নিউজ ডেস্কঃ
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশ তার নিজ দল রিপাবলিকান পার্টির কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি বর্তমানের রিপাবলিকান পার্টিকে বিচ্ছিন্নতাবাদী, সংরক্ষণবাদী এবং জাতীয়তাবাদী বলে উল্লেখ করেছেন। ২০০৯ সালে হোয়াইট হাউজ ছাড়ার পর এক সাক্ষাত্কারে এই প্রথম দলের এতো কঠোর সমালোচনা করলেন জর্জ ডাব্লিউ বুশ। এর আগে এক সাক্ষাত্কারে বুশ তার সঙ্গে সাবেক মার্কিন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামার সম্পর্ক নিয়ে মাকির্নীদের প্রতিক্রিয়ায় স্তম্ভিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। খবর সিএনএনের।
ওয়াশিংটন ছাড়ার পর সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির সমালোচনা করলেও দলের সমালোচনা সবসময় এড়িয়ে চলেছেন জর্জ ডাব্লিউ বুশ। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার এনবিসি টেলিভিশন থেকে তাকে প্রশ্ন করা হয়, রিপাবলিকান পার্টিকে এখন তিনি কী চোখে দেখেন। জবাবে বুশ বলেন, দলটি এখন বিচ্ছিন্নতাবাদী, সংরক্ষণবাদী ও বিশেষ ক্ষেত্রে জাতীয়তাবাদী। আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অভিবাসনপন্থি, অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ এবং শিক্ষায় সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকার পক্ষের নেতার প্রার্থী হওয়া উচিত কিনা সেই সম্পর্কে বুশ বলেন, আমি তাই মনে করি। তিনি আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে নারী ও মেয়েরা তালেবানের হাতে জিম্মি হয়ে পড়বে। এই সিদ্ধান্ত ঠিক কিনা তা ভবিষ্যতে বোঝা যাবে বলে জানান তিনি।
সাবেক মার্কিন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে মার্কিনীদের প্রতিক্রিয়া ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জর্জ ডাব্লিউ বুশ এবং তিনি এই ঘটনায় স্তম্ভিত। রাজনীতি ভিন্ন আদর্শের হলেও তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। বুশের স্ত্রী লরা বুশও সেই কথা বলেছেন। কিন্তু এই সম্পর্ক নিয়ে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে মার্কিনীদের মধ্যে। সেই সম্পর্কে বুশ মার্কিনীদের মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল সিবিএস’র ‘সিবিএস সানডে মর্নিং’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট বুশ বলেন, মার্কিনীরা এতোটাই মেরুকরণ করছেন যে তারা আমার আর মিশেল ওবামার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কও মেনে নিতে পারছেন না।
বুশ মার্কিন কংগ্রেসকে অভিবাসন ইস্যুতে ‘কঠিন সুর’ নরম করার আহ্বান জানিয়ে আশা প্রকাশ করেন, এর মাধ্যমে অভিবাসীদের জন্য একটি সম্মানজনক অবস্থান নির্ধারণ করা হবে এবং তা আরো নীতিগত পরিবর্তনের দিকে ধাবিত করবে। এসময় সাবেক প্রেসিডেন্ট অভিবাসীদের নিয়ে আঁঁকা ছবির নতুন বই ‘আউট অব মেনি, ওয়ান: পোর্টটেস অব আমেরিকা’স ইমিগ্রান্টস’ উন্মুক্ত করেন। তিনি বলেন, এই বইটি হয়তো দেশের নীতি পরিবর্তন করে দেবে না, তবে পরিবর্তনের চেষ্টা চালানো মানুষদের মধ্যে তার সুরও রয়েছে, সেটি অন্তত জানান দেবে।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।