হেরে গেলেও শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা ছাড়বেন না ট্রাম্প!
আর কয়েক ঘণ্টা পরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোট। গোটা পৃথিবীর কোটি মানুষের চোখ এখন সেদিকেই।
সবার চোখে মুখে একই প্রশ্ন, কে হচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট?
পাশাপাশি আরও একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, তা হলো ট্রাম্প যদি হেরে যান, তাহলে কি তিনি শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা ছাড়বেন?
মার্কিন সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের বেশির ভাগ মানুষ আশঙ্কা করছেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়তে পারে। কয়েকটি মার্কিন সংবাদমাধ্যমের জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে।
সেখান জনগণের এমন ভাবনার কারণ হলো, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বেশ কয়েকবার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বলেছেন, তিনি নির্বাচনে হেরে গেলেও শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা ছাড়বেন না।
দেশটির সংবাদমাধ্যমের জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, প্রতি চারজনের মধ্যে তিনজন মার্কিন নাগরিক মনে করছেন, নির্বাচনের পর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়বে। কেউ কেউ মনে করছেন, ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেনের কাছে হেরে গেলেও শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা ছেড়ে দেবেন না প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
যদি এমনটি হয়, তাহলে তা হবে এক ঐতিহাসিক ঘটনা। কারণ নিকট অতীতে এমন ঘটনার মুখোমুখি হয়নি মার্কিন জনগণ।
চরম উত্তেজনার এই নির্বাচনে প্রতিপক্ষের লোকজনকে বাধা দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। প্রচারণায় যাওয়ার পথে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেনকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন ট্রাম্প সমর্থকরা। ফলে বাইডেন টেক্সাসে তার নির্ধারিত সমাবেশ করতে পারেননি।
জানা যায়, নির্বাচনী প্রচারণায় টেক্সাসের অস্টিন যাওয়ার পথে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনকে বহনকারী বাস ঘিরে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে ট্রাম্প সমর্থকরা। এ সময় বাইডেনের সহযোগীরা জরুরি নাম্বার ৯১১-তে ফোন করে পুলিশি সহায়তা চান। ঘটনার পরে তদন্ত শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা-ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)।
দোদুল্যমান রাজ্যগুলোতে শেষ মুহূর্তের প্রচারে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ট্রাম্প-বাইডেন। মূলত এই রাজ্যগুলোর ভোটই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বেশি প্রভাব ফেলে।
বৈশ্বিক স্বার্থে ইউরোপের অনেক দেশই চাচ্ছে না ট্রাম্প আবার ক্ষমতায় আসুক। তাছাড়া বিশ্বের অন্যান্য দেশও পরোক্ষভাবে ট্রাম্পের পুনরায় ক্ষমতায় আসা পছন্দ করছে না।
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও গবেষকরা মনে করেন, ট্রাম্পের আমলে বর্ণবাদ ও জাতিবিদ্বেষ বিশ্ব সম্প্রীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
২০১৬ সালের নির্বাচনে পুতিন প্রশাসনের সহযোগিতায় জিতেছিলেন ট্রাম্প- এমন বিতর্ক রয়ে গেছে এতদিনেও। একে রাশিয়ার জন্য লাভজনক বলে মনে করে রুশরা।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।