বৈদেশিক প্রকল্পে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের সরবরাহের নামে ভ্যাট ফাঁকি – BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, দুপুর ২:৩৮, ১০ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ


 

বৈদেশিক প্রকল্পে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের সরবরাহের নামে ভ্যাট ফাঁকি

প্রকাশিত আগস্ট ২০, ২০২০
বৈদেশিক প্রকল্পে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের সরবরাহের নামে ভ্যাট ফাঁকি

Manual2 Ad Code

উন্নয়ন সহযোগী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা কিংবা বিদেশের সঙ্গে সরকারের চুক্তির আওতায় দেশে বিভিন্ন ধরনের প্রকল্পসহ কার্যক্রম বাস্তবায়ন হয়ে আসছে। এসব প্রকল্পে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা সরবরাহকে (বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন) রপ্তানি বলে গণ্য করে আসছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট বিভাগ। ফলে এসব দরপত্রে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ভ্যাট ছাড়ের সুযোগ পেয়ে আসছিল। কিন্তু এই সুযোগের অপব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে আসছে দরপত্রে অংশগ্রহণকারী বহু প্রতিষ্ঠান।

Manual3 Ad Code

সম্প্রতি এনবিআরের ভ্যাট বিভাগ এ ধরনের বেশ কিছু ভ্যাট ফাঁকি উদ্ঘাটন করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এ ধরনের বিদেশি অর্থায়নের প্রকল্পের দরপত্রে অংশগ্রহণ সংক্রান্ত এনবিআরের নির্দেশনার জটিলতার সুযোগ নিয়ে এ ফাঁকি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো।

দরপত্রে সরাসরি অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের লেনদেনে এ সুযোগ দেওয়া হলেও ঠিকাকাজ বা সাবকন্ট্রাক্ট ভিত্তিতে কাজ করা প্রতিষ্ঠানও এই সুযোগ নিয়েছে। এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনার পর সম্প্রতি ভ্যাট বিভাগ এ বিষয়ে নতুন করে একটি স্পষ্টীকরণের পাশাপাশি নির্দেশনা দিয়েছে। এতে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, সাবকন্ট্রাক্ট ভিত্তিতে দরপত্রে কাজে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের লেনদেন বৈদেশিক মুদ্রায় হলেও তা রপ্তানি বলে গণ্য হবে না। অর্থাত্ সেক্ষেত্রে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান ভ্যাট ছাড় পাবে না। এটি নিশ্চিত করার জন্য মাঠপর্যায়ের অফিসগুলোকে ‘নিবিড় তদারকির’ মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Manual2 Ad Code

এনবিআরের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো এ ধরনের দরপত্রে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে অনেক সক্ষম। দেশের নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে এ ধরনের দরপত্রে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে পিছিয়ে না পড়ে, সেজন্য এ সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া এ ধরনের কাজ করার ক্ষেত্রে বিদেশি প্রতিষ্ঠান যুক্ত হলে বৈদেশিক মুদ্রা ঐসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিদেশে চলে যায়। এসব মুদ্রা যাতে বিদেশে চলে না যায়—তাও বিবেচনায় নেওয়া হয়। এ লক্ষ্যে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভ্যাট সংক্রান্ত সুবিধা দেওয়া হয়।

এনবিআরের ভ্যাট বিভাগের ঐ ব্যাখ্যায় বলা হয়, ভ্যাট ছাড়ের সুযোগ পেতে হলে দেশীয় প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সরাসরি দরপত্রে অংশগ্রহণের মাধ্যমে কার্যাদেশ প্রাপ্তির বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ ধরনের আন্তর্জাতিক দরপত্রে প্রাথমিকভাবে মনোনীত বা কার্যাদেশপ্রাপ্ত দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো পণ্য ও সেবা সরবরাহের ক্ষেত্রে ‘রপ্তানিকৃত বলে গণ্য’ হওয়ার সুবিধা পাবে। কিন্তু মূল কার্যাদেশপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান যদি একই প্রকল্পে পণ্য বা সেবা সরবরাহের লক্ষ্যে পুনরায় পত্রিকায় দরপত্র বিজ্ঞপ্তি আহ্বান করে কোন দ্বিতীয় পক্ষকে সাবকন্ট্রাক্টর নিয়োগ করে তা ‘রপ্তানি বলে গণ্য’ হওয়ার আইনগত সুযোগ নেই। কেন না এতে সরকার নতুন করে বৈদেশিক মুদ্রা পায় না। অন্যদিকে ২০০৬ সালের পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইনের বিদ্যমান বিধির সঙ্গেও তা সাংঘর্ষিক।

অবশ্য দীর্ঘদিন ধরে এ প্রক্রিয়ায় ভ্যাট ফাঁকি হলেও তা এনবিআরের অগোচরে ছিল না বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। তা সত্ত্বেও এতদিন ধরে এ বিষয়ে এনবিআর উদ্যোগ না নেওয়ায় প্রশ্ন তুলেছেন তারা।

 

Manual5 Ad Code

 

Manual2 Ad Code

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।
Manual1 Ad Code
Manual2 Ad Code