মৌলভীবাজার প্রতিনিধি::মৌলভীবাজার করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক জারিকৃত সকল প্রকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলার প্রতি উপজেলায় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটেটর মাধ্যমে প্রতিদিন মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হচ্ছে।
১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবকে বৈশ্বিক মহামারি হিসেবে ঘোষণা করার পর থেকে কয়েকগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা গত তিন মাসে ১ হাজার ৬৬৩টি মামলা ও ৩৩ লক্ষ ৯০ হাজার ৮১০ টাকা অর্থদÐ প্রদান করেছে প্রশাসন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত মার্চ মাসে মৌলভীবাজার জেলায় মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়েছে সর্বমোট ৮৫ টি। মোট মামলার সংখ্যা ছিল ২৩৬ টি এবং অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে মোট ১৭ লক্ষ ০৭ হাজার ৮৫০ টাকা। গত এপ্রিল মাসে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়েছে সর্বমোট ১৫৯ টি। মোট মামলার সংখ্যা ছিল ৯২৪ টি এবং অর্থদÐ প্রদান করা হয়েছে মোট ১১ লক্ষ ৯৭ হাজার ৩৬০ টাকা। কারাদন্ড দেয়া হয়েছে ০১ জনকে। মে মাসে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়েছে সর্বমোট ৯৮ টি। মোট মামলার সংখ্যা ছিল ৫০৩ টি এবং অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে মোট ৪ লক্ষ ৮৫ হাজার ৬০০ টাকা। কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে ০৫ জনকে।
এবিষয়ে এক প্রেস রিলিজে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পর থেকেই জেলা প্রশাসন মৌলভীবাজার এর উদ্যোগে লিফলেট বিতরণ, সামাজিক মাধ্যম ও গণমাধ্যমে প্রচারণা এবং মাইকিং এর মাধ্যমে জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করা হয়েছে। এছাড়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নাজিয়া শিরিন মহোদয়ের আদেশ অনুসারে গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ জেলার পর্যটন সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সকল প্রকার গণজমায়েত বন্ধ করা হয়েছে এবং জরুরি প্রয়োজন ব্যাতীত রাস্তাঘাট ও হাট-বাজারে চলাচল ও কেনাকাটার উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। পরবর্তীতে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় অধিকতর সচেতনতা অবলম্বন করতে গত ১৩ এপ্রিল জেলায় জনসাধারণের প্রবেশ এবং প্রস্থানের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক জারিকৃত সকল আদেশের সুষ্ঠু বাস্তবায়নে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর তত্ত¡বাবধানে মৌলভীবাজার জেলার সকল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটগণ দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন।
তিনি আরো জানান, মৌলভীবাজার জেলার অনেক মানুষ প্রবাসে থাকার কারণে বাংলাদেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় এই জেলায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি ছিল অনেক বেশি। তবে জেলা প্রশাসনের সময়োপোযোগী বিভিন্ন সিদ্ধান্ত ও কার্যাবলী, অন্যান্য দপ্তরের আন্তরিক সহযোগিতা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিকগণ ও সর্বস্তরের মানুষের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং সর্বোপরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় এ জেলার করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি যথাসম্ভব নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।