বেগমগঞ্জসহ সব নির্যাতনের পেছনে সরকারি দলের কর্মীরা: মান্না - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, রাত ১:৩৭, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


 

বেগমগঞ্জসহ সব নির্যাতনের পেছনে সরকারি দলের কর্মীরা: মান্না

editor
প্রকাশিত অক্টোবর ১১, ২০২০
বেগমগঞ্জসহ সব নির্যাতনের পেছনে সরকারি দলের কর্মীরা: মান্না

ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জসহ যত নির্যাতন হয়েছে তার সব কটির পেছনেই সরকারি দলের নেতা-কর্মীরা আছে বলে দাবি করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, দেশে একের পর এক ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। কিš, সরকার তাতে কর্ণপাত করছে না। বরং উল্টো বিরোধী দলের ওপর দায় চাপা”েছ। নোয়াখালীর ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার এক মাস আগের ঘটনা। এর আগে পুলিশ কিছুই জানতো না। এ এক মাস পুলিশ তাহলে কি করলো? দুর্বৃত্তরা যখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্ষণের ভিডিও ভাইরাল করলো তখন সবাই জানলো। পুলিশ কী শুধু যাদের ভিন্নমত তাদের দমন করতে পারে। সবাইকে বলছি না। কিš, পুলিশের অনেকেই এমন।

নোয়াখালী, সিলেটের এমসি কলেজসহ দেশে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় বিচার দাবিতে গতকাল সকালে সচিবালয়ের বাইরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে গণসংহতি আন্দোলন আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশে সংহতি জানিয়ে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, দেশে ধর্ষণের মহামারি চলছে। কিš, গায়ের জোরে ক্ষমতায় আসা বর্তমান সরকার নানা কথা বলে তা পাশ কাটানোর চেষ্টা করছে। সরকারকে বলতে চাই পিটিয়ে, দমন করে গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। সারাদেশে গণআন্দোলন গড়ে তোলে আপনাদের পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে।
আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। সিলেটের ঘটনার পর বেগমগঞ্জের ঘটনা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। এভাবে রাষ্ট্র সভ্য থাকতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের সংস্কৃতি সেটা একদিন গড়ে ওঠেনি। যুবলীগের ক্যাসিনো কা- দেখেছেন। এ নেতারাই মদত দেয়। আমরা এ সরকারকে বলবো যথেষ্ট হয়েছে। বিশ্বের কোনো স্বৈরশাসক চিরদিন ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। এ সরকারও বেশী দিন থাকতে পারবে না। আমরা চাই না যে, মুক্তিযুদ্ধের দল, বঙ্গবন্ধুর দল স্বৈরশাসক হোক। আর অত্যন্ত লজ্জাজনকভাবে তাদের ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হয়। তিনি আরও বলেন, দুনিয়াতে কোথাও বৃদ্ধরা পরিবর্তন করেননি। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন তরুণেরা। কাঙ্খিত পরিবর্তনের জন্য তরুণদের মাঠে নামতে হবে। তবেই পরিবর্তন আসবে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী ও সমাবেশের সভাপতি জোনায়েদ সাকি বলেন, বিভিন্ন দলের সঙ্গে একসঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। এর অর্থ হলো জনগণের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করা। মৃত্যুদন্ড ঘোষণা করলে ধর্ষণ বন্ধ হবে না। প্রতিটি ধর্ষণের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। যারা রাতের আঁধারে ভোট কেটে নেয়, তারা মাস্তান ও পুলিশ গুন্ডা বাহিনীর মাধ্যমে টিকে আছে। যখন সে গুন্ডারা ধর্ষণ করে, তাদের বিচার এ সরকার করতে পারবে না। এই সরকারকে বিদায় করতে হলে জনগণের গণপ্রতিরোধ এবং গণআন্দোলণ ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। গণসংহতি সমাবেশে এসময় বাম দলের একাধিক প্রতিনিধি বক্তব্য রাখেন।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।