শরণখোলা সাউথখালী নির্মানাধীন বেড়িবাঁধে আবারো ভাঙ্গন - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, সকাল ৯:৪৪, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


 

শরণখোলা সাউথখালী নির্মানাধীন বেড়িবাঁধে আবারো ভাঙ্গন

ADMIN, USA
প্রকাশিত মে ১০, ২০২০
শরণখোলা সাউথখালী নির্মানাধীন বেড়িবাঁধে আবারো ভাঙ্গন

 

শরণখোলা (বাগেরহাট) :
শরণখোলা উপজেলার সাউথখালীর সিডরে বিধ্বস্ত নির্মানাধীন বেড়িবাঁধে আবারো ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। শনিবার রাত ৮টায় বাঁধের গাবতলা অংশের আশার আলো মসজিদের সামনে থেকে প্রায় চারশত মিটার ভেঙ্গে নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমে তাৎক্ষকিভাবে ওই রাতে বাঁধে মাটি ফেলে কিছুটা সামল দিয়েছেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাডঃ আমিরুল আলম মিলন রোববার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শনকালে এলাকাবাসী তার কাছে নদী শাসন করে বাঁধ নির্মানের দাবী জানান। এসময় তিনি পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের সাথে মুটোফোনে কথা বলে এলাকাবাসীকে আশ্বস্থ করেন। এছাড়া প্রতিমন্ত্রী এক সপ্তাহের মধ্যে ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে আসবেন বলে তিনি জানান।
সাউথখালী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মোজাম্মেল হোসেন জানান, ঘুর্ণিঝড় সিডরে এই বেড়িবাঁধ ভেঙ্গেই সাউথখালীতে সহস্্রাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। এরপর এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে ২০১৬ সাল থেকে চারশত কোটি টাকা ব্যায় সাপেক্ষে টেকসই বাঁধ নির্মানের কাজ শুরু হয়। কিন্তু কাজের মেয়াদ দুইবার শেষ হলেও সংশ্লিষ্ট উপকূল রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের (সিইআরপি) কর্মকর্তারা বগী থেকে গাবতলা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার ঝুকিপূর্ণ বাঁধ নির্মান না করে কম গুরুত্বপূর্ন এলাকার কাজ আগে করেন। যার ফলে প্রতিবছর ওই এলাকা ভেঙ্গে নদীগর্ভে বিলিন হতে থাকে। এভাবে এলাকাবাসীর ঘর-বাড়ি, গাছ-পালাসহ শতশত একর জমি ইতিমধ্যে নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। যা এখনো অব্যাহত আছে। সংশ্লিষ্টরা কোনমতে রিংবাঁধ দিয়ে ব্যার্থ চেষ্টা করছেন। ঝুকিপূর্ণ ওই অংশে এখন নদী শাসন না করে বাঁধ নির্মান করা হলে তা আবারো ভেঙ্গে যাবে।
এব্যপারে বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নাহিদুজ্জামান জানান, ঝুকিপূর্ণ ওই জায়গায় ৩১ শত মিটার ব্লক ডাম্পিং করে নদী শাসনের প্রস্তাবনা মন্ত্রনালয়ে রয়েছে। এটি এখন অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। আশাকরি অচিরেই কাজ শুরু করা যাবে।
সিইআরপি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল ইসলাম জানান, ২০১৬ সালে কাজ শুরু করা হলে ২০১৮ সালে বগী থেকে গাবতলা এলাকায় ভাঙ্গন শুরু হয়। যার কারনে বাঁধ নির্মান করা সম্ভব হয়নি। তবে নতুন করে জমি অধিগ্রহনের প্রস্তাব অনুমোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। অধিগ্রহন শেষ হলে বাঁেধর কাজ শুরু করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন জানান, রাতে বাঁধ ভাঙ্গার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। এরপর ওই রাতেই বাঁধ মেরামতের উদ্যোগ গ্রহন করি। সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সারা রাত মাটি ফেলে কিছুটা ঝুঁকিমুক্ত করা হয়েছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা আরেকটি রিংবাঁধ দেয়ার কাজ শুরু করেছেন।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।