ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা: সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে বর্তমান কমিশনের সব ক্ষমতা থাকলেও তারা নিরপেক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করতে ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমান নির্বাচন কমিশন একটি বিবেক শূন্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। যে কারণে নির্বাচন নিয়ে জনগণের আগ্রহ শূন্যের কোটায় গিয়ে ঠেকেছে। আজ সুজনের উদ্যোগে ‘গণতন্ত্র, নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশন’শীর্ষক একটি অনলাইন গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন।
লিখিত প্রবন্ধ উপস্থাপনে ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমাদের সংবিধান নির্বাচন কমিশনকে কয়েকটি সুস্পষ্ট দায়িত্ব দিয়েছে। দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনকে অগাধ ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে। তবে দুর্ভাগ্যবশত সাম্প্রতিক স্থানীয় সরকার ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালীন সময়ে বহু অনিয়মের অভিযোগ উঠলেও আমাদের নির্বাচন কমিশন ছিল সম্পূর্ণ নির্বিকার। শাহদীন মালিক বলেন, গণতন্ত্রের প্রকৃত ধারণার সঙ্গে আমাদের চারদিকে যে অবস্থা দেখছি, তার কোনও মিল নেই। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হলো সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান। কিন্তু তারা সে দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে না। গণতন্ত্র, নির্বাচন এসব বিষয় ক্রমাগত কল্পনার বিষয়ে পরিণত হচ্ছে। আলী রিয়াজ বলেন, সংবিধান প্রধানমন্ত্রীর হাতে সব নির্বাহী ক্ষমতা ন্যস্ত করেছে। এর মাধ্যমে এক ধরনের সাংবিধানিক একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। নির্বাহী বিভাগের এই যে ক্ষমতা তৈরি হয়েছে, এটাকে আলোচনা না করে শুধুমাত্র কমিশন নিয়ে আলোচনা করলে আর হবে না।
আলী ইমাম মজুমদার বলেন, নির্বাচনের প্রধান অংশীদার হলো সরকার। কমিশন গঠনের জন্য যেসব সার্চ কমিটি গঠন করা হয়, এগুলোতে সরকার যাকে চায়, সেরকম লোকই বেরিয়ে আসে। সরকার না চাইলে সুষ্ঠু নির্বাচন করা খুবই দুরূহ। আসিফ নজরুল বলেন, ‘কমিশন, প্রশাসন দলীয় অঙ্গ সংঠনের পরিণত হয়েছে। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তারা আবার ভালো মতো কাজ দায়িত্ব পালন করেছে। আমাদেরকে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠনের কথা জোরে সোরে বলতে হবে। সুজন সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসময় অন্যানের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, সুজনের নির্বাহী সদস্য সৈয়দ আবুল মকসুদ, ড. তোফায়েল আহমেদ, বিচারপতি এম এ মতিন, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, সাবেক সচিব আব্দুল লতিফ মণ্ডল, ফটোসাংবাদিক শহীদুল আলম, সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার, সহ-সভাপতি ড. হামিদা হোসেন, জাতীয় কমিটির সদস্য সি আর আবরার, একরাম হোসেন, সদস্য অধ্যাপক মুহাম্মদ সিকান্দর খান, সফিউদ্দিন আহমেদ ত্ত আকবর হোসেন প্রমুখ।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।