হোসেনপুর(কিশোরগঞ্জ)প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার প্রায় আড়াইশ হেক্টর বোরা ধান হিট স্টোকে নষ্ট হয়ে গেছে। গত ৪ চার এপ্রিল রোববার সন্ধায় হাওরঞ্চালের ন্যায় এখান দিয়ে বয়ে যাওয়ায় গরম বাতাসের প্রভাব দিন যতই যাচ্ছে এর ব্যাপকতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌর এলাকায় ৭ হাজার ৮শ হেক্টর জমিতে বোরা ধানের ফসলী জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়। যার মধ্যে প্রায় আড়াইশ হেক্টর জমির ফসল একেবারেই নষ্ট হয়ে পড়েছে। এগুলো এখন মাড়াই করে ঘরে আনা একেবারেই অর্থহীন হয়ে পড়লেও পরবর্তী আবাদের জন্য বাধ্য হয়ে তা ঘরে আনতে হবে। পাঁচ মাস পূর্ব থেকে জমি চাষাবাদ করে অপেক্ষা ছিল শুধু ধান মাড়াইয়ের। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আবহাওয়ার বিরুপ প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এ দেশের খেটে খাওয়া মেহনতি কৃষকের উপর। অনেক সময় এ ক্ষয়ক্ষতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যা অপুরণীয়।
সরেজমিনে কথা হয় সিদলা ইউনিযনের চর বিশ্বনাথ পুরের কৃষক মাহাজ উদ্দিন, সৃজন মিয়া, নজরুল ইসলাম, ও গড় মাছুয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল আলী, আবদুল হামিদ,আবদুল গফুরসহ এরকম ক্ষতিগ্রস্থ বোবা কান্নার স্বীক্ষার অন্তত ২০ জন কৃষকের সাথে। বিগত ৪ এপ্রিল(রবিবার) সন্ধা ৬ টার দিকে বয়ে যাওয়া ১টার শুকনা ধূলো ঝড়ের পর দিন ধানে থেকে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। এর পর ক্রমশ দিন দিন ধান সাদা হয়ে যাচ্ছে।
হোসেনপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইমরুল কায়েস জানায়, গরম বাতাসে ধানের ফুল ঝড়ে গিয়ে পরাগায়ন নষ্ট হয়ে ধান চিটা হয়ে পড়েছে।এতে হাওরাঞ্চচলের ন্যায় হোসেনপুর উপজেলায় ও আড়াইশ একর জমির ধান নষ্ট হয়েছে যা টাকার অংকে প্রায় পৌনে তিন টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করে অধিদপ্তরে প্রেরণ করেছি বলে জানান।
ছবি সংযুক্ত: ছবিটি হোসেনপুর উপজেলার সিদলা ইউনিয়নের চর বিশ্বনাথ পুর গ্রামের কৃষক লিটন মিয়ার জমি থেকে মঙ্গলবার দুপুরে তোলা।দেখতে সোনালী আকার ধারণ করলেও সব ধান চিটা হয়ে পড়েছে।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।