নিউজ ডেস্কঃ
দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরন শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এদিকে করোনায় নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন আরো ৪৫ জন।
করোনার ভারতীয় ধরনটি ‘বি.১.১৬৭’ নামে পরিচিত। এ ধরনটিকে অতি সংক্রামক বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতে করোনার সংক্রমণ মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে এ ধরন ভূমিকা রাখছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভারত থেকে আসা ৮ জনের নমুনা যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং আইইডিসিআর আলাদাভাবে পরীক্ষা করে। দুই প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষাতেই ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ধরা পড়েছে বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক।
ভারত থেকে যশোরে আসা ৮ জনের দেহে নমুনা পরীক্ষা করে ২ জনের দেহে ভারতীয় ধরন পাওয়া যায়, ৪ জনের দেহে ভারতীয় ধরনের সাদৃশ্য পাওয়া গেছে বলে জানান,স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।
তাদের সকলেই সুস্থ আছেন। সংস্পর্শে আসাদের নেয়া হয়েছে কোয়ারেন্টিনে। ভারতীয় ধরন নিয়ে উদ্বিগ্ন অধিদপ্তর।
এ সংক্রান্ত তথ্য জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডাটাতে (জিএসআইডি) প্রকাশিত হয়েছে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের (সিএইচআরএফ) বিজ্ঞানী সৈয়দ মুক্তাদির আল সিয়াম বলেন, গত ২৮ ও ২৯ এপ্রিল দেশে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট (ধরন) বি.১. ৬১৭.২ পাওয়া গেছে। আইইডিসিআর এটি সাবমিট করেছে। এর নমুনা সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপিং হেলথ সায়েন্স অ্যান্ড হেলথ ইনিশিয়েটিভ (আইডেশস)। তবে দেশে পাওয়া ভ্যারিয়েন্টে ই৪৮৪ মিউটেশনটি নেই। এটা থাকলে খুব ক্ষতিকর হতো।
ভারতের বর্তমান করোনা পরিস্থিতির জন্য তিনটি কারণ উল্লেখ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তার মধ্যে একটি হলো করোনার অতি সংক্রামক ধরনের বিস্তার।
এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি করোনাভাইরাসের দক্ষিণ আফ্রিকান ধরনের অস্তিত্ব মেলে বাংলাদেশে। ঢাকার বনানীর ৫৮ বছর বয়সী এক নারীর শরীর থেকে সংগ্রহ করা নমুনায় এই স্ট্রেইন পাওয়া যায় বলে নিশ্চিত করে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) জিনোমিক রিসার্চ ল্যাবরেটরির গবেষক দল।
এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি করোনাভাইরাসের দক্ষিণ আফ্রিকান ধরনের অস্তিত্ব মেলে বাংলাদেশে। ঢাকার বনানীর ৫৮ বছর বয়সী এক নারীর শরীর থেকে সংগ্রহ করা নমুনায় এই স্ট্রেইন পাওয়া যায় বলে নিশ্চিত করে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) জিনোমিক রিসার্চ ল্যাবরেটরির গবেষক দল।
এছাড়া গত ৫ জানুয়ারি যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে আসা ছয়জনের দেহে করোনাভাইরাসের আরেক নতুন ধরন পাওয়া যায় বলে আইইডিসিআর থেকে জানানো হয়। রূপান্তরিত এই নতুন ধরন গত ডিসেম্বরে যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, গত ২৪ ঘন্টায় ১৪ হাজার ৭০৩ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ২৮৫ জন। আর প্রাণ হারিয়েছে আরো ৪৫ জন। গেলো ২৪ ঘন্টায় ২ হাজার ৪৯২ জন সহ মোট সুস্থ হয়েছেন, ৭ লাখ ৬ হাজার ৮৩৩ জন।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।