়হানুল ইসলাম বাবু বলেন, ২০ শতক জমিতে প্রতি বছরের মতো এবারও টমেটো চাষ করেছিলাম। কিন্তু এবার খরচের টাকাও উঠলো না। ওই গ্রামে গোলাম মওলা টমেটো চাষ করেছিলেন ৫০ শতক জমিতে। বাজারে চাহিদা না থাকায় ক্ষেতের টমেটো ফেলে দিয়ে নতুন করে চাষাবাদ করার পরিকল্পনা করছেন। এছাড়া ওই গ্রামের নুর ইসলাম, উমর, খালেক, আঃ কাদের, মিজানুর নামের চাষিরাও প্রতি বছরের ন্যায় এবারও টমেটো চাষ করে লোকসানের মুখে পড়েছেন।উৎপাদন খরচ তুলতে না পারায় হতাশ এসব কৃষক। করোনা ভাইরাসের কারনে বাজারে লোক সমাগম কম হওয়ায় পাইকাররা পঁচনশীল টমেটো কিনতে চান না। খুচরা পর্যায়ে টমেটো কেজি ৮/১০ টাকা হলেও প্রান্তিক পর্যায়ের চাষিরা সে মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়ে লোকসানের মুখে পড়েছেন। এসব ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক সরকারের আর্থিক সহযোগীতা কামনা করছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের তালিকা করা হচ্ছে। আগামীতে কৃষি প্রণোদনার আওতায় আনা হবে

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।