দৌলতপুরে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বায়োফ্লক পদ্ধতির মাছ চাষ

Daily Ajker Sylhet

০২ এপ্রি ২০২১, ০৯:০০ পূর্বাহ্ণ


দৌলতপুরে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বায়োফ্লক পদ্ধতির মাছ চাষ

কুষ্টিয়া ০১ এপ্রিল ২০২১
বাড়ির আঙিনা বা ছাদে স্বপ্ল জায়গায় বায়োফ্লক প্রযুক্তিতে মাছ চাষ করা যায় বলে এ প্রযুক্তিতে মাছ চাষ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আর এ প্রযুক্তিতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের অনেক বেকার যুবক নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলেছেন। আবার অনেকে এই প্রযুক্তি বা পদ্ধতিতে মাছ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। আর প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাছ চাষে চাষীদের পরামর্শ ও সহযোতিা দিচ্ছেন মৎস্য বিভাগ।
বায়োফ্লক প্রযুক্তি বা পদ্ধতি হলো প্রোটিন সমৃদ্ধ জৈব পদার্থ এবং অণুজীব। যা ডায়াটম, ব্যাকটেরিয়া, প্রোটোজোয়া, অ্যালগি বা শেওলা, ফেকাল পিলেট বা মাছের মল এবং অমেরুদন্ডী প্রাণী ইত্যাদির ম্যাক্রো-এগ্রিগেট বা সমন্বয়। আর এ বায়োফ্লক প্রযুক্তিকে মাছ চাষের জন্য একটি আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি বলে মনে করা হয়। তাই করোনাকালীন সময়ে শিক্ষিত অনেক বেকার যুবক এবং প্রবাসীরাও এই পদ্ধতির মাছ চাষে ঝুঁকেছেন। তারা স্বাবলম্বীও হচ্ছেন। দৌলতপুরের ফিলিপনগর, গোলাবাড়ি, মথুরাপুর ও আল্লারদর্গা সহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এই পদ্ধতির মাছ চাষ করে অনেকে স্বাবলম্বী হয়েছেন। জনপ্রিয় হয়ে উঠা এই পদ্ধতির মাছ চাষ করে অনেকের কর্মসংস্থানও হয়েছে।
উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের গোলাবাড়ি গ্রামের বায়োফ্লক পদ্ধতির মৎস্য চাষী শিহাব উদ্দিন জানান, স্বল্প জায়গা ও কম খরচে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে তেলাপিয়া মাছ চাষ করে সে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন এবং করোনাকালীন সময়ে এই পদ্ধতির মাছ চাষ অর্থ যোগানের সহায়ক হিসেবে কাজ করছে। বাড়ির ছাদে এই পদ্ধতিতে মাছ করে আল্লারদর্গার স্বপন নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলেছেন।
বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ প্রচলিত পদ্ধতির তুলনায় খরচ অনেক কম এবং মাছের উৎপাদন পুকুর বা জলাশয়ে মাছ চাষের চেয়ে অনেক গুন বেশি। তাই এ পদ্ধতির মাছ চাষে আগ্রহী করে তুলতে তরুণ উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিচ্ছেন মৎস্য বিভাগ বলে জানিয়েছেন, দৌলতপুর মৎস্য কর্মকর্তা খন্দকার সহিদুর রহমান।
মাছের চাহিদা পুরণে পুকুর বা জলাশয়ে মাছ চাষের পাশাপাশি পড়ে থাকা বা অব্যবহৃত সীমিত জায়গায় বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষে বেকার যুকব বা মাছ চাষীদের আগ্রোহী করে তুলতে প্রয়োজন সরকারী পৃষ্ঠপোষকতার। আর এমনটাই মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।