পুলিশ হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিক্ষোভ ষষ্ঠ দিনে গড়িয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ৪০ টি শহরে কারফিউ জারি করা হলেও তা ভেঙে রাস্তায় নেমেছে বিক্ষোভকারীরা। খবর বিবিসির।
গত সোমবার মিনিপোলিসে ফ্লয়েড নামে ৪৬ বছরের এক কৃষ্ণাঙ্গকে হত্যা করে ডেরেক চাওভিন নামে এক পুলিশ কর্মকর্তা। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ফ্লয়েডের গলায় হাঁটু গেড়ে বসে আছেন ডেরেক। এ ঘটনায় চার পুলিশকে বরখাস্ত করে কর্তৃপক্ষ।
রোববার রাতে নিউ ইয়র্ক, শিকাগো, ফিলাডেলফিয়া ও লস অ্যাঞ্জেলসে দাঙ্গা পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস ও পিপার বুলেট ছুড়েছে। বেশ কয়েকটি শহরে পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং দোকান লুটের ঘটনা ঘটেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের রিজার্ভ সামরিক ফোর্স ন্যাশনাল গার্ড জানিয়েছে, রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিসহ ১৫টি রাজ্যে তাদের পাঁচ হাজার সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে। রাজধানীতে বিক্ষোভকারীরা রোববারও হোয়াইট হাউসের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেছে, রাস্তায় আগুন জ্বালিয়েছে এবং নিরাপত্তা কর্মীদের দিকে পাথর ছুড়েছে। হোয়াইট হাউজের কাছকাছি কয়েকটি ভবনের অগ্নিসংযোগকারীদের লক্ষ্য করে পুলিশ কাদুনে গ্যাস ছুড়েছে।
ফিলাডেলফিয়ার স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে সম্প্রচারিত দৃশ্যে পুলিশের বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করতে ও অন্তত একটি দোকান লুট করতে দেখা গেছে। ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা মোনিকাতেও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
এক টুইটে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছে,‘ফিলাডেলফিয়াতে আইন-শৃঙ্খলা (ফিরিয়ে আন), এখনই! তারা দোকানপাট লুট করছে। আমাদের মহান ন্যাশনাল গার্ডদের ডাক।’
বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, গত কয়েক দিনে অন্তত চার হাজার ১০০ বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লুটপাট, সড়কে অবরোধ থেকে শুরু করে কারফিউ ভঙসহ বিভিন্ন অভিযোগে এসব মামলা করা হয়েছে।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।