ভারতে চার শিশুকন্যাকে গলা কেটে হত্যার পর এক গৃহবধূ আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।
হরিয়ানা রাজ্যের গুরুগ্রামের নুহ পিপরোলি গ্রামে শুক্রবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো- মুসকান, আলসিফা, মিসকিনা ও আট মাসের মেয়েসন্তান।
পুলিশ জানিয়েছে, চার শিশুকন্যাকে একই ভাবে খুন করা হয়েছে। সবাইকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলাকাটা হয়েছে। তাদের মা-ই খুনের সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা পুলিশের।
তবে কী কারণে চার সন্তানকে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করতে চাইছিলেন ওই নারী, তা এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।
অভিযুক্ত নারীর নাম ফারমিনা। ২০১২ সালে খুরশিদ নামে এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় তার।
প্রতিবেশীদের দাবি, প্রথমে দুর্ঘটনায় তিন সন্তানের মৃত্যুর খবর জানতে পারেন তারা। পরে জানা যায় সবচেয়ে ছোট আট মাসের মেয়েও মারা গেছে। তবে সত্য ঘটনা জানাজানি হয় শুক্রবার রাতে।
ওইদিন রাতে ফারমিনার স্বামী অন্য ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীদের সঙ্গে নিয়েই খুরশিদ ঘরে ঢোকেন। স্থানীয় সময় রাত ৩টার দিকে খুরশিদ ঘর ভেতর থেকে আটকানো দেখতে পান।
এর পর ভেন্টিলেটর দিয়ে উঁকি দিয়ে খুরশিদ দেখতে পান নিজের গলা কাটছেন ফারমিনা। পরে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে চার শিশুকে গলাকাটা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখতে পান। ফারমিনার হাত থেকে ছুরি নিয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পুনহানা পুলিশ স্টেশনের এসএইচও সন্তোষ কুমার বলেন, ‘প্রতিবেশী ও আত্মীয়দের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
তবে কী কারণে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানান তিনি। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।