কুইন্স বরোর নেতৃত্বে বাংলাদেশী আমেরিকান যুব সমাজকে এগিয়ে আসার আহবান - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, রাত ৪:৪৭, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


 

কুইন্স বরোর নেতৃত্বে বাংলাদেশী আমেরিকান যুব সমাজকে এগিয়ে আসার আহবান

newsup
প্রকাশিত এপ্রিল ২০, ২০২১
কুইন্স বরোর নেতৃত্বে বাংলাদেশী আমেরিকান যুব সমাজকে এগিয়ে আসার আহবান
কুইন্স বরোর জনসংখ্যা ২৩ লক্ষের উপরে সাদা২৬%,হিস্পানিক২৭%,এশিয়ান ২৫%, কালো ২০% ৷কুইন্সে কাউন্সিলম্যান ১৪জন,এসেম্বলীম্যান ১৮ জন, স্টেট সিনেটর ৮ জন, কংগ্রেসম্যান ৪ ,জন,ডিষ্ট্রিক লিডার ১৮ জন ৷ বাস্তবে দেখা যায় অধিকাংশ নির্বাচিত প্রতিনিধি সাধারন জনগনের কোন খোজ খবর রাখেন না ৷ নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ রিয়েলস্টেট, ইনসুরেন্স, মর্গেজ ,ঔষধ কোম্পানী ও কর্পোরেট স্বার্থ রক্ষায় ব্যস্ত ৷সাধারন জনগনের নিরাপত্তা, উন্নত চাকুরীর ব্যবস্হা, ছোট ব্যবসায়ীদের সুযোগ সুবিধার বিষয়ে তেমন খেয়াল রাখে না ৷ ইলেকশনের সময় শুধু ফান্ডরাইজিংয়ের জন্য আমাদের কাছে আসে ৷ আমরাও ফান্ড দিয়ে পলিটিশিয়ানদের সাহায্য করে থাকি ৷এইসব কাজ আমরা গত ২৫-৩০ বছর ধরে করে যাচ্ছি ৷ ডিউটি ফ্রি বানিজ্য বিল, GSP সুবিধা আদায়, রোহঙ্গা সমস্যা সমাধানে কংগ্রেসে লবিং,বাংলাদেশে আমেরিকার বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিষয়ে তেমন ভুমিকা রাখতে পারিনি ৷ তবে প্রবীণ রাজনীতিবিদ জনাব মূর্শেদ আলম ২০০০সালে প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের বাংলাদেশ ভ্রমণের সময় সফর সঙ্গী হয়েছিলেন , ২০১৯ সালে বাংলাদেশের সথে বানিজ্য বৃদ্ধি ও সুসম্পর্ক স্হাপনে নিউইয়র্ক স্টেট প্রতিনিধিদের নিয়ে জনাব মূর্শেদ আলম, জনাব এটর্ণী মঈন চৌধুরী (ডিষ্ট্রিক লিডার এটলার্জ), জনাব সাংবাদিক আবু তাহের(টাইম টেলিভিশনের সিইও),সাংবাদিক সৈয়দ খসরু(টাইম টেলিভিশন)সহ আরও অনেক বাংলাদেশ ভ্রমণ করেন ৷ মূলধারার প্রবীণ ও নবীনদের মধ্যে সুসম্পর্ক স্হাপিত হলে কুইন্সের ডেমোক্রেটিক পার্টির সমর্থ আদায়ে সহজ হবে ৷কুইন্সের নির্বাচিত সবাই ডেমোক্রেট , তাই এবছর যারা সিটি কাউন্সিলে প্রার্থী হয়েছেন তারা পাশ করতে হলে প্রথমে (১) আপনার এলাকার ডেমোক্রেটিক ক্লাবের সমর্থন আদায়(২) কুন্সের ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান কংগ্রেসম্যান গ্রেগরী মিক্সের সমর্থন ছাড়া পাশ করা প্রায় অসম্ভব ৷ এছাড়া আপনার এলাকার এসেম্বলীম্যান ও স্টেট সিনেটরের সমর্থ অবশ্যই দরকার ৷ এছাড়াও উদাহরন হিসাবে বলতে চাই বাংলাদেশী আমেরিকানদের পক্ষ থেকে একসাথে কাউন্সিল ডিষ্ট্রিক ২৪ থেকে ৩- ৪ জন বাংলাদেশী আমেরিকান দাঁড়িয়ে যান ৷ অন্যদিকে যারা প্রার্থী হবেন তাদের ইতিহাস দেখতে হবে , আপনি যে সিটি কাউন্সিলে প্রার্থী হলে আপনার এলাকার