ডেস্ক নিউজ:
ভারতে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসে দৈনিক সংক্রমণ চার লাখ ছাড়িয়েছে। একইসঙ্গে তৈরি হয়েছে সংক্রমণের নতুন রেকর্ড। ভারত তো বটেই, গোটা বিশ্বেও এই প্রথম কোনও একটি দেশে আক্রান্তের সংখ্যা এক দিনে চার লাখ ছাড়িয়েছে। দৈনিক আক্রান্ত তিন লাখ ছাড়ানোর ৯ দিনের মাথায় তা পৌঁছে গেল চার লাখে। এই পরিসংখ্যান বুঝিয়ে দিচ্ছে গত এক সপ্তাহে কীভাবে বেড়েছে দৈনিক সংক্রমণ। দৈনিক আক্রান্তের নিরিখে গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বিশ্বের শীর্ষে রয়েছে ভারত। ১ মে রবিবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে চার লাখ এক হাজার ৯৯৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো এক কোটি ৯১ লাখ ৬৪ হাজার ৯৬৯।
এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ভারতে শনিবার (১ মে) একদিনে রেকর্ড সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৬৮৮ জন মারা গেছেন। এছাড়া গত একদিনে নতুন করে দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৯২ হাজার ৫৬২ জন। এনিয়ে ভারতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন এক কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৫৬ জন এবং মারা গেছেন ২ লাখ ১৫ হাজার ৫২৩ জন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, রোববার (২ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে মারা গেছেন ১২ হাজার ৫৫১ জন এবং নতুন করে ৭ লাখ ৮৯ হাজার ১৬৭ জনের শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ কোটি ২৮ লাখ ৮৩১ জন। আর এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩২ লাখ ৬ হাজার ৪৫১ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছে ১৩ কোটি ৭৪ হাজার ৩৫৩ জন।
গত চারদিন ধরেই মৃতের সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এভাবে বাড়তে বাড়তে এরইমধ্যে মৃতের সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়েছে।
দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধির জেরে বেড়েছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধিতে স্বাস্থ্য পরিষেবাতে তৈরি হয়েছে বিপুল চাহিদা। বেডের পাশাপাশি অক্সিজেনের অভাবও প্রকট। বর্তমানে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩২ লাখ ৬৮ হাজার ৭১০।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে রোগীদের পরিষেবা দেওয়ার পরিসর ক্রমেই কমে আসছে। অনেক ক্ষেত্রেই একই শয্যায় একাধিক রোগীকে শুয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। বিশেষ করে ভারতের রাজধানী দিল্লির পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করেছে। সেখানে এমনকি বিভিন্ন শ্মশানের বাইরে রাস্তায় টোকেন নিয়ে মরদেহের দীর্ঘ লাইন দেখা যাচ্ছে। ২০ ঘণ্টা কেটে যাচ্ছে আগুন পেতে। লাশ ছিঁড়ছে কুকুর। শ্মশানের দরজায় দরজায় ঘুরে জায়গা না পেয়ে স্রেফ বরফ চাপা দিয়ে ৪৮ ঘন্টাও বাড়িতে শব রেখে দিচ্ছে স্বজনেরা। কুকুরের মৃতদেহ পুঁতে ফেলার জায়গা ব্যবহার করা হচ্ছে মানুষকে দাহ করার জন্য।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।