শেবুল চৌধুরী ::
(পূর্ব প্রকাশের পর)
স্বাধীনতা ও সামাজিক আন্দোলন সংগ্রামের দুঃসাহসিক সৈনিক ছিলেন আলহাজ্ব আলী ইসমাইল । তাঁর প্রতি সাধারণ মানুষের যে কতটুকু ভালোবাসা, আস্হা এবং শ্রদ্ধা ছিল তা প্রতিয়মান হয়েছিল তাঁরই নামাজে জানাজা য়। প্যানাডেমিক করোনা সময়ে নানান সীমাবদ্ধতা থাকা সত্বেও বার্মিংহাম জামে মসজিদে (কভেন্টি রোড মসজিদ) তাঁর নামাজে জানাজায় শত শত মানুষের অংশ গ্রহণ ।করোনা এই সময়ে মাস্ক পরিহিত অবস্থায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ আদায় করলে ও সবার চোখে মূখে ছিল শোকের ইঙ্গিত ।আলী ইসমাইল মামার ছেলেরা থেকে শুরু করে আত্মীয় স্বজন ছাড়া ও কমিউনিটি অনেককেই সেদিন বিমর্ষ দেখা গিয়েছিল ।বার্মিংহামস্হ সহকারী হাই কমিশনার নাজমুল হক ছাড়া ও কমিউনিটির নেতৃবৃন্দের মধ্যে জানাযায় উপস্থিত ছিলেন ফয়জুর রহমান চৌধূরী এমবিই,মুহিবুর রহমান চৌধূরী মঈন, আলহাজ্ব খসরু খান, মিছবাউর রহমান মিছবা ,আলহাজ্ব মাফিজ খান, ফিরোজ রববানী, মআ কাদির, কামাল আহমদ,রিয়াদ আহাদ, কামরুল হাসান চুনু, আব্দুল মুত্তালিব চৌধূরী সেবু,আলহাজ্ব আজির উদ্দিন,জয়নাল ইসলাম, কাজী লোকমান হোসেন, তোফাজ্জল চৌধূরী, মকবুল চৌধূরী, তারেক চৌধূরী, কমরেড মসুদ আহমদ, মোঃ রনজু মিয়া , আলহাজ্ব শমসু মিয়া, জুম্মা আহমদ চৌধূরী লিটু,সৈয়দ নাসির আহমেদ, মারুফ হোসেন, শাহ আবিদ আলী সহ আরো অনেকেই যে,কত নাম লিখবো? নামের শেষ নেই? মুখে মাস্ক পরিহিত থাকলে ও সবার চোখ ইঙ্গিত দিচ্ছে বেদনাদায়ক শূণ্যতার।
আলহাজ্ব আলী ইসমাইল মামাকে নিয়ে লিখতে গেলে কয়েক খন্ড লিখা যাবে । তিনি ছিলেন আপাদমস্তক একজন দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ । কমিউনিটির কাজ করতে গিয়ে কোন এক সময় আমরা বিশেষ করে আমি বন্ধু বর ম,আ,কাদির ভাই, মিছবা ভাই(মিছবাউর রহমান মিছবা),কাজল ভাই (দীনুল ইসলাম কাজল),শ্যামল ভাই (নাসির আহমদ শ্যামল)সহ আরো অনেকেই আলী ইসমাইল সাহেবের সান্নিধ্য লাভ করে ছিলাম । খুব কাছ থেকে তাঁকে জানার সৌভাগ্য হয়েছিল । বয়সের দিক দিয়ে তিনি অনেক বড় হলে তিনি আমাদের সাথে সম্পর্ক রাখতেন সাথী, সহযোদ্ধা, ভাই ও বন্ধু হিসেবে ।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।