তারিখঃ০৬/০৮/২০২০
বরাবর
সিনিয়র সচিব
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশ সচিবালয় ঢাকা-১০০০।
বিষয়: প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের গেজেটেড ও নন গেজেটেড কর্মচারী নিয়োগবিধি ২০১৯ সংশোধন করে সহকারী শিক্ষকদের বিভাগীয় প্রার্থীতা পূনঃবহালের জন্য আবেদন।
জনাব,
সবিনয় নিবেদন এই যে,আমরা নিম্নস্বাক্ষরকারীগণ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছি।০৫ সেপ্টেম্বর ১৯৮৫ সালের এস আর ও নং৩৯৭ এল/৮৫ এবং ৩১শে আগষ্ট২০০৩ সালের এস আর নং২৬০ আইন/২০০৩ সহকারী শিক্ষকদের উপজেলা শিক্ষা অফিসার,সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার হিসেবে পদোন্নতির সুযোগ ছিল এবং উক্ত পদে বিভাগীয় প্রার্থীতার বয়স ৪৫ বছর পর্যন্ত শিথিল ছিল।বিদ্যমান নিয়োগবিধি সংশোধন করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের গেজেটেড কর্মকর্তা ও নন গেজেটেড কর্মচারী নিয়োগবিধি ২০১৯ এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে।এতে সহকারী শিক্ষকদের সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে বিভাগীয় প্রার্থীতার সুযোগ বাতিল করা হয়েছে।আপনি নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে বর্তমানে সহকারী শিক্ষক পদে স্নাতক /স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন অনেক শিক্ষক যোগদান করছেন।বর্তমানে সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১৩ তম গ্রেডে(স্নাতক ২য় শ্রেণি যোগ্যতায়)উন্নীত করা হয়েছে।এতদসত্বেও নতুনভাবে প্রনীত গেজেটেড ও ননগেজেটেড কর্মচারী নিয়োগবিধি ২০১৯ এর খসড়াতে সহকারী শিক্ষকদের বিভাগীয় প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে।যা আমাদের শিক্ষকদের হতাশাগ্রস্থ করেছে।যার দরুণ প্রাথমিক শিক্ষায় মান সম্মত শিক্ষা কতটুকু নিশ্চিত হবে তা বলা কঠিন। উল্লেখ্য যে সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানে বিভাগীয় প্রার্থীতা বহাল আছে।নতুন খসড়া বিধিমালায় সহকারী শিক্ষকদের উচ্চতর পদে বিভাগীয় প্রার্থীতা বাতিল করে শিক্ষকদের চাকুরীর মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে। এর ফলে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
অতএব, বর্তমান শিক্ষা বান্ধব সরকারের কাছে আকুল আবেদন এই যে খসড়া নিয়োগবিধি ২০১৯ সংশোধন করে সহকারী শিক্ষকদের বিভাগীয় প্রার্থীতার সুযোগদানে জনাবের যেন মর্জি হয়।
নিবেদক
সকল সহকারী শিক্ষকদের পক্ষে
অপু পাল
মোঃআমিনুল ইসলাম আমিন
মোঃসুলতান মহিউদ্দিন
ফারজানা আক্তার
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।