নাগরিকদের নিরাপত্তা, চাকুরীর সুবিধা, ও ব্যবসায়ের উন্নয়নে কোন অবদান রেখেছেন কিনা ? এইসব উন্নয়নের কাজ করতে একজন পলিটিকেল একটিভিষ্ট হিসাবে নিজ নিজ এলাকার নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সহায়তা নিয়েও করা যায় ৷ আগামীতে যারা নির্বাচনে কাউন্সিলম্যান, এসেম্বলীম্যান, স্টেট সিনেটর ও কংগ্রেসম্যানে প্রার্থী হতে আগ্রহী তারা নিজ নিজ এলাকার নাগরিকদের কল্যাণে কাজ আরম্ভ করুন ৷ যারা বর্তমানে সিটি কাউন্সিলে প্রার্থী হয়েছেন তাদের শুভ কামনা করি ৷কুইন্সে আমেরিকার মূলধারার রাজনীতিবিদের মধ্যে অন্যতম জনাব মূর্শেদ আলম, জনাব ডাঃএমএম বিল্লাহ, জনাব ফার্মাসিষ্ট আমিন উল্লাহ,জনাব গিয়াস আহমদ , জনাব এটর্ণী মঈন চৌধুরী(ডিষ্ট্রিক লিডার এটলার্জ), জনাব সালেহ আহমদ,জনাব ফখরুল ইসলাম দেলওয়ার, জনাব মোহাম্মদ টি রহমান, ,জনাব ডঃ দিলীপ নাথ,জনাব একেএম নুরুল হক সহ আরও অনেক ৷ কুইন্সকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আমাদের যুব সমাজের মধ্যে অনেক প্রতিভাধর লোক আছেন ৷কুইন্সের সাধারন মানুষের মন জয় করতে হলে নীচের কাজগুলি করতে হবে ৷(১)সাধারন মানুষের নিরাপত্তার জন্য প্রতি মাসে মসজিদ, মন্দির ও গির্জায় পুলিশের সহায়তায় টাউন হল মিটিংয়ের ব্যবস্হা করা ৷(২)বিভিন্ন এলাকায় সুবিধা বঞ্চিত মানুষের উচ্চ বেতনে সিটি, স্টেট ও ফেডারেল জব সেমিনারের ব্যবস্হা করা ৷(৩) ছোট ব্যবসায়ীদের উন্নয়নে ফেডারেল বিজনেস লোন , সিটি ,স্টেট ও ফেডারেল বিজনেস কন্ঠাক্ঠ পাওয়ার বিষয়ে সহযোগিতা করলে ভোটারদের মন জয় করে নির্বাচিত প্রতিনিধি হতে পারবেন ৷প্রবীনদের মধ্যে জনাব মূর্শেদ আলম, জনাব গিয়াস আহমদ এসেম্বলী ও স্টেট সিনেটে প্রার্থী হয়েছিলে ৷জনাব ডঃদিলীপ নাথ ও জনাব মোহাম্মদ টি রহমান সিটি কাউন্সিলে প্রার্থী হয়েছিলেন ৷ জনাব মিজানুর রহমান গত নির্বাচন ২০১৮ সালে কংগ্রেসনাল ডিষ্ট্রিক ৫ থেকে কংগ্রেসম্যান প্রার্থী হয়েছিলেন ৷ এবছর ২০২০ নির্বাচনে কংগ্রেসনাল ডিষ্ট্রিক ৫ থেকে কংগ্রেসম্যান প্রার্থী জনাব শানিয়াত চৌধুরী,কংগ্রেসলান ডিষ্ট্রিক ১৪ থেকে কংগ্রেসওমেন প্রার্থী বদরুন খান মিতা, এসেম্বলী ডিষ্ট্রিক ৩৭ থেকে এসেম্বলীওমেন প্রার্থী মেরী জোবাইদা, এসেম্বলী ডিষ্ট্রিক ৩৪ থেকে জনাব জয় চৌধুরী এবং ডিষ্ট্রিক লিডার পদে মোমিতা আহমদ প্রার্থী হয়েছিলেন ৷কুইন্সের বাংলাদেশী আমেরিকানদের প্রতি বিনীত অনুরোধ আপনারা নিজ নিজ সামর্থ অনুযায়ী ফান্ড দিয়ে, ভোট দিয়ে ও ভলেনটিয়ার হয়ে কাজ করে নির্বাচনের প্রার্থীদের সহায়তায় এগিয়ে আসুন ৷সবার সহযোগিতা পেলে আমাদের আমাদের প্রার্থীগণ নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারবেন ৷ আল্লাহ আমাদের সহায় হউন ৷
হাসান আলী,প্রেসিডেন্ট অর্গানাইজেশন অব বাংলাদেশী আমেরিকান্স ৷
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।