তুরস্কে বাড়লো ‘ভিন্ন রকম’ জরুরি অবস্থা, নতুন মৃত্যু ১২৩ – BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, রাত ৩:৪৬, ২৩শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ


 

তুরস্কে বাড়লো ‘ভিন্ন রকম’ জরুরি অবস্থা, নতুন মৃত্যু ১২৩

প্রকাশিত এপ্রিল ২০, ২০২০
তুরস্কে বাড়লো ‘ভিন্ন রকম’ জরুরি অবস্থা, নতুন মৃত্যু ১২৩

করোনা ভাইরাস মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আঘাত হেনেছে তুরস্কে। ইতোমধ্যে আক্রান্তের দিক থেকে চীনকে ছাড়িয়ে গেছে দেশটি। এমন অবস্থায় দেশটিতে তৃতীয় সপ্তাহের মতো আরও চার দিনের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। আর লকডাউনে বাধ্যতামূলক ঘরে থাকতে হবে দুইটি নির্দিষ্ট বয়সের মানুষদের।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ানের বরাত দিয়ে আনাদুলু নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, দেশটির ৩১ প্রদেশে আগামী বুধবার মধ্যরাত থেকে রবিবার মধ্যরাত অর্থাৎ ২৩ এপ্রিল থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত জরুরি অবস্থা থাকবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এর আগের জরুরি অবস্থা আগামী বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত ঘোষণা করা হয়েছিল।

সোমবার তুরস্কে করোনায় আক্রান্ত হয়ে নতুন করে আরো ১২৩ জনের ‍মৃত্যুর পর জরুরি অবস্থা বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে বলে দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। দেশটিতে এপর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৪০ জনে।

এর আগে সিএনএন জানায়, তুরস্কের লকডাউনে ২০ বছরের কম ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সী সব নাগরিকদের বাধ্যতামূলকভাবে ঘরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে জানা যায়, জরুরি অবস্থায় তুরস্কের কর্ম দিবসগুলোতে ঘরে থাকার নির্দেশনা শুধু ২০ বছরের কম বয়সী এবং ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের মানুষদের জন্য। আর অন্যরা সবাই বাইরে যেতে পারছেন। এছাড়াও দেশটিতে চালু রয়েছে অবকাঠামো নির্মাণ কাজ, কারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের ল্যাংকেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলোজিস্ট মুহাম্মদ মুনীর বলেন, “এটা একটা বিকল্প পদ্ধতি। সুস্থ লোকজন কেনাকাটার জন্য বাইরে গেলেই তা ‘ক্ষতির কারণ হবে না’।

তিনি আরও বলেন, “আক্রান্তদের ৮০ শতাংশ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। সুতরাং যদি সুস্থ ব্যক্তি হন যাদের আর কোনো শারীরিক সমস্যা নেই তখন এই পদ্ধতি অবশ্যই সহায়ক। লকডাউনের একমাত্র সুবিধা হল তা ভাইরাসের বিস্তার ধীরগতির করে, হাসপাতালগুলোর ওপর চাপ কমায়।”

তবে ইউনিভার্সিটি অব কেন্ট-এর ভাইরোলোজির সিনিয়র লেকচারার ডা. জেরেমি রসম্যানের মতে, তুরস্ক প্রতিদিন যত সংখ্যক মানুষের সংক্রমণের তথ্য দিচ্ছে তাতে এই পদ্ধতি ঝুঁকিপূর্ণ। যখন কোনো দেশ ভাইরাস সংক্রমণের প্রাথমিক পর্বে থাকে এবং নতুন রোগীর সংখ্যা কম থাকে। আংশিক লকডাউনও ভালো হতে পারে, এটা কিছু অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা ও প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা দুইয়ের মধ্যে ভারসাম্য আনে

তিনি আরও বলেন, “তবে এটা নির্ভর করে লোকজন কতটা নির্দেশনা মেনে চলছে এবং কর্মক্ষেত্রে শারীরিক দূরত্ব ও হাত জীবাণুক্তকরণ কতটা করছে তার উপর। কিন্তু তুরস্কে এখন যে হারে সংক্রমণ ঘটছে তাতে এই পদ্ধতি পর্যাপ্ত হবে না বলে ঝুঁকি থেকে যায়।”

 

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।