দশমিনা (পটুয়াখালী) ঃ
উপকুলীয় পটুয়াখালীর দশনিায় প্রাকৃতিক ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কৃষকদের বার বার ফসলহানির ঘটনায় প্রায় স্বর্বশান্ত। জলবায়ুর পরিবতর্নের পাশাপাশি এ বার চাষাবাদের ধরনও পরিবর্তন করেছেন কৃষকরা। যে জমিতে বোরো ধান ও ডাল জাতীয় ফসল উৎপাদন করা হত। সেই জমিতে এবার সূর্যমুখী চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে কৃষকের সূর্যমুখী চাষে নতুন আশা জাগিয়েছে। অপরদিকে, কৃষক বান্ধব সরকার স্বাস্থ্য সম্মত ভোজ্যতেল সরিষা ও সূর্যমূখী চাষে গুরুত্বরোপ করেছেন। পাশাপাশি উপজেলার কৃষি বিভাগ সূর্যমুখীর বীজ বিক্রয়ের নিশ্চয়তা দেওয়ায় কৃষকদের মধ্যে আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলার দশমিনা ইউনিয়নের নিজাবাদ গোপালদী গ্রামের সুলতান খাঁন জানান, গত বছর ৫০শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী আবাদ করে লাভবান হয়েছেন। এ বছর তিনি ১শ শতাংশ (১হেক্টর) এবং একই গ্রামের মানিক হাওলাদার ৩০শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছেন। কৃষি বিভাগের প্রচারনায় উদ্ধুদ্ধ হয়ে বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের বেতাগী গ্রামের আনন্দ ভক্ত ১শ শতাংশ (১হেক্টর), শাহজাহান খন্দকার ১শ শতাংশ (১হেক্টর), রণগোপালদী ইউনিয়নের সুজন মাহামুদ ১শ শতাংশ (১হেক্টর), বহরমপুর ইউনিয়নের বহরমপুর গ্রামের মুজাফফর ফকির ৫০শতাংশ (আধাঁ হেক্টর) এবং বাশঁবাড়িয়া ইউনিয়েনের বাঁশবাড়িয়া গ্রামের জাফর প্যাদা ৫০শতাংশ (আধা হেক্টর) জমিতে সূর্যমুখী আবাদ করেন। সূর্যমুখী আবাদে বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।
উপজেলার অফিস সূত্রে জানা যায়, সরকারের কৃষি বিভাগ সূর্যমুখী চাষে গুরুত্বরোপ করেছেন। এ ধারাবাহিতকায় এ বছর উপজেলায় ১৮ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষাবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে রণগোপালদী ২হেক্টর, আলীপুর ১.৫০হেক্টর, বেতাগী সানকিপুর ৫হেক্টর, দশমিনা ৪হেক্টর, বাশঁবাড়িয়া ৪হেক্টর, বহরমপুর ইউনিয়নে ১.৫০হেক্টর জমিতে বোরো মৌসুমে ভোজ্যতেল বীজ সূর্যমুখীর আবাদ করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বনি আমিন খাঁন জানান, চাষাবাদের শুরুতে কৃষক সূর্যমুখী চাষে আগ্রহ ছিল না। এ ভোজ্যতেল বীজ বিক্রয়ের নিশ্চয়তা দিয়ে কৃষকদেরকে উদ্ধুদ্ধ করা হয়। উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়নে সূর্যমুখীর উৎপাদন আশানুরুপ হয়েছে। সূর্যমুখীন উৎপাদন দেখে অন্যান্য কৃষকদের মধ্যে ভবিষতে এ তেল ফসল চাষ করার ব্যাপারে আশার সঞ্চার হয়েছে। তরমুজের পাশাপাশি সূর্যমুখীও হতে যাচ্ছে অন্যতম একটি লাভজনক অর্থকরী ফসল।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।