নিউজ ডেস্কঃ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রধান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও দেশটির শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউসি বলেছেন, কেন্দ্রীয়ভাবে মার্কিন সরকার ভ্যাকসিন পাসপোর্ট হয়তো চালু করবে না।
ভ্যাকসিন পাসপোর্ট চালু করা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারা বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। রিপাবলিকান দলের প্রভাবশালী আইনপ্রণেতারা মনে করেন, ভ্যাকসিন পাসপোর্টের মাধ্যমে লোকজনের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার লঙ্ঘন ঘটবে।
বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি মোকাবিলায় ব্যাপকভাবে ভ্যাকসিন প্রদান করা হচ্ছে। ভ্রমণ ও বাণিজ্যের কাজে যাতায়াতের জন্য দেশে দেশে ভ্যাকসিন পাসপোর্ট চালুর বিষয় নিয়ে এখন আলোচনা হচ্ছে। কবে, কোথায়, কোন ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে এমন তথ্য থাকবে ভ্যাকসিন পাসপোর্টে। যুক্তরাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এমন পাসপোর্ট চালুর কথা এর মধ্যেই জানানো হয়েছে।
ভ্যাকসিন পাসপোর্ট চালুর পক্ষের লোকজনের মতে, এই পাসপোর্ট চালু হলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভ্রমণ সহজ হবে। আর রক্ষণশীলদের মতে, সরকার একজনের ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে কতটা ঘাঁটাঘাঁটি করবে, তার একটা সীমারেখা রাখা দরকার। যুক্তরাষ্ট্রে রিপাবলিকান দলের অধিকাংশ সদস্যই এমন পাসপোর্ট চালুর বিপক্ষে।
ওহাইও অঙ্গরাজ্যের দুজন রিপাবলিকান রাজ্য আইনপ্রণেতা এর মধ্যেই ভ্যাকসিন পাসপোর্ট চালু না করার জন্য একটি আইন প্রস্তাব উপস্থাপনের ঘোষণা দিয়েছেন। রাজ্য সিনেটর আল কার্টনা বলেছেন, ভ্যাকসিন পাসপোর্টের মাধ্যমে নাগরিকদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার লঙ্ঘন হবে।
ফ্লোরিডার রাজ্য গভর্নর রন ডিসান্তিস পৃথক এক আদেশে রাজ্যে ভ্যাকসিন পাসপোর্ট নিষিদ্ধ ঘোষণা করে নির্দেশ জারি করেছেন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম রাজ্য হিসেবে নিউইয়র্ক ভ্যাকসিন পাসপোর্ট চালু করার ঘোষণা দিয়েছে। রাজ্য গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো বলেছেন, ‘এক্সেলসিওর পাস’ নামে একটি কার্ডের মধ্যে লোকজনের ভ্যাকসিন প্রদান সংক্রান্ত তথ্য দেওয়া হবে। এ তথ্য রাজ্যের ব্যবসা-বাণিজ্য পুরোদমে খুলে দিতে সহায়ক হবে বলে তিনি মনে করেন।
এ বিষয়ে অ্যান্থনি ফাউসি বলেছেন, রাজ্য পর্যায়ে এমন ব্যবস্থা চালু করলেও ফেডারেল সরকারের পক্ষ থেকে বাধ্যতামূলক ভ্যাকসিন পাসপোর্ট করা হবে বলে তিনি মনে করছেন না।