মনসুর আহমেদ, বিশেষ প্রতিনিধি:- ঝুঁকির মধ্যে হবিগঞ্জ। আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবুও হাট বাজারে মানুষের সমাগম কমছে না। মানুষ সচেতন না হলে হবিগঞ্জও নারায়ণগঞ্জের মত অবস্থা হতে পারে বলে সচেতন বেশকয়জন মত প্রকাশ করেন। এদিকে হবিগঞ্জে করোনা আক্রান্ত ৭২ জনের মধ্যে ৬৯ জনেরই কোনও উপসর্গ নেই বলে জানিয়েছেন হবিগঞ্জ জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোখলেছুর রহমান।
তিনি জানান, জেলায় স্বাস্থকর্মীসহ নতুন করে আজ (১ মে) ১২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে গত ২০ দিনে করোনায় আক্রান্ত হলেন ৭২ জন। তবে তাদের মধ্যে ৬৯ জনেরই উপসর্গ না থাকায় বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানান তিনি।
হবিগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিস ও জেলা সদর হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত যে ১২ জন আক্রান্ত হয়েছেন তাদের বয়স ১৪ থেকে ৫১ মধ্যে এ। জেলায় করোনা আক্রান্তদের মধ্যে প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, ২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াও স্বাস্থ্য বিভাগের ৫ জন চিকিৎসক, ৪ জন নার্সসহ ২১ কর্মচারী রয়েছেন।
হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শামীমা জানান, এখন পর্যন্ত সব রোগীরই অবস্থা ভাল। সদর হাসপাতালের চিকিৎসক নার্সসহ কয়েকজন কর্মচারী করোনা আক্রান্ত হওয়ায় হাসপাতালের সাধারণ সেবা ৭ দিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালটিকে জীবাণুমুক্তকরণের কাজ চলছে। দুই একদিনের মধ্যে খোলে দেওয়া হবে।
করোনা আক্রান্ত হয়ে চুনারুঘাটের চা শ্রমিকের পাঁচ বছরের শিশু গত ২৫ এপ্রিল মারা যায়। জেলায় এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ১ জন।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, এই পর্যন্ত আইসোলেশনে আছেন ২৬ জন, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে ১০ জন ও হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন ২৩১২ জন।
উল্লেখ, নারায়ণগঞ্জ, গাজিপুর, ঢাকা থেকে জেলার সবকয়টি উপজেলায় লোকজনের আনাগোনা বৃদ্ধি পাওয়ার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে হবিগঞ্জ জেলা। পরিবহন বন্ধ থাকার পরেও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে খোলা ট্রাক ও এম্বুলেন্সে রোগী সেজে শত-শত এসেছে। চুনারুঘাট, লাখাই, আজমেরীগঞ্জ ও বানিয়াচং এ বিভিন্ন কল-কারখানায় কর্মরত শ্রমিকরা আসায় জনমনে আতংক বিরাজ করছে।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।