শরণখোলা (বাগেরহাট) :
লঘুচাপের প্রভাবে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শরণখোলার বেড়িবাঁধের বাইরে বসবাসকারী প্রায় ৬০০ পরিবারের ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পনি বেড়েছে তিন থেকে চার ফুট।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেড়িবাঁধের বাইরে বসবাসকারী উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের বলেশ্বর পারের রাজৈর মারকাজ মসজিদ থেকে বান্দাঘাটা পর্যস্ত তিনশত পরিবার এবং সাউথখালী ইউনিয়নের বগী, তেড়াবেকা, পানিরঘাট, সোনাতলা ও খুড়িয়াখালী গ্রামের ২৮০ পরিবার জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
রাজৈর গ্রামের বাসিন্দা আ. হাকিম হাওলাদার জানান, জোয়ারে তার ঘরের মধ্যে দুই ফুট পানি উঠেছে। বগী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী হাওলাদার জানান, সকাল-সন্ধ্যা দুইবার জোয়ারে ডুবতে হয় তাদের। কোনোরকম দুর্যোগ বা জোয়ারের পানি একটু বাড়লেই ঘরে বসবাসের কোনো উপায় থাকে না।
খোন্তাকাটা ইউপির রাজৈর ওয়ার্ডের মেম্বর মো. আব্দুর রহিম হাওলাদার জানান, স্থানীয় কিছু লোকের খামখেয়ালীর কারণে আজ জোয়ারে ডুবেছে ৩০০ পরিবার। রায়েন্দা খালের পাড় থেকে বেড়িবাঁধটি নির্মান কার হলে এই পরিবারগুলো রক্ষা পেত।
সাউথখালী ইউপি’র বগী ওয়ার্ডের মেম্বর মো. রিয়াদুল পঞ্চায়েত জানান, আকাশে মেঘ দেখলেই সাউথখালীর এই পাঁচ গ্রামের মানুষ আতঙ্কি হয়ে পড়ে। নদীর কাছাকাছি বাঁধের বাইরে থাকা এসব ভূমিহীন ও নি¤œ আয়ের মানুষের সারা বছরই ঝড়-জলোচ্ছাসের সঙ্গে যুদ্ধ করে মানবেতর দিন কাটে। এসব পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান তিনি।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।