রংপুরে শীতে জমে উঠেছে গরম কাপড়ের ব্যবসা - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, সকাল ৯:৩৪, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


 

রংপুরে শীতে জমে উঠেছে গরম কাপড়ের ব্যবসা

ADMIN, USA
প্রকাশিত ডিসেম্বর ২২, ২০২০
রংপুরে শীতে জমে উঠেছে গরম কাপড়ের ব্যবসা

জালাল উদ্দিন, রংপুর ॥
টানা কয়েকদিন ধরে চলা শৈত্যপ্রবাহেসারাদেশের মতো রংপুরেও জেঁকে বসেছে শীত। ফলে গরম কাপড়ের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় রংপুর জেলার বিভিন্ন স্থানের মতো ফুটপাতেও শীতে গরম কাপড়ের ব্যবসা জমে উঠেছে। অল্প দামে মোটামুটি ভালো পোশাক পাওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষজন থেকে শুরু করে মধ্যবিত্তরাও ফুটপাতের ভাসমান দোকানগুলোতে ভিড় করছেন।
সরেজমিনে রংপুর মহানগরীর স্টেশন বাবুপাড়া, ডাকবাংলো সামনে, রেলগেট, হনুমনতলা, সুরভী উদ্যানে সামনে, সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও রংপুর পলিটেকনিক স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে ভ্যানে করে ভাসমান দোকান ফুটপাত ও অনেক জায়গায় সড়কের ওপর শীতে গরম পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসেছেন হকাররা। প্রতিটি ভাসমান দোকানের সামনেই ক্রেতাদের ভিড় করছেন। কোথাও একদরে কোথাও দামাদামির মাধ্যমে চলছে ক্রয়-বিক্রয়। বিক্রেতারা কেউ ভ্যানে করে, কেউ ফুটপাতে বসে বিক্রয় করছেন নানা বয়সীদের শীতের পোশাক বিক্রি করছেন। যার মধ্যে রয়েছে- সোয়েটার, জ্যাকেট, কম্বল, মোজা, হাতমোজা, কান ঢাকা টুপি, মাঙ্কি টুপি, শার্ট-প্যান্ট-ফুল হাতা টিশার্ট, জুতাসহ নানা শীত বস্ত্র।
সুরভী উদ্যানে সামনে ভ্যানে করে কাপড় বিক্রেতা শিমুল সরকার জানান, সোয়েটার, মোজা, কান ঢাকা টুপি বিক্রি করছি। শীত বাড়ায় বেচাবিক্রিও বেড়েছে। বর্তমানে দৈনিক ২-৩ হাজার টাকার শীতের কাপড় বিক্রয় হচ্ছে। সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বেচা-কেনা চলে। রংপুর সদর হাসপাতালের ফুটপাতে বসে কম্বল বিক্রয় করা ঝন্টু বিশ্বাসের বাড়ি সিরাজগঞ্জে । শীতের প্রকোপ বাড়ায় প্রতিদিন ৫ থেকে ৭ হাজার টাকার কম্বল বিক্রি করছেন তিনি। ঝন্টু জানান, কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় ফুটপাতে তার চায়ের দোকান রয়েছে। শীত মৌসুমে কম্বলের চাহিদা বাড়ায় এই ব্যবসা শুরু করেছেন।
কম্বল কিনতে আসা সাব রেজিস্টার অফিসের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, এখানে সাধ্যের মধ্যে কম দামে কম্বল পাওয়া যায়। তাই পরিবারের জন্য কম্বল কিনতে এসেছি।
রংপুর সরকারি কলেজ থেকে বিএ পাশ করে চাকরি না করে শহর সমাজসেবা ফুটপাতে ব্যবসা শুরু করেছেন রবিউল ইসলাম। তার দোকানেও ক্রেতাদের ভিড়। দুইজন কর্মচারী রেখে প্যাডিং জ্যাকেট, চায়না জ্যাকেট ও ম্যাগি হুডি সাড়ে ৫শ’ টাকা দরে বিক্রি করছেন। রবিউল বলেন, বিক্রয় খুব ভালো হচ্ছে। এ ব্যবসা করে মা, বাবা, ভাই, বোন নিয়ে পরিবার চলছে তার।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান বলেন, গতকাল রবিবার রংপুরে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। কুড়িগ্রামে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। তিনি আর ও বলেন, রংপুর অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ চলছে। মৃদু শৈত্যপ্রবাহ আরও কয়েক দিন স্থায়ী হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে শীতের তীব্রতা কমবে। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।