রাজবাড়ী গ্রীড উপকেন্দ্র দ্বিতীয় মেয়াদেও নির্মান অনিশ্চিত
২৯ নভে ২০২০, ০৯:১০ পূর্বাহ্ণ

রাজবাড়ী, (ফরিদপুর) :
ধীরগতিতে চলছে রাজবাড়ী সদর উপজেলার বাগমারার ১৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পূর্ণ গ্রিড উপকেন্দ্রের নির্মাণকাজ। ফলে ৩৪ মাসেও শেষ হয়নি ২৪ মাসের প্রকল্প। সেই সঙ্গে নিরসন হচ্ছে না জেলাবাসীর বিদ্যুৎ ভোগান্তি।
রাজবাড়ীতে বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে নির্মাণকাজ শুরু হলেও দুই বছরে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি। কাজ শেষ করতে না পেরে দ্বিতীয় দফায় মেয়াদ বর্ধিত করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিমেন্স বাংলাদেশ। দ্রুত কাজটি শেষ করে বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর দাবি স্থানীয়দের।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী বলছেন, করোনা পরিস্থিতিতে কাজ পিছিয়ে যাওয়ায় মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। নতুন বেঁধে দেয়া সময়ের আগেই কাজ শেষ করে উপকেন্দ্রটি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
রাজবাড়ীর পাঁচ উপজেলায় ওজোপাডিকো লিমিটেড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৫০-৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে প্রতিষ্ঠান দুটি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৮ সালে রাজবাড়ী সদর উপজেলার বাগমারায় পাঁচ একর জমির ওপর ৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে শুরু হয় গ্রিড উপকেন্দ্রের নির্মাণকাজ। কাজটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায় সিমেন্স বাংলাদেশ। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে কাজ সম্পূর্ণ করার কথা থাকলেও এ পর্যন্ত শেষ হয়েছে ৬০-৭০ শতাংশ কাজ।
স্থানীয়রা জানায়, বিদ্যুৎ ছাড়া এখন চলা প্রায় অসম্ভব। বিদ্যুৎ না থাকলে পড়াশোনাসহ ব্যবসায়িক কাজসহ সব কাজ বাধাগ্রসস্থ হয়। বিদ্যুৎ থাকলে শুধু যে আলো কাজে লাগে তা নয়, এটি কাজের গতিও বাড়ায়।
রাজবাড়ী ওজোপাডিকো লিমিটেডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আমিনুর রহমান বলেন, রাজবাড়ীতে নির্মাণাধীন উপকেন্দ্রটি সময়মতো নির্মাণ করা হলে জেলায় বিদ্যুতের সমস্যা থাকতো না। জেলায় মোট বিদ্যুতের চাহিদা ৫০-৬০ মেগাওয়াট। এটি যদি রাজবাড়ী থেকে পাওয়া যেতো তাহলে কোনো সমস্যা থাকতো না।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিমেন্স বাংলাদেশের সাইড ম্যানেজার মো. নাসির উদ্দিন বলেন, এটি ১৩২-৩৩ কেভি পিআইএস সাব-স্টেশন। ২০১৮ সালের জুন মাসে এ প্রকল্প আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। এরপর করোনার কারণে কাজটি পিছিয়ে যায়। কাজের মালামাল প্রায় ৮০ শতাংশ চলে এসেছে এবং বিদেশি বিশেষজ্ঞরা নভেম্বরের মধ্যে এলে মূল কাজ শুরু হবে।
পশ্চিমাঞ্চলীয় গ্রিড নেটওয়ার্ক ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (পিজিসিবি) উপ-সহকারী প্রকৌশলী সঞ্জয় কুমার পাল বলেন, পিজিসিবির দায়িত্বরত প্রকৌশলী দাবি করেছেন বিদেশি বিশেষজ্ঞরা এলে কাজ দ্রুতগতিতে শেষ হবে।
সাব-স্টেশনের নির্মাণকাজের ফোরম্যান তারিকুল ইসলাম বলেন, সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। দ্রুত কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি। ১৮ জন শ্রমিক নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি আমরা।