ফেরদৌস নয়, তাজউদ্দীন চরিত্রে রিয়াজ - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, সকাল ৬:০৩, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


 

ফেরদৌস নয়, তাজউদ্দীন চরিত্রে রিয়াজ

newsup
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২১
ফেরদৌস নয়, তাজউদ্দীন চরিত্রে রিয়াজ

বিনোদন ডেস্কঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীনির্ভর চলচ্চিত্র ‘বঙ্গবন্ধু’র শুটিং চলছে মুম্বাইয়ে। ছবিটিতে তাজউদ্দীন আহমদের চরিত্রে অভিনয়ের কথা ছিল অভিনেতা ফেরদৌসের। কিন্তু বৃহস্পতিবার জানানো হলো, তাজউদ্দীন আহমদের চরিত্রে ফেরদৌস নয়, অভিনয় করছেন রিয়াজ। ইতিমধ্যে রিয়াজ মুম্বাইয়ে ছবিটিতে শুটিংয়ে অংশ নিয়ে ঢাকায় ফিরেছেন।

বিষয়টি জানিয়েছেন ‘বঙ্গবন্ধু’ সিনেমার বাংলাদেশ অংশের লাইন প্রডিউসার ও নির্মাতা মোহাম্মদ হোসেন জেমী। তিনি বলেন, ‘ফেরদৌসের পরিবর্তে তাজউদ্দীন আহমদ সাহেবের চরিত্রে অভিনয় করছেন রিয়াজ। তিনি কদিন আগে শুটিংয়ে অংশ নিতে মুম্বাইয়ে গিয়েছিলেন। আবার ফিরেও এসেছেন। আবার কয়েকবার যাবে। মূলত শুটিংয়ের জন্য যাওয়া আসার মধ্যেই থাকতে হবে।’

এর আগে ভারতের লোকসভা নির্বাচনে একটি দলের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারে অংশ নেওয়ায় ফেরদৌসের ভিসা বাতিল করে ভারত সরকার। এ জন্য দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে কালো তালিকাভুক্ত করে বলে সে সময় খবর প্রকাশ করে ভারতীয় গণমাধ্যম।

এই বায়োপিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চরিত্রে আরিফিন শুভ, শেখ হাসিনার চরিত্রে নুসরাত ফারিয়া, শেখ রেহানার চরিত্রে সাবিলা নূর ছাড়াও বঙ্গবন্ধুর মা শেখ সায়েরা খাতুনের চরিত্রে অভিনয় করবেন দিলারা জামান এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী চরিত্রে থাকবেন তৌকীর আহমেদ। এ ছাড়া উল্লেখযোগ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন খন্দকার মোশতাকের ভূমিকায় ফজলুর রহমান বাবু, খায়রুল আলম সবুজ অভিনয় করবেন বঙ্গবন্ধুর বাবা লুৎফর রহমানের চরিত্রে, এ কে ফজলুল হকের চরিত্রে দেখা যাবে শহীদুল আলম সাচ্চুকে, আবদুল হামিদ খান ভাসানী চরিত্রে অভিনয় করবেন রাইসুল ইসলাম আসাদ, ছোট রেণু হবেন দীঘি, বড় রেণুর চরিত্রে তিশা।
তাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও স্বাধীনতাসংগ্রামের অন্যতম নেতা। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব অত্যন্ত দক্ষতা ও সফলতার সঙ্গে পালন করেন। স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে তিনি বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী হিসেবে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হওয়ার পর আরো তিনজন জাতীয় নেতাসহ তাঁকে বন্দি করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়। সেখানেই ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর বন্দি অবস্থায় ঘাতকের বুলেটে তিনি নিহত হন। ব্যক্তিজীবনে অত্যন্ত সৎ ও মেধাবী মানুষ ছিলেন তিনি।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।