আগৈলঝাড়ায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ম্লান দুর্গোৎসবের আনন্দ
২৪ অক্টো ২০২০, ১১:১৬ অপরাহ্ণ

রুবিনা আজাদ, আগৈলঝাড়া (বরিশাল) :
বুধবার থেকে অব্যাহত বৃষ্টিতে থমকে দাড়িয়েছে আগৈলঝাড়ার জনজীবন। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জন্য হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পুজায় পুজারী ও দর্শনার্থীদের চরম ব্যাঘাত ঘটছে।
করোনা মোকাবেলায় কেন্দ্রীয পুজা উদযাপন পরিষদের ২৬দফা নির্দেশনা ও প্রশাসনিক বাধ্যবাধকতার সাথে বৃষ্টির কারণে শুক্র ও শনিবার বিকেলে উপজেলার বেশ কয়েকটি মন্ডপ ঘুরে দেখা গেছে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি খুবই কম। উৎসব পালনের আনন্দেও যেন ভাটা পড়েছে। বৃষ্টি ও করোনার কারণে এবছর পুজার আনন্দ অনেকটাই ম্লান।
মন্দিরে আগত ভক্ত-দর্শনার্থীরা জানান, করোনা মহামারির কারণে এবছর ধর্মীয় আয়োজনের বাইরে কোন উৎসব হবে না, অনুষ্ঠিত হবে কেবল সাত্তিক পুজা। কোথাও নেই লাইটিং, সুদৃশ্য তোরণ, সাউন্ড সিষ্টেম, নেই কোথাও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন।
উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিপুল দাস জানান, এ বছর করোনার কারনে বেশীরভাগ পরিবারে আর্থিক সংকট দেখা দেয়ায় এবছর পুজার আনন্দ উদযাপনে ভাটা পড়েছে। নতুন পোশাক কেনাকাটা কিংবা আপ্যায়নেও অন্য বছরের তুলনায় তেমন একটা লক্ষ করা যাচ্ছে না। মন্দিরে আগত ভক্ত-দর্শনার্থীদের জন্য করোনা মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
থানার এসআই তৈয়বুর রহমান জানান, উপজেলায় পুজা মন্ডপের নিরাপত্তা প্রদানের জন্য ১শ ১৪জন সশস্ত্র পুলিশ সদস্য কাজ করছে। এদের মধ্যে মোটরসাইকেলে ১৬টি দল ও ১০টি সাধারণ মোবাইল টিম কাজ করে যাচ্ছে।
উপজেলা আনসার ও ভিডিপি অফিসার রেদোয়ান আহম্মেদ জানান, ১শ ৯০জন আসনার সদস্য পুজা মন্ডপের নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। উপজেলার রাজিহার ও শ্রীমতি মাতৃ মঙ্গল বালিকা বিদ্যালয়ে অস্থায়ী ক্যাম্পে থেকে মন্ডপগুলোর নিরাপত্তা প্রদান করে আসছে। আনসার সদস্যদের ১৯টি টিম গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে চার জন অস্ত্রধারী ও দুজন লাঠি নিয়ে ৬জনের টিমে ১৫টি নিয়মিত টহল ও ৪টি রিজার্ভ টিম রাখা হয়েছে। যা যে কোন প্রয়োজনে কাজ করবে।
গৌরনদী উপজেলার ৮১টি পূজা মন্ডবে আইন শৃংখলা রক্ষায় সার্বক্ষনিক কাজ করছেন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্স ও কুইক রেসপন্স টিম।
গ্যেরনদী উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকতর্তা মরিয়ম আক্তার জানান, ১শ জন আনসার সদস্যর সমন্বয়ে ১০টি মোবাইল টিমের মাধ্যমে সশস্ত্র অবস্থায় ৫দিন ব্যাপী প্রতিটি পূজা মন্ডপে আইন শৃংখলা রক্ষায় সার্বক্ষনিক কাজ করছেন সদস্যরা।