ব্রিটিশ রাজপরিবার ছেড়ে স্ত্রী মেগান মার্কেলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর পর নতুন জীবন খুব একটা উপভোগ করছেন না প্রিন্স হ্যারি। ভেবেছিলেন রাজপরিবারের ছকের বাইরে সাধারণ জীবনটা দারুণ উপভোগ্য হবে। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, সেরকম কিছু নয়। স্বস্তি বা উপভোগের কোনো চিহ্ন দেখা যাচ্ছে না সাবেক ডিউক অভ সাসেক্সের মুখে, কথায় বা আচরণে। বরং তাকে চোখ ধাঁধানো আলোর সামনে দিশেহারা এক খরগোসের মতো মনে হচ্ছে।
মোট কথা, প্রিন্স হ্যারির বুকের ভেতরটা আর উষ্ণ নেই। একজন রাজপরিবার বিশেষজ্ঞ এমন কথাই বলেছেন। খবর মিরর-এর।
প্রয়াত প্রিন্স ফিলিপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে গত ১৭ এপ্রিল ইংল্যান্ডে যান হ্যারি। তবে রাজপরিবার ছেড়ে যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে অপরাহ উইনফ্রের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বলা কথাগুলোর কারণে রাজপরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে তেমন আন্তরিক অভ্যর্থনা পাননি তিনি। সাক্ষাৎকারে তার স্ত্রী মেগান এমন সব কথা বলেছেন, যাতে রাজপরিবারের ভেতরকার অনেক কাহিনি বেরিয়ে এসেছে। রাজপরিবারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগও ছিল। রাজপরিবারকে বর্ণবাদী হিসেবেও তুলে ধরা হয়েছিল। সুতরাং সম্পর্ক তো শীতল হবেই।
প্রিন্স ফিলিপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় হ্যারি একাই এসেছিলেন। মেগান আসেননি। হ্যারি যুক্তরাষ্ট্র থেকে ল্ন্ডনে এসে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সে সময় তার মনে পড়তে থাকে রাজপরিবারে থাকার বিভিন্ন স্মৃতি।
সন্তান আর্চি ও মেগানকে নিয়ে তার যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান জীবনটাকে একদমই উপভোগ করতে পারছেন না হ্যারি। টক রেডিওর সঙ্গে আলাপকালে দ্য সান পত্রিকার সাবেক রাজপরিবারবিষয়ক সম্পাদক চার্লি রে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে হ্যারি ভালো নেই। তিনি কষ্ট আছেন। তাকে দেখাচ্ছে অনেক আলোয় বিভ্রান্ত একটি খরগোসের মতো। কোন দিকে যাবেন বুঝে উঠতে পারছেন না।