সংকটে লামা ফাঁসিয়াখালীর ‘মোহাম্মদীয়া মদিনাতুল উলূম মাদ্রাসা, হেফজখানা ও এতিমখানা’ – BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, দুপুর ২:১২, ১০ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ


 

সংকটে লামা ফাঁসিয়াখালীর ‘মোহাম্মদীয়া মদিনাতুল উলূম মাদ্রাসা, হেফজখানা ও এতিমখানা’

প্রকাশিত নভেম্বর ১৫, ২০২০
সংকটে লামা ফাঁসিয়াখালীর ‘মোহাম্মদীয়া মদিনাতুল উলূম মাদ্রাসা, হেফজখানা ও এতিমখানা’

Manual3 Ad Code

 

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, নিজস্ব সংবাদদাতা, লামা :

Manual3 Ad Code

ভবন সংকট, শিক্ষকদের বেতন প্রদানে শূণ্য তহবিল, জরাজীর্ণ ভবন, এতিমদের খাওয়া খরচ, পয়নিস্কাশন ব্যবস্থা সহ অসংখ্য সমস্যায় জর্জরিত লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের “মোহাম্মদীয়া মদিনাতুল উলূম মাদ্রাসা, হেফজখানা ও রাজ্জাকিয়া এতিমখানা”। শিক্ষার্থীদের সামান্য বেতন ও স্থানীয় দেয়া অনুদান নিয়ে কোনমতে চলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক মাওলানা জয়নাল আবেদীন জানিয়েছেন, সরকারি ও বেসরকারি অনুদান না পেলে অচিরে বন্ধ হয়ে যেতে পারে মাদ্রাসা, হেফজখানা ও এতিমখানাটি।

Manual3 Ad Code

প্রধান শিক্ষক মাওলানা জয়নাল আবেদীন আরো জানিয়েছেন, বর্তমানে মাদ্রাসার নুরানী বিভাগে ৩টি শাখায় ১৫০ জন, হেফজ বিভাগে ৪৭ জন (২৫ জন এতিম) ও মোক্তবে ৯০ জন শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। দরিদ্র এলাকায় হওয়ায় প্রতিমাসে অনেক শিক্ষার্থী টাকা দিতে পারে না। গড়ে প্রতিমাসে ৩/৪ হাজার টাকা উঠে। এছাড়া পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয়দের সামান্য অনুদানে চলছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিমাসে মাদ্রাসা, হেফজখানা ও এতিমখানায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়।

মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির মোঃ শহীদ হোসাইন বলেন, ১লা জানুয়ারী ২০০০ সালে মোহাম্মদীয়া মদিনাতুল উলূম মাদ্রাসা, হেফজখানা ও রাজ্জাকিয়া এতিমখানাটি স্থাপিত হয়। আমাদের এলাকার মানুষজন খুবই গরীব। এই এলাকার একমাত্র দ্বীনি প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করতে আমরা সরকার ও সমাজের বিত্তবান মানুষের সহায়তা কামনা করছি। আমাদের মাদ্রাসায় ৩টি বিভাগে বর্তমানে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৮৭ জন। শ্রেণীকক্ষ সমস্যার কারণে শ্রেণী কার্যক্রম পরিচালনায় কষ্ট হচ্ছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের পয়নিস্কাশনের জন্য ওয়াসব্লক প্রয়োজন।

মাদ্রাসার নুরানী বিভাগের শিক্ষার্থী আনোয়ার হোসেন, তানজিলা আক্তার ও ফরিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের হুজুররা অনেক যতœ করে লেখাপড়া করান। আমাদের মাদ্রাসাটি ভাঙ্গাচোরা। সরকারি স্কুল গুলো দেখি অনেক সুন্দর। আমাদের মাদ্রাসাটি সুন্দর হলে আমাদের ভালো লাগত। মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী সাইদুল ইসলাম বলেন, হেফজ বিভাগে ২৫ জন এতিম শিশু লেখাপড়া করে। তারা বেতন ভাতা দিতে পারেনা। মাদ্রাসার সামান্য আয়ে তাদের খাওয়া দাওয়া ও থাকা খরচ চলে।

Manual1 Ad Code

মাদ্রাসার অভিভাবক হাজেরা বেগম, শামসুল ইসলাম ও মোঃ মামুন বলেন, মাদ্রাসায় নিয়মিত অভিভাবক সমাবেশ হয়। গরীব এলাকা হওয়ায় অনেক অভিভাবকরা বেতন দিতে পারেনা। শিক্ষকদের অনেক মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি চলমান রাখতে সহায়তার জন্য আমরা পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মোহাম্মদ হোসেন মামুন বলেন, মাদ্রাসাটির শিক্ষা কার্যক্রম চমৎকার। লেখাপড়ার পরিবেশ ভালো। কিন্তু আর্থিক সংকট থাকায় মাদ্রাসাটি পরিচালনা করতে সমস্যা হচ্ছে। শ্রেণী কার্যক্রম পরিচালনায় নতুন ভবন ও শ্রেণী কক্ষের প্রয়োজন।

Manual8 Ad Code

৩নং ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদার বলেন, মাঝেমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সহায়তা করা হয়। কিন্তু তা চাহিদার অনুযায় অপ্রতুল।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।
Manual1 Ad Code
Manual8 Ad Code